নজরদারির আওতায় আসছে বেসরকারি হেলিকপ্টার by চৌধুরী আকবর হোসেন
নজরদারির
আওতায় আনতে দেশের বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোতে ট্র্যাকিং যন্ত্র বসাবে
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এছাড়া ফ্লাইট, পাইলট ও যাত্রীদের
তথ্য মনিটরিংয়ে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি
বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিচালনার বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব
তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে দেশের ৮ প্রতিষ্ঠানের ২৮-৩০টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হেলিকপ্টার সেবা দিতে বেবিচকে আবেদন করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারগুলো অসুস্থ রোগী পরিবহন ছাড়াও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে কোন ব্যক্তি কখন হেলিকপ্টারে চড়ে কোথায় যাচ্ছে, এর কোনও সুষ্ঠু নজরদারি নেই। এমনকি নির্ধারিত গন্তব্যের বাইরে অন্য কোথাও হেলিকপ্টার অবতরণ করছে কিনা, তাও রয়েছে নজরদারির বাইরে।
সূত্র জানায়, হেলিকপ্টারের নজরদারি না থাকা উদ্বেগজনক বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মে মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোর নজরদারিসংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হেলিকপ্টারের যাত্রী ও তাদের ব্যাগ যথাযথভাবে স্ক্যানিং না হওয়ায় মাদকসহ অবৈধ পণ্য পরিবহনের ঝুঁকি রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো ওড়ার পর অন্য কোথাও অবতরণ করে যাত্রীর গন্তব্য পরিবর্তন কিংবা অবৈধ পণ্য পরিবহন করছে কিনা, সেটিও নজরদারির বাইরে রয়েছে।
সূত্র জানায়, কয়েক দফা বৈঠক করে বেসরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অবৈধ পণ্য পরিবহন প্রতিরোধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটিও করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকের কাছ থেকে অনুমতি নেয়। এছাড়া ফ্লাইটের গন্তব্য ও যাত্রীদের তথ্য দেওয়া হলেও এক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি হয় না।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মোকাব্বির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বেশকিছু সুপারিশ পেয়েছি। হেলিকপ্টারগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী আনতে গেলে স্থানীয় পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকায় আসলে একটি পয়েন্ট দিয়ে যাত্রীরা বের হবেন। ফ্লাইটে যাওয়ার আগে ও পরে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টারগুলোর মনিটরিংয়ে বেবিচক একটি ডিভাইস বসাবে, তাহলে কে কোথায় যাচ্ছে, তা মনিটরিং করা সম্ভব হবে। বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিচালনার একটি নীতিমালা রয়েছে, এটিও সংশোধন করে আপডেট করা হবে।’
বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হেলিকপ্টার সেবা অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে শুধু ফ্লাইট নয়, হেলিকপ্টার, পাইলট, যাত্রী সার্বিক বিষয়ের তথ্য নজরদারির আওতায় চলে আসবে। ফ্লাইটের অনুমতি নিতে আর ম্যানুয়াল আবেদনের প্রয়োজন পড়বে না। যেকোনও মুহূর্তে ফ্লাইটসংক্রান্ত তথ্য সহজেই আমরা পেয়ে যাবো।’
চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, ‘হেলিকপ্টারগুলো কোথায় যাচ্ছে, কোথায় নামছে—এটি মনিটরিং করতে প্রতিটি হেলিকপ্টারে ট্র্যাকিং যন্ত্র বসানো হবে। এটিও অটোমেশনের আওতায় সংযুক্ত হবে। তবে কী ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে, এটি পর্যালোচনা চলছে।’ শিগগিরি এটি কার্যকর করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ছবি: মাশরুর
সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে দেশের ৮ প্রতিষ্ঠানের ২৮-৩০টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হেলিকপ্টার সেবা দিতে বেবিচকে আবেদন করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারগুলো অসুস্থ রোগী পরিবহন ছাড়াও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে কোন ব্যক্তি কখন হেলিকপ্টারে চড়ে কোথায় যাচ্ছে, এর কোনও সুষ্ঠু নজরদারি নেই। এমনকি নির্ধারিত গন্তব্যের বাইরে অন্য কোথাও হেলিকপ্টার অবতরণ করছে কিনা, তাও রয়েছে নজরদারির বাইরে।
সূত্র জানায়, হেলিকপ্টারের নজরদারি না থাকা উদ্বেগজনক বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মে মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোর নজরদারিসংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হেলিকপ্টারের যাত্রী ও তাদের ব্যাগ যথাযথভাবে স্ক্যানিং না হওয়ায় মাদকসহ অবৈধ পণ্য পরিবহনের ঝুঁকি রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো ওড়ার পর অন্য কোথাও অবতরণ করে যাত্রীর গন্তব্য পরিবর্তন কিংবা অবৈধ পণ্য পরিবহন করছে কিনা, সেটিও নজরদারির বাইরে রয়েছে।
সূত্র জানায়, কয়েক দফা বৈঠক করে বেসরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অবৈধ পণ্য পরিবহন প্রতিরোধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটিও করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকের কাছ থেকে অনুমতি নেয়। এছাড়া ফ্লাইটের গন্তব্য ও যাত্রীদের তথ্য দেওয়া হলেও এক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি হয় না।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মোকাব্বির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বেশকিছু সুপারিশ পেয়েছি। হেলিকপ্টারগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী আনতে গেলে স্থানীয় পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকায় আসলে একটি পয়েন্ট দিয়ে যাত্রীরা বের হবেন। ফ্লাইটে যাওয়ার আগে ও পরে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টারগুলোর মনিটরিংয়ে বেবিচক একটি ডিভাইস বসাবে, তাহলে কে কোথায় যাচ্ছে, তা মনিটরিং করা সম্ভব হবে। বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিচালনার একটি নীতিমালা রয়েছে, এটিও সংশোধন করে আপডেট করা হবে।’
বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হেলিকপ্টার সেবা অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে শুধু ফ্লাইট নয়, হেলিকপ্টার, পাইলট, যাত্রী সার্বিক বিষয়ের তথ্য নজরদারির আওতায় চলে আসবে। ফ্লাইটের অনুমতি নিতে আর ম্যানুয়াল আবেদনের প্রয়োজন পড়বে না। যেকোনও মুহূর্তে ফ্লাইটসংক্রান্ত তথ্য সহজেই আমরা পেয়ে যাবো।’
চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, ‘হেলিকপ্টারগুলো কোথায় যাচ্ছে, কোথায় নামছে—এটি মনিটরিং করতে প্রতিটি হেলিকপ্টারে ট্র্যাকিং যন্ত্র বসানো হবে। এটিও অটোমেশনের আওতায় সংযুক্ত হবে। তবে কী ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে, এটি পর্যালোচনা চলছে।’ শিগগিরি এটি কার্যকর করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ছবি: মাশরুর
No comments