পোড়া জিনিস কিনতে ভিড়
মাত্র
৪০ টাকায় বিক্রি হলো একটি প্লাস্টিকের বালতি। যার বাজার মূল্য ১শ’ ২০
টাকা। আবার একটি পাতিল ৩০ টাকায়। যেটার বাজার মূল্য ১শ’ টাকা। এভাবেই অল্প
মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। এচিত্র রাজধানীর গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটের।
থরে থরে সাজানো ক্রোকারিজ পণ্য। সঙ্গে আছে প্যাকেটজাত খাদ্য ও কাপড়ও।
পণ্যগুলো নতুন। তবে তাতে লেগে গেছে আগুনের ছোয়া। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা বিক্রি করছেন সেসব পণ্য। অতি অল্প দামে। আর ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আনোয়ারুল ইসলাম কষ্ট নিয়ে বলেন, আজ সকাল থেকে আড়াই হাজার টাকার পন্য বিক্রি করছি। এই পণ্যের প্রকৃত বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকা হবে।
রিমি রহমান এখানেই একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অফিসের বিরতিতে দেখতে এসেছেন মার্কেটটি। কেনেন বেশ কিছু পণ্য। বলেন, অল্প দামে পেলাম অনেক কিছু। তাদের ক্ষতিটা একটু কমলো আর আমাদের লাভ হলো। গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেট। গত শনিবারের আগুনে পুড়ে যায় মার্কেটটি। পুড়ে যায় মার্কেটের ২শ’র অধিক দোকান। যে আগুনে জড়িয়ে আছে কতগুলো পরিবারের দীর্ঘশ্বাস।
পুড়ে ছাই হওয়া মার্কেটটিতে গতকাল সরজমিন দেখা যায়- এখনো প্লাস্টিকের পণ্য থাকা দোকানগুলোতে থেকে থেকে জ্বলে উঠছে আগুন। অতি সামান্য এই আগুন নিভেও যাচ্ছে কিছু সময় পর। ছড়াচ্ছে ধোঁয়া। এই আগুনের মতো থেকে থেকে জ্বলছে ব্যবসায়ীদের মন। তারা তাদের দোকানের ধ্বংসস্তূপ থেকে ভালো জিনিস খুঁজতে ব্যস্ত। মূলত তারা সন্ধান করছেন লোহা। যাতে বিক্রি করতে পারেন সেসব পণ্য। মার্কেটের ভেতর দেখা যায় চুরির উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বেশ কিছু মানুষ। দোকানদাররা বারবার তাড়িয়ে দিয়েও আটকানো মুশকিল হয়ে পড়ছে তাদের। মাহিরউদ্দিন সরকারের মার্কেটে ছিলো ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান। তিনি বলেন, কোনো কিছু খুঁজে পেলেই নিয়ে যেতে হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। নয়তো হচ্ছে চুরি। একটু আগে একটা মাল্টিপ্লাগ পেলাম এখন দেখি তা নাই। এ ছাড়াও একই ধরনের অভিযোগ মেলে অনেকের কাছ থেকে। রমজান আলী, একটি কার্টনে জমা করছিলেন ব্যবহারযোগ্য পণ্য। কিন্তু সেই কার্টন সমেত গায়েব। এরপর তিনি এক ছোট ছেলের বস্তায় আবিষ্কার করেন তা।
মার্কেটে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের লোকের থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা ঢের বেশি।
মার্কেটের বাইরে ছিল বেশ কয়েকটি পিকআপ। যেসব পিকআপে ঠাঁই হয়েছে পোড়া টিন, গ্রিল, লোহা ইত্যাদি। ক্রেতারাই এখানে আসছেন। কিনছেন। নিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব পরিবহনে।
পুরো মার্কেটজুড়ে এখনো ধ্বংসস্তূপ। সেই সঙ্গে কাদা, ময়লায় সয়লাব। পরিষ্কার করা হয়নি এখনো মার্কেটটি। গতকাল দুপুরে ছিল প্রচণ্ড রোদ। আর উপরের টিনের ছাদের ফুটা দিয়ে আসছিলো আলো। এই আলোর মুখে কাজ করছিলেন ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান। তার কাজের সময় দেখা যায় ৫ জন ফটোগ্রাফার দুদিক থেকে ছবি তুলছেন। সে সময় রেগে গিয়ে তিনি বলেন, মজা নেন। এতো ছবি তুলে কি হবে? আমি কি মডেল? যান এখান থেকে। বলছি চলে যান। মার্কেটের বাইরে দোকান মালিক সমিতির লোকেরা খুলেছেন সাহায্য কেন্দ্র। আর রয়েছে পুলিশ বক্সও। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দীন মোহাম্মদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
