ভুলের খেসারত দিলো বাংলাদেশ by ইশতিয়াক পারভেজ
মিরপুর
শেরেবাংলা মাঠে শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান।
ক্যারিবীয়দের হাতে অক্ষত ৪ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন সেঞ্চুরি হাঁকানো হোপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা তখন তারই হাতে। ততক্ষণে ভালোমতো ম্যাচে ফিরেছে
বাংলাদেশ দলও। কিন্তু ৪৮তম ওভারে রুবেল দিলেন ১০ রান। আর ৪৯তম ওভারে
মোস্তাফিজ ১৬ রান দিলে গুঁড়িয়ে যায় টাইগারদের আশা। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য
প্রয়োজন ৬ রান।
বল হাতে এসেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আর কেউ বাধা হতে পারেননি ক্যারিবীয়দের জয়ের পথে। একাই লড়াই করে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন হোপ। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৪৬ রান। তার সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে পলের অবদান ১৮ রান। ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের জয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে উত্তেজনা জমিয়ে রেখেছে ক্যারিবীয়রা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচেই হবে সিরিজের ফয়সালা। সেই সঙ্গে বছরের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে উৎসবে মাতার সুযোগও রইলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে। তামিম, মুশফিক ও সাকিব ফিফটি হাঁকালেও তাদের রান তোলার পাগলামিতে আউট হওয়া আর ফিল্ডারদের ক্যাচ ছাড়ার খেসারতেই বাংলাদেশের হার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই শেষ ম্যাচে জিততে হলে নিজেদের সেরাটা দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের হাতে।
২৫৬ রান, লক্ষ্যটা ছোট নয়। কিন্তু সামনে যে প্রতিপক্ষ ক্যারিবিয়ানরা। তাদের কব্জির জোর যে কোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচের মোড়। কিন্তু দারুণ শুরু এনে দিলেন তরুণ অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। চন্দ্রপল হিমরাজকে ফিরিয়ে দিলেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। তবে সেখানেই যেন থেমে গেল বাংলাদেশের সব সফলতা। সিরিজ জয়ের ম্যাচে টাইগারদের বোলিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দিলেন শেই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভো। ধীরে ধীরে শুরু করলেও চড়াও হতে শুরু করলেন দ্বিগুণ গতিতে। গড়ে তুললেন ৬৭ রানের জুটি। এক উইকেট হারানোর পরও স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলেন দু’জন ৭০ রান। তবে ২৭ রান করা ব্রাভোকে আউট করে পথের কাঁটা কমালেন রুবেল হোসেন। বলে হালকাভাবে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ব্রাভো। ব্যাটে বলে সংযোগটা ঠিক ভাবে করতে পারেননি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
কিন্তু তাতেও পাহাড় হয়ে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন হোপ। আবার দলকে আরো একটি ফিফটি রানের জুটি উপহার দেন। এবার তার সঙ্গী অভিজ্ঞ মারলন স্যামুয়েলস। এই জুটি মাশরাফির বোলিং বিভাগকে আরো বেশি হতাশ করে তোলে। ক্যারিবীয়দের স্কোর বোর্ডে তখন মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান। বলতে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ক্যারিবীয়দের হাতে। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের পরিকল্পিত বোলিংয়ে ২৬ রান করা স্যামুয়েলস ধরা পড়েন। মোস্তাফিজের কাটার বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্যামুয়েলসের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ হয়ে ধরা পড়ে। তৃতীয় উইকেটে হোপের সঙ্গে ৬২ রানের ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙে। তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। কিন্তু হোপ যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব আশার আলো। একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন এক প্রান্ত আগলে রেখে।
