বাদশা মিয়া ফের নিঃস্ব by পিয়াস সরকার
বাদশা
মিয়ার বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। শূন্য হাতে শুরু করেছিলেন মাছের ব্যবসা।
রাজধানীর গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটে ছিল তার দোকান। এই দোকান দিয়ে চলতো
তার পরিবারসহ ৮টি পরিবার। এখন ঘাড়ে তার ১১ লাখ টাকার ঋণ। গত শনিবার ভোরে এই
মার্কেটটিতে লাগে আগুন। আগুনে পুড়ে যায় ২শ’র অধিক দোকান। তার মধ্যে ছিল
বাদশা মিয়ার দোকানও।
তার দোকানে ছিল ২টি ফ্রিজ। ফ্রিজভর্তি ছিল সামুদ্রিক মাছ। আগুনে ফ্রিজ পুড়ে ছাই। সেইসঙ্গে ছাই ফ্রিজে থাকা মাছ। আবার অন্যের ফ্রিজেও মাছ রাখতেন ভাড়ায়। বাদশা মিয়া ও তার ছেলে মিলে চালাতেন দোকানটি। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ কিনতেন। তিনি মূলত মাছ সরবরাহ করতেন বিভিন্ন রেস্তরাঁয়। এর পাশাপাশি করতেন খুচরা বিক্রি। তার দোকানে কাজ করতেন আরো ৬ কর্মচারী। দু’জন কাজ করতেন দোকানে আর চারজন বিভিন্ন রেস্তরাঁয় করতেন মাছ সরবরাহ। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব তিনি। কর্মচারীরাও হারিয়েছেন কাজের জায়গা।
এই মার্কেটেই ২৬ মাস আগে লাগা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তিনি। তখন তার ছিল ৫টি দোকান। সেবারের আগুনেও খুইয়েছিলেন সব। তখন ঋণ ছিল ৬ লাখ টাকা। এরপর শূন্য হাতে ফের যাত্রা শুরু করেন। ৪টি দোকান ছেড়ে দিয়ে রাখেন একটি মাত্র দোকান। এতে তার ভাগ্য ফেরে। মার্কেটে বিক্রির পাশাপাশি শুরু করেন রেস্তরাঁয় মাছ সরবরাহ। এই মাছ সরবরাহ করেই ঘুরে দাঁড়ান। বাদশা মিয়া বলেন, হোটেলে মাছ সাপ্লাই দিয়েই আমার দিন ফিরলো। লোন শোধ করলাম। ব্যবসা বড় করতে আবার লোন নিলাম ১৫ লাখ টাকা। এরপর লোনের টাকায় আরো বড় হতে থাকে ব্যবসা। দিনদিন বাড়তে থাকে মাছের চাহিদা। ঋণ নিয়েছেন ৮ মাস আগে। পরিশোধ হয়েছে ইতিমধ্যে ৪ লাখ টাকা। ফের তার ঘাড়ে ১১ লাখ টাকার বোঝা। তিনি আরো বলেন, আগুন নেভার পর দোকানে আসি। দেখি ধোঁয়া উড়ছে ফ্রিজ থেকে। ফ্রিজ ভেঙে দেখি সব মাছ ফ্রাই হয়ে গেছে। তার দুটি ফ্রিজ ও অন্যের ফ্রিজে রাখা সব মাছ আগুনে পুড়ে ছাই। তার আনা শাপলা পাতা মাছ ছিল প্রায় ১০টি। এই মাছের কেজি বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। একেকটি মাছ ১২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ছিল। এ ছাড়াও চিংড়ি মাছ ছিল প্রায় ৩শ’ কেজি। আইড় মাছ ছিল প্রায় দেড় শ’ কেজি। সব মিলিয়ে বিভিন্ন মাছ ছিল হাজার কেজির মতো। মাছের মূল্য জানতে চাইলে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে পড়েন, তার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দোকানে। দেন মাথায় হাত। চোখে স্পষ্ট পানি। ইনহেলার দিয়ে শ্বাস নেয়ার পর বলেন, তাও লাখ দশেক টাকার মাছ ছিল। তিনি আরো বলেন, এই লোনের টাকা শোধ দেবো কেমনে? মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই ব্যবসাটা দাঁড় করাইলাম। দু’বারের আগুনে পথের ফকির হয়ে গেলাম। ফের পরক্ষণেই বলেন, রাস্তার ফকিরের থেকেও খারাপ অবস্থা। ফকির দিন শেষে খাইয়া না খাইয়া থাকে। কিন্তু লোন থাকে না।
