রুমার ‘কাঠগড়ায়’ উপশহরের সবাই by ওয়েছ খছরু
সিলেটের
ব্যবসায়ী রুমার কাঠগড়ায় উপশহরের সবাই। বাদ যাননি স্থানীয় কাউন্সিলর সালেহ
আহমদ সেলিমও। সঙ্গে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল ও
জাকিরুল আলম জাকিরকে। ব্যবসায়ী নেতা মিছলুও আসামি। ছেলের ওপর হামলার ঘটনায়
সম্প্রতি সিলেটের আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন রুমা বেগম। আদালত তার
অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য শাহপরান থানা পুলিশের কাছে দিয়েছে। এদিকে
এই মামলা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে উপশহরে। রাজনীতিতে বিবদমান তিন অংশের তিন
নেতাকে এক মামলায় অভিযুক্ত করেছেন রুমা।
দাবি করেছেন, তাদের ইন্ধন এবং নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে। রুমা এর আগে সিলেটের শাহপরান থানায়ও অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ আসামির তালিকায় কয়েক ‘নেতার’ নাম দেখে সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজাত এলাকা বলা হয় সিলেটের উপশহরকে।
এই এলাকার পরিচিত মুখ রুমা বেগম। তিনি নারী উদ্যোক্তা। ওয়ান টু হান্ডেড নামে তার নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পুরো নাম মার্জিয়া বেগম রুমা। শাহজালাল উপশহরের ২৯-৩ নং বাসার বাসিন্দা তিনি। উপশহরে ব্যবসার সুবাদে সবার কাছেই পরিচিত তিনি। সবাই তাকে এক নামেই চিনেন। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে রুমা বেগম সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি আসামি করেছেন যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ আহমদ সেলিম, ব্যবসায়ী সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু, যুবলীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম জাকির, গিয়াস উদ্দিন, হুমায়ূন রশীদ সুমন, ফজলুর রহমান, নাহিদুর রহমান সাব্বির, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম, সামসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, আমিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুর, জোসেফ, রাহাতুল আমীন, মিজানুর রহমান মাহাদী রাজা, সিরাজী, রণি ও অর্ঘ্যকে। এজাহারে রুমা বেগম উল্লেখ করেছেন- আসামিরা দাপুটে হওয়ার কারণে তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা এলাকায় নানা ধরনের বিতর্কিত ঘটনা ঘটায়। এতে করে তারা উপশহরের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় আসামিরা তার কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। এ কারণে তার দোকানেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তিনি শাহপরান থানায় আগেও দুটি মামলা করেছেন। এসব মামলার কারণে আসামিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এজাহারে রুমা উল্লেখ করেন, গত ২৩শে এপ্রিল তার বড় ছেলে দক্ষিণ সুরমা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ আহমদ চৌধুরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় সাব্বির সহ অন্য আসামিরা।
তারা বাসার নিচ থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে এমসি কলেজের ফটকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা লোহার রড দিয়ে তাহমিদকে পেটায়। এতে তার নাকে গুরুতর জখম হয়। মারধরের ফলে তাহমিদ অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামিরা চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা নগদ ১০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। হামলার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলে তাদেরও হুমকি প্রদান করে আসামিরা। শেষে লোক মারফত খবর পেয়ে তিনি নিজেই তাহমিদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত তাহমিদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৭ নং ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এবং ৪ঠা মে পর্যন্ত ডাক্তাররা তার ছেলের চিকিৎসা করেন বলে জানান রুমা বেগম। এ সময় ডাক্তাররা তার ছেলে তাহমিদের নাকে ও মুখে অস্ত্রোপচার করেন। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দাখিলের পর থেকে আসামিরা তাকেসহ তার ছেলেদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন রুমা বেগম। গতকাল মার্জিয়া বেগম রুমা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তার ছেলের ওপর হামলার ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তিনি বিচার পাননি। কোনো আসামিই গ্রেপ্তার হয়নি। এ কারণে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তটস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তবে সিলেটের শাহপরান থানার উপশহর ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। এখন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের পর বোঝা যাবে ঘটনাটি আসলে কী। প্রয়োজনে ঘটনার দিন ও তার আগের কললিস্ট সংগ্রহ করা হবে। যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকলে পুলিশ অবশ্যই কাউকে ছাড় দেবে না। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত সেটি না দেখে পূর্বের জেদ মেটাতে রুমা বেগম রাজনৈতিক নেতাদের অভিযুক্ত করছেন। এতে করে মামলার মূল ঘটনা ও প্রকৃত দোষীরা রেহাই পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকির জানিয়েছেন, অভিযোগে ৬ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন তার নিজের লোক। আর অপর যে ৪ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রেখেছেন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। সাক্ষীরা আমাদের অভিযুক্ত করছে না। এছাড়া এই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তালিকায় থাকা আরো কয়েকজন ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহালও নয়। পূর্বের বিরোধের জেদ মেটাতে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এই মামলায় উপশহরে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানান তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর সেলিমও এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এ ছাড়া ঘটনাও তার এলাকায় ঘটেনি। তবে, রুমা বেগম জানিয়েছেন, তিনি নির্দোষ কাউকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখেন নি। তদন্তে সেটি প্রমাণিত হবে।
