এফ আর টাওয়ার একটি ময়নাতদন্ত by রুদ্র মিজান
এফ
আর টাওয়ার। ফারুক রূপায়ণ টাওয়ার। দু’দিন ধরে দেশ-বিদেশে আলোচিত এ
টাওয়ারটি। বৃহস্পতিবার ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরই আলোচনায় আসে টাওয়ার।
থাই কাচ, দৃষ্টিনন্দন টাইলসে ঘেরা দেয়াল। উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত রাস্তা।
এই ভবনেই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ দিতে হয়েছে ২৫ জনকে। এজন্য অনিয়মকেই দায়ী
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবারের বিভীষিকাময় অগ্নিকাণ্ডের পর প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
সরজমিনে বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে অন্যান্য ভবন। পশ্চিমে আহমেদ টাওয়ার, পূর্বদিকে আউয়াল সেন্টার। সব ক’টি ভবনই বহুতল। প্রতিটি ভবন ১৮ থেকে ২২ তলাবিশিষ্ট। উত্তরদিকে প্রশস্ত রাস্তা। রয়েছে বেশ কয়েক ব্যাংক, হোটেল সারিনা, প্রিয়প্রাঙ্গণ, কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ দিকে দুই লেনের প্রশস্ত রাস্তা। তারপর বিভিন্ন ভবনে ব্যাংক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এই ভবনে ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা। জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার জন্য ভবনে দুটি সিঁড়ি থাকলেও তার প্রশস্ততা খুবই কম। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান জানান, সিঁড়ি দুটি দুই থেকে আড়াই ফিট। যা দিয়ে একজন মানুষ জরুরি অবস্থায় বের হতে গেলেই হিমশিম খাবে। তাও প্রায় সময়ই সিঁড়ির রাস্তা বন্ধ থাকে। বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডের সময়ও সিঁড়ির রাস্তা সাত তলায় বন্ধ ছিল। যে কারণে উপরের লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে পারেননি। ভবনে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও ছিল না।
সূত্রমতে, ভবনটিতে ২০০৮ সালেও একবার আগুন লেগেছিল। ভবনের ব্যাজমেন্টে একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আগুন ছড়ানোর আগেই তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন। তারপর বিভিন্ন সময়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনটি নোটিশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনের লিফট ছিল তিনটি। অগ্নিকাণ্ডের সময় দুটি নিচে ছিল। একটি ছিল ১২ তলায়। ওই লিফট দিয়ে একবার বেশ কয়েকজন নিচে নামতে পেরেছেন। তারপরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সাততলা থেকে নিচের লোকজন নিরাপদে নেমে গেছেন। আগুনের উৎপত্তি আট তলায় বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত আট তলা থেকে উপরের দিকে ছড়িয়ে যায় আগুন। ভয়াবহ এই আগুনে ৯, ১০, ১১ ও ১২ তলার লোকজনই বেশি মারা গেছেন। তার উপরের তলার অনেকে ছাদ দিয়ে পাশের আহমেদ টাওয়ারের ছাদ হয়ে নিচে নামতে পেরেছেন। কিন্তু ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকে আর বের হতে পারেননি। উদ্ধারকর্মীরা জানান, ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত ধোঁয়া ছড়িয়ে যায় প্রতিটি ফ্লোরে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, কার্পেট, সোফা, ক্যাবল, রাবার, সিনথেটিক ইত্যাদি। যে কারণে ধোঁয়া বাড়তেই থাকে। নিহতদের বেশিরভাগেরই ধোঁয়ার কারণে, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটেছে।
এই ভবনের ভূমির মালিক এসএমএইচআই ফারুক। তিনি একজন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী। ২০০৫ সালে এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে কাজ করেছিল রূপায়ণ। ২০০৭ সালে কাজ শেষ হয়। রূপায়ণের মালিকানাধীন ফ্লোরগুলো ২০০৮ সালে বিক্রি করে দেয়া হয়। তারপর থেকে এসএমএইচআই ফারুক ছাড়াও ভবনের মালিক হন অনেকে। তবে নিচের সাতটি দোকান ও ১০টি সম্পূর্ণ ফ্লোরের মালিক ফারুক। নিচতলার প্রিতম রেস্টুরেন্ট, বুস্টার জুস, কিনড্রেড ক্যাফে, দ্বিতীয় তলার বাটার দি অফেল ক্যাফে, বোমা বার্গার, ৫ তলার ডিডিড গ্লোবাল, ডেনটোটাল, ৬, ১৮ ও ১৯ তলার আমরা নেটওয়ার্কস লি. ১২ তলার ই ইউ আর সার্ভিস, ১৩ ও ১৪ তলার ডার্ড গ্রুপ, ১৫ তলার এফ আর প্রোপার্টিজ, চোরী কোম্পানি, ১৯ তলার এভার বেস্ট ও ২০ তলার এজে বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো তার ফ্লোরে ভাড়া দিয়েছেন তিনি।