পণ্যগুলো নতুন। তবে তাতে লেগে গেছে আগুনের ছোয়া। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা বিক্রি করছেন সেসব পণ্য। অতি অল্প দামে। আর ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আনোয়ারুল ইসলাম কষ্ট নিয়ে বলেন, আজ সকাল থেকে আড়াই হাজার টাকার পন্য বিক্রি করছি। এই পণ্যের প্রকৃত বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকা হবে।
রিমি রহমান এখানেই একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অফিসের বিরতিতে দেখতে এসেছেন মার্কেটটি। কেনেন বেশ কিছু পণ্য। বলেন, অল্প দামে পেলাম অনেক কিছু। তাদের ক্ষতিটা একটু কমলো আর আমাদের লাভ হলো। গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেট। গত শনিবারের আগুনে পুড়ে যায় মার্কেটটি। পুড়ে যায় মার্কেটের ২শ’র অধিক দোকান। যে আগুনে জড়িয়ে আছে কতগুলো পরিবারের দীর্ঘশ্বাস।
পুড়ে ছাই হওয়া মার্কেটটিতে গতকাল সরজমিন দেখা যায়- এখনো প্লাস্টিকের পণ্য থাকা দোকানগুলোতে থেকে থেকে জ্বলে উঠছে আগুন। অতি সামান্য এই আগুন নিভেও যাচ্ছে কিছু সময় পর। ছড়াচ্ছে ধোঁয়া। এই আগুনের মতো থেকে থেকে জ্বলছে ব্যবসায়ীদের মন। তারা তাদের দোকানের ধ্বংসস্তূপ থেকে ভালো জিনিস খুঁজতে ব্যস্ত। মূলত তারা সন্ধান করছেন লোহা। যাতে বিক্রি করতে পারেন সেসব পণ্য। মার্কেটের ভেতর দেখা যায় চুরির উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বেশ কিছু মানুষ। দোকানদাররা বারবার তাড়িয়ে দিয়েও আটকানো মুশকিল হয়ে পড়ছে তাদের। মাহিরউদ্দিন সরকারের মার্কেটে ছিলো ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান। তিনি বলেন, কোনো কিছু খুঁজে পেলেই নিয়ে যেতে হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। নয়তো হচ্ছে চুরি। একটু আগে একটা মাল্টিপ্লাগ পেলাম এখন দেখি তা নাই। এ ছাড়াও একই ধরনের অভিযোগ মেলে অনেকের কাছ থেকে। রমজান আলী, একটি কার্টনে জমা করছিলেন ব্যবহারযোগ্য পণ্য। কিন্তু সেই কার্টন সমেত গায়েব। এরপর তিনি এক ছোট ছেলের বস্তায় আবিষ্কার করেন তা।
মার্কেটে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের লোকের থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা ঢের বেশি।
মার্কেটের বাইরে ছিল বেশ কয়েকটি পিকআপ। যেসব পিকআপে ঠাঁই হয়েছে পোড়া টিন, গ্রিল, লোহা ইত্যাদি। ক্রেতারাই এখানে আসছেন। কিনছেন। নিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব পরিবহনে।
পুরো মার্কেটজুড়ে এখনো ধ্বংসস্তূপ। সেই সঙ্গে কাদা, ময়লায় সয়লাব। পরিষ্কার করা হয়নি এখনো মার্কেটটি। গতকাল দুপুরে ছিল প্রচণ্ড রোদ। আর উপরের টিনের ছাদের ফুটা দিয়ে আসছিলো আলো। এই আলোর মুখে কাজ করছিলেন ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান। তার কাজের সময় দেখা যায় ৫ জন ফটোগ্রাফার দুদিক থেকে ছবি তুলছেন। সে সময় রেগে গিয়ে তিনি বলেন, মজা নেন। এতো ছবি তুলে কি হবে? আমি কি মডেল? যান এখান থেকে। বলছি চলে যান। মার্কেটের বাইরে দোকান মালিক সমিতির লোকেরা খুলেছেন সাহায্য কেন্দ্র। আর রয়েছে পুলিশ বক্সও। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দীন মোহাম্মদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
No comments