মানবপাচার চক্র: ভানুয়াতুতে ১০১ বাংলাদেশির দুর্বিষহ জীবন by দীন ইসলাম
প্রশান্ত
মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু গিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ১০১ জন
বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ১৮ বছরের কম দুইজন রয়েছেন। বাংলাদেশিরা পর্যাপ্ত
খাবার পাচ্ছেন না। পাশাপাশি পাচ্ছেন না ভালো চিকিৎসা সেবা। এজন্য জীবন নিয়ে
চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন তারা। দেশে কবে ফিরতে পারবেন এটাও জানেন না।
মূলত ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ওই দেশটিতে কাজের আশায় নিয়ে যাওয়া হয়
তাদের। কাজ দূরে থাক, এখন ওই বাংলাদেশিদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে
ভানুয়াতু সরকার।
বিষয়টি সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ জেনেছে।
এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে আটক বাংলাদেশি হারুন অর রশীদ এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি দেয়ার নামে দালালরা ১৫-২০ লাখ টাকা করে নেয়। এরপর ভারত, সিঙ্গাপুর ও ফিজি হয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে নিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে গেছে দালালরা। গত দুই বছরে এরকম ১০১ জন অভিবাসী প্রত্যাশী অস্ট্রেলিয়ার নিকটবর্তী দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে আটকা পড়েছেন। আপাতত তাদের পোর্ট ভিলার তিনটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। ভানুয়াতু সরকার তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের হয়ে ভানুয়াতু হিউম্যান রাইটস কোয়ালিশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বাংলাদেশিদের সহায়তা দিচ্ছে। শ্রমিকদের দাবি, ভানুয়াতু ও অস্ট্রেলিয়াতে ভালো চাকরি দেবার নামে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন ভানুয়াতুতে আটক আছেন তারা। হারুন অর রশিদ নামে আটকা পড়া একজন বাংলাদেশি মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা হবে এই আশ্বাসে আমি আত্মীয়স্বজন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভানুয়াতু আসি। এখন দেশে ফিরে যেতে হলে সেই ঋণ শোধ করার কোনো উপায় নেই। আমরা যদি এখানে থাকার সুযোগ পাই, কোনো কাজ আমরা পাব না। আবার দেশে ফিরে গেলে কী হবে, সেটাও ভাবতে পারছি না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভানুয়াতুতে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া চার বাংলাদেশি মানবপাচারকারীকে আটক করেছে ভানুয়াতু কর্তৃপক্ষ? আটককৃতদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১০১ জনের তথ্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর মাধ্যমে ভানুয়াতু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখনও পর্যন্ত সরকার ১০১ জন সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। আইওএম সূত্রে জানা গেছে, আটকে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে ভানুয়াতু সরকার। আদালতের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত ওই ১০১ বাংলাদেশিকে ভানুয়াতু সরকারের দেয়া খাবার আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে সেখানেই দিন কাটাতে হবে। কারণ ওই মানবপাচার মামলায় তাদের সবাইকে সাক্ষী করা হয়েছে। সেখানে তাদের কাজের সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। মানবপাচারের মামলা আগামী মাসে ভানুয়াতুর আদালতে উঠবে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা। পাচারকৃতদের সূত্রে জানা গেছে, তারা টাঙ্গাইল ও বরিশাল অঞ্চলের একটি পাচারচক্রের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন? এ চক্রটি চাকরি দেবার নাম করে তাদের ভারত, সিঙ্গাপুর ও ফিজি হয়ে ভানুয়াতুতে নিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০১ জন বাংলাদেশিকে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে গ্রেপ্তার করেছে ভানুয়াতু সরকার। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুই জন ভানুয়াতুতে মিস্টার প্রাইস নামে একটি গৃহস্থালী ও আসবাবপত্রের কোম্পানি চালাতেন। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ভানুয়াতুতে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই? তবে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মাধ্যমে তারা আটকে থাকা এ বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অফিসিয়ালি কাজ শুরু হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশের দূতাবাস।
বিষয়টি সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ জেনেছে।
এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে আটক বাংলাদেশি হারুন অর রশীদ এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি দেয়ার নামে দালালরা ১৫-২০ লাখ টাকা করে নেয়। এরপর ভারত, সিঙ্গাপুর ও ফিজি হয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে নিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে গেছে দালালরা। গত দুই বছরে এরকম ১০১ জন অভিবাসী প্রত্যাশী অস্ট্রেলিয়ার নিকটবর্তী দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে আটকা পড়েছেন। আপাতত তাদের পোর্ট ভিলার তিনটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। ভানুয়াতু সরকার তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের হয়ে ভানুয়াতু হিউম্যান রাইটস কোয়ালিশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বাংলাদেশিদের সহায়তা দিচ্ছে। শ্রমিকদের দাবি, ভানুয়াতু ও অস্ট্রেলিয়াতে ভালো চাকরি দেবার নামে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন ভানুয়াতুতে আটক আছেন তারা। হারুন অর রশিদ নামে আটকা পড়া একজন বাংলাদেশি মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা হবে এই আশ্বাসে আমি আত্মীয়স্বজন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভানুয়াতু আসি। এখন দেশে ফিরে যেতে হলে সেই ঋণ শোধ করার কোনো উপায় নেই। আমরা যদি এখানে থাকার সুযোগ পাই, কোনো কাজ আমরা পাব না। আবার দেশে ফিরে গেলে কী হবে, সেটাও ভাবতে পারছি না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভানুয়াতুতে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া চার বাংলাদেশি মানবপাচারকারীকে আটক করেছে ভানুয়াতু কর্তৃপক্ষ? আটককৃতদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১০১ জনের তথ্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর মাধ্যমে ভানুয়াতু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখনও পর্যন্ত সরকার ১০১ জন সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। আইওএম সূত্রে জানা গেছে, আটকে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে ভানুয়াতু সরকার। আদালতের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত ওই ১০১ বাংলাদেশিকে ভানুয়াতু সরকারের দেয়া খাবার আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে সেখানেই দিন কাটাতে হবে। কারণ ওই মানবপাচার মামলায় তাদের সবাইকে সাক্ষী করা হয়েছে। সেখানে তাদের কাজের সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। মানবপাচারের মামলা আগামী মাসে ভানুয়াতুর আদালতে উঠবে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা। পাচারকৃতদের সূত্রে জানা গেছে, তারা টাঙ্গাইল ও বরিশাল অঞ্চলের একটি পাচারচক্রের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন? এ চক্রটি চাকরি দেবার নাম করে তাদের ভারত, সিঙ্গাপুর ও ফিজি হয়ে ভানুয়াতুতে নিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০১ জন বাংলাদেশিকে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে গ্রেপ্তার করেছে ভানুয়াতু সরকার। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুই জন ভানুয়াতুতে মিস্টার প্রাইস নামে একটি গৃহস্থালী ও আসবাবপত্রের কোম্পানি চালাতেন। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ভানুয়াতুতে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই? তবে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মাধ্যমে তারা আটকে থাকা এ বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অফিসিয়ালি কাজ শুরু হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশের দূতাবাস।
No comments