জ্বলছে ঢাকা
বৃহস্পতিবার
বনানীর ২২তলা বানিজ্যিক ভবনে আগুন ঢাকায় ঘটা শহুরে দুর্যোগের তালিকাকে
আরেকটু বড় করেছে। এর শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ধ্বংস
থেকে। এই দুটি ট্রাজেডির মধ্যে একইসঙ্গে মিল ও অমিল উভয়ই রয়েছে। যদিও
বনানীর ঘটনায় আজ থেকে ৬ বছর আগের ঘটনার মত ১১০০ মানুষ নিহত হয়নি। তারপরেও
বনানীর মত অভিজাত এলাকায় যেখানে বিদেশি ক্লায়েন্টদের নিয়মিত আসাযাওয়া থাকে
সেখানে এফআর টাওয়ারে ঘটা ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ক্ষুদ্র কোনো বিষয় নয়।
গত মাসেই পুরান ঢাকার অগ্নি দুর্ঘটনা ভোলার মত নয়। তাতে নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৭০ জন। দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সংগঠিত এত এত দুর্ঘটনা সত্যিই কষ্টদায়ক। বনানীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৫ জন।
কিন্তু এই বিপর্জয় নিয়ে বলা এখানেই শেষ নয়। কোলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ২০১২ সালের মার্চে একইরকম অগ্নিকান্ডে ৬ জন নিহত হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হওয়ার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এ থেকেই বোঝা যায় এখানে নিরাপত্তা বিষয়ক উপকরণের কত অভাব ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রের মত হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ফেলে উদ্ধার করা হচ্ছিল আটকে পরাদের অনেককেই। ভবনে কোনো সংকটকালীন এক্সিট না থাকায় কেউ কেউ জানালা দিয়ে বাইরে থাকা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও টেলিফোনের তার বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমেই ¯পষ্ট হয়ে গেছে যে এফআর টাওয়ার আসলে একটি শহুরে দানব যেটা কিনা নির্মানের পর থেকেই একটা মৃত্যুফাঁদ হয়ে ছিল। অনুন্নত এলাকার উন্নয়নের যে ভয়াবহতা তার সঙ্গে কোলকাতা ও ঢাকার পুরোপুরি মিল রয়েছে।
ঢাকায় ঘটা সিরিয়াল অগ্নিকান্ডের বিষয়ে কিছুটা আঁচ করা যায় ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিসের জরিপের পর। সেখানে দেখা যায় রাজধানীর ৩৭০০ সুউচ্চ ভবনের মধ্যে মাত্র ১২৯ টি ভবনের সন্তোষজনক অগ্নি নিরাপত্তা বিদ্যমান। বাকি ভবনগুলো ঝুকিপূর্ন নয়ত খুবই ঝুকিপূর্ন। এই ভবনগুলোর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে ও নির্মানের সময় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত উপায়ে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট রাখা হয়নি।
দ্রুত বর্ধনশীল মেগাসিটি ঢাকার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন এ ধরনের নানা দুর্ঘটনার ঝুকিতে রয়েছে। এর বেশিরভাগ উন্নয়নই অপরিকল্পিত। অগ্নি দুর্ঘটনা ছারাও এই ভবনগুলো রয়েছে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে। এছাড়া ২০১৫ সালের এক গবেষণায় জানা গেছে ঢাকা শহরের অর্ধেক সড়কই এত সংকীর্ণ যে কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌছাতে পারে না।
(দ্যা স্টেটমেন্টের সস্পাদকীয় থেকে অনূদিত)
গত মাসেই পুরান ঢাকার অগ্নি দুর্ঘটনা ভোলার মত নয়। তাতে নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৭০ জন। দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সংগঠিত এত এত দুর্ঘটনা সত্যিই কষ্টদায়ক। বনানীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৫ জন।
কিন্তু এই বিপর্জয় নিয়ে বলা এখানেই শেষ নয়। কোলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ২০১২ সালের মার্চে একইরকম অগ্নিকান্ডে ৬ জন নিহত হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হওয়ার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এ থেকেই বোঝা যায় এখানে নিরাপত্তা বিষয়ক উপকরণের কত অভাব ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রের মত হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ফেলে উদ্ধার করা হচ্ছিল আটকে পরাদের অনেককেই। ভবনে কোনো সংকটকালীন এক্সিট না থাকায় কেউ কেউ জানালা দিয়ে বাইরে থাকা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও টেলিফোনের তার বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমেই ¯পষ্ট হয়ে গেছে যে এফআর টাওয়ার আসলে একটি শহুরে দানব যেটা কিনা নির্মানের পর থেকেই একটা মৃত্যুফাঁদ হয়ে ছিল। অনুন্নত এলাকার উন্নয়নের যে ভয়াবহতা তার সঙ্গে কোলকাতা ও ঢাকার পুরোপুরি মিল রয়েছে।
ঢাকায় ঘটা সিরিয়াল অগ্নিকান্ডের বিষয়ে কিছুটা আঁচ করা যায় ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিসের জরিপের পর। সেখানে দেখা যায় রাজধানীর ৩৭০০ সুউচ্চ ভবনের মধ্যে মাত্র ১২৯ টি ভবনের সন্তোষজনক অগ্নি নিরাপত্তা বিদ্যমান। বাকি ভবনগুলো ঝুকিপূর্ন নয়ত খুবই ঝুকিপূর্ন। এই ভবনগুলোর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে ও নির্মানের সময় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত উপায়ে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট রাখা হয়নি।
দ্রুত বর্ধনশীল মেগাসিটি ঢাকার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন এ ধরনের নানা দুর্ঘটনার ঝুকিতে রয়েছে। এর বেশিরভাগ উন্নয়নই অপরিকল্পিত। অগ্নি দুর্ঘটনা ছারাও এই ভবনগুলো রয়েছে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে। এছাড়া ২০১৫ সালের এক গবেষণায় জানা গেছে ঢাকা শহরের অর্ধেক সড়কই এত সংকীর্ণ যে কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌছাতে পারে না।
(দ্যা স্টেটমেন্টের সস্পাদকীয় থেকে অনূদিত)
No comments