স্বামীর সঙ্গে চলে গেলেন অন্তঃসত্ত্বা রুমকি by শাহনেওয়াজ বাবলু
রুমকি
রহমান। বয়স ৩০। গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিন্যাকুড়িতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসেন ঢাকায়। পড়াশোনা শেষে চাকরি শুরু করেন
বনানীর হেরিটেজ এয়ার কোম্পানিতে। সেখানেই পরিচয় হয় মাকসুদুর রহমান জেমির
সঙ্গে। দু’জনই একই অফিসে চাকরি করতেন। পরিচয় থেকে প্রেম।
পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন জেমি ও রুমকি। বিয়ের পরও হেরিটেজ এয়ার কোম্পানিতেই চাকরি করতেন এই দম্পতি। রুমকি ছিলেন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জীবনে যেমন প্রেম ছিল তাদের মরণেও তেমন। দু’জনই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রুমকি ও জেমির জীবন ইতিহাসকে থামিয়ে দেয়।
মাকসুদুর রহমান আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন। আর স্ত্রী রুমকি পুড়ে মরেন আগুনে। আগুন লাগার পর ১০ তলা থেকে লাফ দেন মাকসুদ। সেখান থেকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রুমকিকে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ শনাক্ত করেন রুমকির স্বামীর খালাতো ভাই ইমতিয়াজ। জেমিকে গতকাল ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় তার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। আর রুমকিকে দাফন করা হয় দিনাজপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে।
মাকসুদ তার ছোট বোন, মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আলমগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে মাকসুদুর। ছোটবেলায় বাবা মারা গেছেন। ছোট বোন রাজধানীর সেন্ট্রাল ওইমেন্স কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পাস করেছে। সম্প্রতি পরিবার নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল তার।
জেমির খালাত ভাই ওয়াসেক ফাইয়াজ মানবজমিনকে বলেন, বনানীতে আগুন লাগার পর থেকেই আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজখবর নিই। ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে জেমি ভাইয়ার লাশ এবং ঢামেক থেকে রুমকি ভাবির লাশ শনাক্ত করি আমরা। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে তারা দু’জনই দুনিয়াতে নেই। তাদের বাসা আর আমাদের বাসা খুব কাছাকছি। ছোটবেলা থেকেই মাকসুদ ভাইয়ার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ভাবিও খুব ভালো মানুষ ছিলেন।
এদিকে নিহত রুমকির গ্রাম বিন্যাকুড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা হারা পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান ছিল রুমকি। বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে গতকাল বাদ জুমা তাকে দাফন করা হয়।
রুমকির বাবা আশরাফ আলী মানবজমিনকে বলেন, ‘মা মরা মেয়ে আমার। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। কিছুদিন আগেও আমি ঢাকায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছি। তার বাসায় গেলে আমাকে আসতে দিতো না। বলতো, আরো কিছুদিন থেকে যাও না বাবা। আমার মেয়েটা সন্তান সম্ভবা ছিল। এক নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল আমার।’
নীলফামারী ও জলঢাকা প্রতিনিধি জানান, বনানী ট্যাজেডির শিকার রুমকির বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল। বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। শোকে পাথর হয়ে গেছেন সবাই। বিয়ের মাত্র দু’বছরের মাথায় রুমকি ও তার স্বামীর এ করুণ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউ। গতকাল শুক্রবার ভোরে রুমকির লাশ গ্রামে এসে পৌঁছলে কান্নায় আকাশ বাতাস হয়ে ওঠে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি প্রতিবেশীরাও। বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন রুমকির বাবা-মা। জুমার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত রুমকির জানাজায় হাজারো মানুষের উপস্থিতি আর মুনাজাতে পরম করুণাময়ের কাছে রুমকির রুহের মাগফিরাত কামনায় করুণ আকুতি যেন সবাইকে অশ্রসজল করে। রুমকি জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর ছোট ভাই আশরাফ আলীর মেয়ে।
পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন জেমি ও রুমকি। বিয়ের পরও হেরিটেজ এয়ার কোম্পানিতেই চাকরি করতেন এই দম্পতি। রুমকি ছিলেন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জীবনে যেমন প্রেম ছিল তাদের মরণেও তেমন। দু’জনই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রুমকি ও জেমির জীবন ইতিহাসকে থামিয়ে দেয়।
মাকসুদুর রহমান আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন। আর স্ত্রী রুমকি পুড়ে মরেন আগুনে। আগুন লাগার পর ১০ তলা থেকে লাফ দেন মাকসুদ। সেখান থেকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রুমকিকে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ শনাক্ত করেন রুমকির স্বামীর খালাতো ভাই ইমতিয়াজ। জেমিকে গতকাল ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় তার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। আর রুমকিকে দাফন করা হয় দিনাজপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে।
মাকসুদ তার ছোট বোন, মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আলমগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে মাকসুদুর। ছোটবেলায় বাবা মারা গেছেন। ছোট বোন রাজধানীর সেন্ট্রাল ওইমেন্স কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পাস করেছে। সম্প্রতি পরিবার নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল তার।
জেমির খালাত ভাই ওয়াসেক ফাইয়াজ মানবজমিনকে বলেন, বনানীতে আগুন লাগার পর থেকেই আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজখবর নিই। ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে জেমি ভাইয়ার লাশ এবং ঢামেক থেকে রুমকি ভাবির লাশ শনাক্ত করি আমরা। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে তারা দু’জনই দুনিয়াতে নেই। তাদের বাসা আর আমাদের বাসা খুব কাছাকছি। ছোটবেলা থেকেই মাকসুদ ভাইয়ার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ভাবিও খুব ভালো মানুষ ছিলেন।
এদিকে নিহত রুমকির গ্রাম বিন্যাকুড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা হারা পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান ছিল রুমকি। বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে গতকাল বাদ জুমা তাকে দাফন করা হয়।
রুমকির বাবা আশরাফ আলী মানবজমিনকে বলেন, ‘মা মরা মেয়ে আমার। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। কিছুদিন আগেও আমি ঢাকায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছি। তার বাসায় গেলে আমাকে আসতে দিতো না। বলতো, আরো কিছুদিন থেকে যাও না বাবা। আমার মেয়েটা সন্তান সম্ভবা ছিল। এক নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল আমার।’
নীলফামারী ও জলঢাকা প্রতিনিধি জানান, বনানী ট্যাজেডির শিকার রুমকির বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল। বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। শোকে পাথর হয়ে গেছেন সবাই। বিয়ের মাত্র দু’বছরের মাথায় রুমকি ও তার স্বামীর এ করুণ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউ। গতকাল শুক্রবার ভোরে রুমকির লাশ গ্রামে এসে পৌঁছলে কান্নায় আকাশ বাতাস হয়ে ওঠে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি প্রতিবেশীরাও। বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন রুমকির বাবা-মা। জুমার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত রুমকির জানাজায় হাজারো মানুষের উপস্থিতি আর মুনাজাতে পরম করুণাময়ের কাছে রুমকির রুহের মাগফিরাত কামনায় করুণ আকুতি যেন সবাইকে অশ্রসজল করে। রুমকি জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর ছোট ভাই আশরাফ আলীর মেয়ে।
No comments