এফ আর টাওয়ারের ৪ তলার রোজডেল কনভেনশন হল ও ১৮ তলার এবিসিডি বিজনেস সেন্টার পরিচালনা করেন ফারুক নিজেই। সবমিলিয়ে এই ভবনে প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ এখানে কাজ করেন।
এই বিপুল মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষ ছিলেন উদাসীন। ভবনটি আইন না মেনেই তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ভবনটিকে ১৯৯৬ সালে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। ২০০৭ সালে তারা রাজউকে একটি নথি দাখিল করে ২৩ তলা করার জন্য। কিন্তু তাদের সেই নথি অনুমোদনের পক্ষে কোনো দলিল রাজউকে নেই। অবৈধভাবে ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা করা হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তারা যদি রাজউকের লোকও হয় তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ভবনের মালিক এসএমএইচআই ফারুক থাকেন গুলশান-২ এলাকার ৫০ নম্বর রোডের বাসায়। তাকে পাওয়া না গেলেও গতকাল কথা হয় তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কামাল হোসেনের সঙ্গে। কামাল হোসেন জানান, এফ আর টাওয়ারের মালিক সমিতির সভাপতি ব্যবসায়ী তাসবিরুল ইসলাম। তিনি ওই ভবনের ২১, ২২ ও ২৩ তলার সানলাইট কোম্পানির মালিক। ১৮ তলা থেকে ভবনকে ২৩ তলা করার সময় তিনি অনুমোদন নিয়েছেন বলে সবাইকে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় এসএমএইচআই ফারুক জড়িত না বলে দাবি করেন কামাল। তবে চেষ্টা করেও গতকাল তাসবিরুল ইসলামের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ভবনের ডার্ড গ্রুপের অফিসের কর্মকর্তা শরীফ হোসাইন বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে কেন রাজউক, ফায়ার সার্ভিস অনুমোদন দিল। অথবা অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ হয়ে থাকলে তারা কেন ব্যবস্থা নেননি। একইভাবে এরকম প্রশ্ন তোলেন ওই ভবনের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোহাম্মদ নোমান।
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ জানান, এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনসুারেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫টি লাশ উদ্ধার ও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ২৪ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবারের বিভীষিকাময় অগ্নিকাণ্ডের পর প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
সরজমিনে বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে অন্যান্য ভবন। পশ্চিমে আহমেদ টাওয়ার, পূর্বদিকে আউয়াল সেন্টার। সব ক’টি ভবনই বহুতল। প্রতিটি ভবন ১৮ থেকে ২২ তলাবিশিষ্ট। উত্তরদিকে প্রশস্ত রাস্তা। রয়েছে বেশ কয়েক ব্যাংক, হোটেল সারিনা, প্রিয়প্রাঙ্গণ, কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ দিকে দুই লেনের প্রশস্ত রাস্তা। তারপর বিভিন্ন ভবনে ব্যাংক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এই ভবনে ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা। জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার জন্য ভবনে দুটি সিঁড়ি থাকলেও তার প্রশস্ততা খুবই কম। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান জানান, সিঁড়ি দুটি দুই থেকে আড়াই ফিট। যা দিয়ে একজন মানুষ জরুরি অবস্থায় বের হতে গেলেই হিমশিম খাবে। তাও প্রায় সময়ই সিঁড়ির রাস্তা বন্ধ থাকে। বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডের সময়ও সিঁড়ির রাস্তা সাত তলায় বন্ধ ছিল। যে কারণে উপরের লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে পারেননি। ভবনে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও ছিল না।