দাবি করেছেন, তাদের ইন্ধন এবং নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে। রুমা এর আগে সিলেটের শাহপরান থানায়ও অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ আসামির তালিকায় কয়েক ‘নেতার’ নাম দেখে সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজাত এলাকা বলা হয় সিলেটের উপশহরকে।
এই এলাকার পরিচিত মুখ রুমা বেগম। তিনি নারী উদ্যোক্তা। ওয়ান টু হান্ডেড নামে তার নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পুরো নাম মার্জিয়া বেগম রুমা। শাহজালাল উপশহরের ২৯-৩ নং বাসার বাসিন্দা তিনি। উপশহরে ব্যবসার সুবাদে সবার কাছেই পরিচিত তিনি। সবাই তাকে এক নামেই চিনেন। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে রুমা বেগম সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি আসামি করেছেন যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ আহমদ সেলিম, ব্যবসায়ী সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু, যুবলীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম জাকির, গিয়াস উদ্দিন, হুমায়ূন রশীদ সুমন, ফজলুর রহমান, নাহিদুর রহমান সাব্বির, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম, সামসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, আমিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুর, জোসেফ, রাহাতুল আমীন, মিজানুর রহমান মাহাদী রাজা, সিরাজী, রণি ও অর্ঘ্যকে। এজাহারে রুমা বেগম উল্লেখ করেছেন- আসামিরা দাপুটে হওয়ার কারণে তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা এলাকায় নানা ধরনের বিতর্কিত ঘটনা ঘটায়। এতে করে তারা উপশহরের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় আসামিরা তার কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। এ কারণে তার দোকানেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তিনি শাহপরান থানায় আগেও দুটি মামলা করেছেন। এসব মামলার কারণে আসামিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এজাহারে রুমা উল্লেখ করেন, গত ২৩শে এপ্রিল তার বড় ছেলে দক্ষিণ সুরমা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ আহমদ চৌধুরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় সাব্বির সহ অন্য আসামিরা।
তারা বাসার নিচ থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে এমসি কলেজের ফটকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা লোহার রড দিয়ে তাহমিদকে পেটায়। এতে তার নাকে গুরুতর জখম হয়। মারধরের ফলে তাহমিদ অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামিরা চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা নগদ ১০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। হামলার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলে তাদেরও হুমকি প্রদান করে আসামিরা। শেষে লোক মারফত খবর পেয়ে তিনি নিজেই তাহমিদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত তাহমিদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৭ নং ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এবং ৪ঠা মে পর্যন্ত ডাক্তাররা তার ছেলের চিকিৎসা করেন বলে জানান রুমা বেগম। এ সময় ডাক্তাররা তার ছেলে তাহমিদের নাকে ও মুখে অস্ত্রোপচার করেন। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দাখিলের পর থেকে আসামিরা তাকেসহ তার ছেলেদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন রুমা বেগম। গতকাল মার্জিয়া বেগম রুমা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তার ছেলের ওপর হামলার ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তিনি বিচার পাননি। কোনো আসামিই গ্রেপ্তার হয়নি। এ কারণে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তটস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তবে সিলেটের শাহপরান থানার উপশহর ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। এখন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের পর বোঝা যাবে ঘটনাটি আসলে কী। প্রয়োজনে ঘটনার দিন ও তার আগের কললিস্ট সংগ্রহ করা হবে। যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকলে পুলিশ অবশ্যই কাউকে ছাড় দেবে না। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত সেটি না দেখে পূর্বের জেদ মেটাতে রুমা বেগম রাজনৈতিক নেতাদের অভিযুক্ত করছেন। এতে করে মামলার মূল ঘটনা ও প্রকৃত দোষীরা রেহাই পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকির জানিয়েছেন, অভিযোগে ৬ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন তার নিজের লোক। আর অপর যে ৪ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রেখেছেন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। সাক্ষীরা আমাদের অভিযুক্ত করছে না। এছাড়া এই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তালিকায় থাকা আরো কয়েকজন ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহালও নয়। পূর্বের বিরোধের জেদ মেটাতে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এই মামলায় উপশহরে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানান তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর সেলিমও এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এ ছাড়া ঘটনাও তার এলাকায় ঘটেনি। তবে, রুমা বেগম জানিয়েছেন, তিনি নির্দোষ কাউকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখেন নি। তদন্তে সেটি প্রমাণিত হবে।
No comments