‘বন্দুকধারীকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি’
নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান
ফরিদ আহমেদ। কিন্তু এ হামলায় নিহত হন তার স্ত্রীসহ অর্ধশত মানুষ। শুক্রবার
২০,০০০ মানুষের এক সমাবেশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি ওই বন্দুকধারীকে ক্ষমা
করে দিয়েছি। আল-জাজিরা জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে ঘটা ভয়ংকর সেই সন্ত্রাসী
হামলার জাতীয় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় ক্রাইস্টচার্চে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন
ওই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা ফরিদ আহমেদ।
ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছি কারণ আমি আগ্নেয়গিরির মত জ্বলতে থাকা একটি হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। আমি আমার হৃদয়কে ভালবাসা ও দয়ায় পূর্ন রাখতে চাই যাতে আমি সহজেই হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিতে পারি। আমি চাই না আমার ক্ষতির জন্য পৃথিবীর আর একটি প্রাণও হারিয়ে যাক।
সমাবেশে তিনি সকলকে একসঙ্গে শান্তির জন্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। ফরিদ আহমেদ নিউজিল্যান্ডের সব নাগরিকদের একটি পরিবারের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, আমি হয়ত ভিন্ন এক সংস্কৃতি থেকে এসেছি, আপনিও অন্য এক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, হয়ত আমার বিশ্বাস এক, আপনার বিশ্বাস আমার থেকে আলাদা কিন্তু আমরা একসঙ্গে বৈচিত্রময় একটি বাগানের মত।
হামলার পর নিউজিল্যান্ডজুরে নিহতদের স্মরণে বেশ কয়েকটি স্বরণসভা আয়োজন করা হয়েছে। তবে এটি ছিল সবথেকে বড়। এতে অংশ নিয়েছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও এ স্মরনসভায় যোগ দিয়েছেন। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা। এর মধ্যে রয়েছেন শিল্পী ইউসুফ ইসলাম যিনি পিস ট্রেন নামে তার বিখ্যাত গানটি গান। হাজার হাজার মানুষ নিশ্চুপভাবে দাঁড়িয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন একটি মাওরি আদিবাসীদের পোষাক পরে আসেন। তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি সবধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহবান জানান। আরডেন বলেন, সকল সহিংসতার একটি সহজ সমাধান রয়েছে। এটি কোনো সীমানা নয়, জাতিগোষ্ঠী বা শক্তি নয়, এমনকি কোনো সরকারও নয়। এর সমাধান নিহিত আছে মানবতার মধ্যে। সমাবেশস্থলটি কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছি কারণ আমি আগ্নেয়গিরির মত জ্বলতে থাকা একটি হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। আমি আমার হৃদয়কে ভালবাসা ও দয়ায় পূর্ন রাখতে চাই যাতে আমি সহজেই হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিতে পারি। আমি চাই না আমার ক্ষতির জন্য পৃথিবীর আর একটি প্রাণও হারিয়ে যাক।
সমাবেশে তিনি সকলকে একসঙ্গে শান্তির জন্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। ফরিদ আহমেদ নিউজিল্যান্ডের সব নাগরিকদের একটি পরিবারের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, আমি হয়ত ভিন্ন এক সংস্কৃতি থেকে এসেছি, আপনিও অন্য এক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, হয়ত আমার বিশ্বাস এক, আপনার বিশ্বাস আমার থেকে আলাদা কিন্তু আমরা একসঙ্গে বৈচিত্রময় একটি বাগানের মত।
হামলার পর নিউজিল্যান্ডজুরে নিহতদের স্মরণে বেশ কয়েকটি স্বরণসভা আয়োজন করা হয়েছে। তবে এটি ছিল সবথেকে বড়। এতে অংশ নিয়েছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও এ স্মরনসভায় যোগ দিয়েছেন। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা। এর মধ্যে রয়েছেন শিল্পী ইউসুফ ইসলাম যিনি পিস ট্রেন নামে তার বিখ্যাত গানটি গান। হাজার হাজার মানুষ নিশ্চুপভাবে দাঁড়িয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন একটি মাওরি আদিবাসীদের পোষাক পরে আসেন। তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি সবধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহবান জানান। আরডেন বলেন, সকল সহিংসতার একটি সহজ সমাধান রয়েছে। এটি কোনো সীমানা নয়, জাতিগোষ্ঠী বা শক্তি নয়, এমনকি কোনো সরকারও নয়। এর সমাধান নিহিত আছে মানবতার মধ্যে। সমাবেশস্থলটি কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
No comments