সূত্রমতে, ভবনটিতে ২০০৮ সালেও একবার আগুন লেগেছিল। ভবনের ব্যাজমেন্টে একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আগুন ছড়ানোর আগেই তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন। তারপর বিভিন্ন সময়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনটি নোটিশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনের লিফট ছিল তিনটি। অগ্নিকাণ্ডের সময় দুটি নিচে ছিল। একটি ছিল ১২ তলায়। ওই লিফট দিয়ে একবার বেশ কয়েকজন নিচে নামতে পেরেছেন। তারপরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সাততলা থেকে নিচের লোকজন নিরাপদে নেমে গেছেন। আগুনের উৎপত্তি আট তলায় বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত আট তলা থেকে উপরের দিকে ছড়িয়ে যায় আগুন। ভয়াবহ এই আগুনে ৯, ১০, ১১ ও ১২ তলার লোকজনই বেশি মারা গেছেন। তার উপরের তলার অনেকে ছাদ দিয়ে পাশের আহমেদ টাওয়ারের ছাদ হয়ে নিচে নামতে পেরেছেন। কিন্তু ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকে আর বের হতে পারেননি। উদ্ধারকর্মীরা জানান, ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত ধোঁয়া ছড়িয়ে যায় প্রতিটি ফ্লোরে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, কার্পেট, সোফা, ক্যাবল, রাবার, সিনথেটিক ইত্যাদি। যে কারণে ধোঁয়া বাড়তেই থাকে। নিহতদের বেশিরভাগেরই ধোঁয়ার কারণে, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটেছে।
এই ভবনের ভূমির মালিক এসএমএইচআই ফারুক। তিনি একজন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী। ২০০৫ সালে এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে কাজ করেছিল রূপায়ণ। ২০০৭ সালে কাজ শেষ হয়। রূপায়ণের মালিকানাধীন ফ্লোরগুলো ২০০৮ সালে বিক্রি করে দেয়া হয়। তারপর থেকে এসএমএইচআই ফারুক ছাড়াও ভবনের মালিক হন অনেকে। তবে নিচের সাতটি দোকান ও ১০টি সম্পূর্ণ ফ্লোরের মালিক ফারুক। নিচতলার প্রিতম রেস্টুরেন্ট, বুস্টার জুস, কিনড্রেড ক্যাফে, দ্বিতীয় তলার বাটার দি অফেল ক্যাফে, বোমা বার্গার, ৫ তলার ডিডিড গ্লোবাল, ডেনটোটাল, ৬, ১৮ ও ১৯ তলার আমরা নেটওয়ার্কস লি. ১২ তলার ই ইউ আর সার্ভিস, ১৩ ও ১৪ তলার ডার্ড গ্রুপ, ১৫ তলার এফ আর প্রোপার্টিজ, চোরী কোম্পানি, ১৯ তলার এভার বেস্ট ও ২০ তলার এজে বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো তার ফ্লোরে ভাড়া দিয়েছেন তিনি।
এফ আর টাওয়ারের ৪ তলার রোজডেল কনভেনশন হল ও ১৮ তলার এবিসিডি বিজনেস সেন্টার পরিচালনা করেন ফারুক নিজেই। সবমিলিয়ে এই ভবনে প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ এখানে কাজ করেন।
এই বিপুল মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষ ছিলেন উদাসীন। ভবনটি আইন না মেনেই তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ভবনটিকে ১৯৯৬ সালে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। ২০০৭ সালে তারা রাজউকে একটি নথি দাখিল করে ২৩ তলা করার জন্য। কিন্তু তাদের সেই নথি অনুমোদনের পক্ষে কোনো দলিল রাজউকে নেই। অবৈধভাবে ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা করা হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তারা যদি রাজউকের লোকও হয় তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ভবনের মালিক এসএমএইচআই ফারুক থাকেন গুলশান-২ এলাকার ৫০ নম্বর রোডের বাসায়। তাকে পাওয়া না গেলেও গতকাল কথা হয় তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কামাল হোসেনের সঙ্গে। কামাল হোসেন জানান, এফ আর টাওয়ারের মালিক সমিতির সভাপতি ব্যবসায়ী তাসবিরুল ইসলাম। তিনি ওই ভবনের ২১, ২২ ও ২৩ তলার সানলাইট কোম্পানির মালিক। ১৮ তলা থেকে ভবনকে ২৩ তলা করার সময় তিনি অনুমোদন নিয়েছেন বলে সবাইকে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় এসএমএইচআই ফারুক জড়িত না বলে দাবি করেন কামাল। তবে চেষ্টা করেও গতকাল তাসবিরুল ইসলামের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ভবনের ডার্ড গ্রুপের অফিসের কর্মকর্তা শরীফ হোসাইন বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে কেন রাজউক, ফায়ার সার্ভিস অনুমোদন দিল। অথবা অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ হয়ে থাকলে তারা কেন ব্যবস্থা নেননি। একইভাবে এরকম প্রশ্ন তোলেন ওই ভবনের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোহাম্মদ নোমান।
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ জানান, এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনসুারেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫টি লাশ উদ্ধার ও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ২৪ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
No comments