সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু: ঢাকা ছেড়ে গেল দুই বছরের আদিব by পিয়াস সরকার
মোটর
মেকানিকের কাজ করে সংসার চালাতেন নাজমুল ইসলাম শান্ত। স্ত্রী রেশমা আর দুই
বছরের ছেলে আদিবকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। থাকতেন মগবাজারে। একমাত্র ছেলেকে
প্রকৌশলী করার স্বপ্ন ছিল তার। ২৫শে মার্চ বাইকে করে মিরপুর যাওয়ার পথে
বাসচাপায় মারা যান শান্ত। সবেমাত্র বাবা ডাক শিখতে পারা আদিব এখনো বুঝে
উঠতে পারেনি বাবা নামের আশ্রয়টি আর তার মাথার ওপর নেই। শান্তর লাশ দাফন
করতে ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন রেশমা। বাবা নেই তাই ছোট্ট আদিবের আর
ঢাকা ফেরা হবে না।
দাদার বাড়িতে চাচাদের আশ্রয়ে থাকবে সে।
এখন আদিব শুধু বাবাকে খুঁজে ফিরে। আর ডাকতে থাকে- বাবা। আয়। আয়। বাবার দেয়া প্রথম জুতা পায়ে হাঁটতো সে। চিরনিদ্রায় যাওয়ার মাত্র তিনদিন আগে কিনে দিয়েছিলেন এই লাল জুতা জোড়া। মগবাজারে আম বাগান এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন শান্ত। ২৫শে মার্চ সোমবার সকালে বের হয়েছিলেন নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে। গন্তব্য মিরপুর বিআরটিএ অফিস। উদ্দেশ্য মোটরসাইকেলের কাগজপত্র করানো। পথিমথ্যে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় মডার্ন উড ফার্নিচারের দোকানের সামনে ধাক্কা দেয় তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি গাড়ি। তখন সময় আনুমানিক সোয়া ১০টা। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে প্রথমে পাশের আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় শেরে বাংলা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শান্তর বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালীকাপুর, হোসনাবাদ গ্রামে। সেখানেই হয়েছে তার শেষ আশ্রয়। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে অথৈ সাগরে পড়েছেন রেশমা বেগম। বয়স তার ২৪। বিয়ের ২ বছরের মাথায় কোল আলো করে আসে শিশু আদিব। নিজের অনাগত ভবিষ্যতের থেকে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত তিনি। রেশমা বেগমের সঙ্গে কথা হয় মোবাইল ফোনে। কথা বলতে বলতে বেশ কয়েকবার থমকে যায় তার গলা। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে কান্নার শব্দ। তিনি বলেন, এই বাচ্চাটা বাবা ছাড়া কেমনে বাঁচবে। বাবা ছাড়া কোনোদিন ঘুমায়নি। এখন বাবার ছবি দেখলেই বলে ওঠে- বাবা। আয়। আয়। বাচ্চাটাকে কে বুঝাবে তার বাবা আর ফিরবে না। তিনি আরো বলেন, ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চেয়েছিলো তার বাবা।
এখন তিনি তার শ্বশুর বাড়ি মাদারীপুরেই আছেন। মাদারীপুরেই থাকবেন নাকি চলে আসবেন ঢাকায়? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রায় ২০ সেকেন্ড চুপ করে থাকেন তিনি। এরপর বলেন, ঢাকা গিয়ে আর কী করবো। ঢাকাতে আদিবের বাবা নাই। ঢাকাতে আমার কেউ নাই। এখানেই মানুষ করবো ছেলেটাকে। এই ছেলেটাই এখন আমার সব।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শান্তরা চার ভাই, এক বোন। কথা হয় নিহত শান্তর বড় ভাই জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। বলেন, এই বাচ্চাটা নিয়ে কই যাবে রেশমা। ঢাকাতে আর ফিরবেই বা কেন? বাচ্চাটা আমাদের সঙ্গেই থাকবে। থাকবে তার মাকে নিয়ে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেঁতুলিয়া পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কোনো যোগাযোগ করেনি কেউ। পাননি কোনো সহযোগিতা। ঘটনার পরই ঘাতক বাসচালকে আটক করেন পথচারীরা। মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
দাদার বাড়িতে চাচাদের আশ্রয়ে থাকবে সে।
এখন আদিব শুধু বাবাকে খুঁজে ফিরে। আর ডাকতে থাকে- বাবা। আয়। আয়। বাবার দেয়া প্রথম জুতা পায়ে হাঁটতো সে। চিরনিদ্রায় যাওয়ার মাত্র তিনদিন আগে কিনে দিয়েছিলেন এই লাল জুতা জোড়া। মগবাজারে আম বাগান এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন শান্ত। ২৫শে মার্চ সোমবার সকালে বের হয়েছিলেন নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে। গন্তব্য মিরপুর বিআরটিএ অফিস। উদ্দেশ্য মোটরসাইকেলের কাগজপত্র করানো। পথিমথ্যে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় মডার্ন উড ফার্নিচারের দোকানের সামনে ধাক্কা দেয় তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি গাড়ি। তখন সময় আনুমানিক সোয়া ১০টা। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে প্রথমে পাশের আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় শেরে বাংলা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শান্তর বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালীকাপুর, হোসনাবাদ গ্রামে। সেখানেই হয়েছে তার শেষ আশ্রয়। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে অথৈ সাগরে পড়েছেন রেশমা বেগম। বয়স তার ২৪। বিয়ের ২ বছরের মাথায় কোল আলো করে আসে শিশু আদিব। নিজের অনাগত ভবিষ্যতের থেকে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত তিনি। রেশমা বেগমের সঙ্গে কথা হয় মোবাইল ফোনে। কথা বলতে বলতে বেশ কয়েকবার থমকে যায় তার গলা। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে কান্নার শব্দ। তিনি বলেন, এই বাচ্চাটা বাবা ছাড়া কেমনে বাঁচবে। বাবা ছাড়া কোনোদিন ঘুমায়নি। এখন বাবার ছবি দেখলেই বলে ওঠে- বাবা। আয়। আয়। বাচ্চাটাকে কে বুঝাবে তার বাবা আর ফিরবে না। তিনি আরো বলেন, ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চেয়েছিলো তার বাবা।
এখন তিনি তার শ্বশুর বাড়ি মাদারীপুরেই আছেন। মাদারীপুরেই থাকবেন নাকি চলে আসবেন ঢাকায়? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রায় ২০ সেকেন্ড চুপ করে থাকেন তিনি। এরপর বলেন, ঢাকা গিয়ে আর কী করবো। ঢাকাতে আদিবের বাবা নাই। ঢাকাতে আমার কেউ নাই। এখানেই মানুষ করবো ছেলেটাকে। এই ছেলেটাই এখন আমার সব।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শান্তরা চার ভাই, এক বোন। কথা হয় নিহত শান্তর বড় ভাই জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। বলেন, এই বাচ্চাটা নিয়ে কই যাবে রেশমা। ঢাকাতে আর ফিরবেই বা কেন? বাচ্চাটা আমাদের সঙ্গেই থাকবে। থাকবে তার মাকে নিয়ে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেঁতুলিয়া পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কোনো যোগাযোগ করেনি কেউ। পাননি কোনো সহযোগিতা। ঘটনার পরই ঘাতক বাসচালকে আটক করেন পথচারীরা। মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
No comments