তার দোকানে ছিল ২টি ফ্রিজ। ফ্রিজভর্তি ছিল সামুদ্রিক মাছ। আগুনে ফ্রিজ পুড়ে ছাই। সেইসঙ্গে ছাই ফ্রিজে থাকা মাছ। আবার অন্যের ফ্রিজেও মাছ রাখতেন ভাড়ায়। বাদশা মিয়া ও তার ছেলে মিলে চালাতেন দোকানটি। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ কিনতেন। তিনি মূলত মাছ সরবরাহ করতেন বিভিন্ন রেস্তরাঁয়। এর পাশাপাশি করতেন খুচরা বিক্রি। তার দোকানে কাজ করতেন আরো ৬ কর্মচারী। দু’জন কাজ করতেন দোকানে আর চারজন বিভিন্ন রেস্তরাঁয় করতেন মাছ সরবরাহ। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব তিনি। কর্মচারীরাও হারিয়েছেন কাজের জায়গা।
এই মার্কেটেই ২৬ মাস আগে লাগা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তিনি। তখন তার ছিল ৫টি দোকান। সেবারের আগুনেও খুইয়েছিলেন সব। তখন ঋণ ছিল ৬ লাখ টাকা। এরপর শূন্য হাতে ফের যাত্রা শুরু করেন। ৪টি দোকান ছেড়ে দিয়ে রাখেন একটি মাত্র দোকান। এতে তার ভাগ্য ফেরে। মার্কেটে বিক্রির পাশাপাশি শুরু করেন রেস্তরাঁয় মাছ সরবরাহ। এই মাছ সরবরাহ করেই ঘুরে দাঁড়ান। বাদশা মিয়া বলেন, হোটেলে মাছ সাপ্লাই দিয়েই আমার দিন ফিরলো। লোন শোধ করলাম। ব্যবসা বড় করতে আবার লোন নিলাম ১৫ লাখ টাকা। এরপর লোনের টাকায় আরো বড় হতে থাকে ব্যবসা। দিনদিন বাড়তে থাকে মাছের চাহিদা। ঋণ নিয়েছেন ৮ মাস আগে। পরিশোধ হয়েছে ইতিমধ্যে ৪ লাখ টাকা। ফের তার ঘাড়ে ১১ লাখ টাকার বোঝা। তিনি আরো বলেন, আগুন নেভার পর দোকানে আসি। দেখি ধোঁয়া উড়ছে ফ্রিজ থেকে। ফ্রিজ ভেঙে দেখি সব মাছ ফ্রাই হয়ে গেছে। তার দুটি ফ্রিজ ও অন্যের ফ্রিজে রাখা সব মাছ আগুনে পুড়ে ছাই। তার আনা শাপলা পাতা মাছ ছিল প্রায় ১০টি। এই মাছের কেজি বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। একেকটি মাছ ১২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ছিল। এ ছাড়াও চিংড়ি মাছ ছিল প্রায় ৩শ’ কেজি। আইড় মাছ ছিল প্রায় দেড় শ’ কেজি। সব মিলিয়ে বিভিন্ন মাছ ছিল হাজার কেজির মতো। মাছের মূল্য জানতে চাইলে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে পড়েন, তার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দোকানে। দেন মাথায় হাত। চোখে স্পষ্ট পানি। ইনহেলার দিয়ে শ্বাস নেয়ার পর বলেন, তাও লাখ দশেক টাকার মাছ ছিল। তিনি আরো বলেন, এই লোনের টাকা শোধ দেবো কেমনে? মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই ব্যবসাটা দাঁড় করাইলাম। দু’বারের আগুনে পথের ফকির হয়ে গেলাম। ফের পরক্ষণেই বলেন, রাস্তার ফকিরের থেকেও খারাপ অবস্থা। ফকির দিন শেষে খাইয়া না খাইয়া থাকে। কিন্তু লোন থাকে না।
No comments