এবার হোপ সঙ্গী হিসেবে পান তরুণ বিপজ্জনক শিমরন হেটমায়ারকে। তবে দ্রুতই তাকে আউট করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু রুবেলের উঠা ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দেন ইমরুল। তবে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় এই তরুণ ব্যাটসম্যান। রুবেলের বলেই ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন। ভাঙে ২৩ রানের জুটি। কিন্তু তখনো বাংলাদেশের বোলারদের একমাত্র প্রতিপক্ষ হোপ। তাকে সঙ্গ দিতে এসে ফিরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও। তাকে ফিরান টাইগার অধিনায়ক। বল ড্রাইভে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পাওয়েল ক্যাচ দেন মিড অনে সৌম্য সরকারের হাতে। ১ রানে আউট হন পাওয়েল। ৩৩.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ১৫৭। এরপর অপ্রতিরোদ্ধ হোপ জুটি বাঁধেন চেজকে নিয়ে। এই জুটিতে আসে ২৮ রান। কিন্তু ১৪ রান করা চেজকে আউট করে দলের জন্য আশা জাগান মোস্তাফিজ। কিন্তু সেই আশাও গুঁড়িয়ে দেন হোপ। এবার তার সঙ্গী কিমো পল। দলকে টেনে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ৪৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তুলে নেন তৃতীয় সেঞ্চুরি।
এরপরই ম্যাচ গড়ায় চরম উত্তেজনায়। শেষ চার ওভারে ক্যারিবীয়দের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে তা কঠিন করে তোলেন। ৪৭তম ওভারে মাত্র ২ রানই নিতে পারে তারা। কিন্তু যখন ১৮ বলে প্রয়োজন ৩২ তখন রুবেল হোসেনের ওভার থেকে রান বাড়িয়ে নেন ক্যারিবীয়রা। সেই ওভারেই শেষ বলে পলের ক্যাচ ফেলে দ্বিতীয় জীবন দেন নাজমুল ইসলাম অপু। বলতে গেলে এই দুই জীবনেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। দুইবার জীবন পেয়ে কিমো ৩১ বলে করেন ১৮ রান।
বল হাতে এসেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আর কেউ বাধা হতে পারেননি ক্যারিবীয়দের জয়ের পথে। একাই লড়াই করে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন হোপ। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৪৬ রান। তার সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে পলের অবদান ১৮ রান। ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের জয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে উত্তেজনা জমিয়ে রেখেছে ক্যারিবীয়রা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচেই হবে সিরিজের ফয়সালা। সেই সঙ্গে বছরের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে উৎসবে মাতার সুযোগও রইলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে। তামিম, মুশফিক ও সাকিব ফিফটি হাঁকালেও তাদের রান তোলার পাগলামিতে আউট হওয়া আর ফিল্ডারদের ক্যাচ ছাড়ার খেসারতেই বাংলাদেশের হার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই শেষ ম্যাচে জিততে হলে নিজেদের সেরাটা দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের হাতে।
২৫৬ রান, লক্ষ্যটা ছোট নয়। কিন্তু সামনে যে প্রতিপক্ষ ক্যারিবিয়ানরা। তাদের কব্জির জোর যে কোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচের মোড়। কিন্তু দারুণ শুরু এনে দিলেন তরুণ অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। চন্দ্রপল হিমরাজকে ফিরিয়ে দিলেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। তবে সেখানেই যেন থেমে গেল বাংলাদেশের সব সফলতা। সিরিজ জয়ের ম্যাচে টাইগারদের বোলিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দিলেন শেই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভো। ধীরে ধীরে শুরু করলেও চড়াও হতে শুরু করলেন দ্বিগুণ গতিতে। গড়ে তুললেন ৬৭ রানের জুটি। এক উইকেট হারানোর পরও স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলেন দু’জন ৭০ রান। তবে ২৭ রান করা ব্রাভোকে আউট করে পথের কাঁটা কমালেন রুবেল হোসেন। বলে হালকাভাবে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ব্রাভো। ব্যাটে বলে সংযোগটা ঠিক ভাবে করতে পারেননি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
কিন্তু তাতেও পাহাড় হয়ে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন হোপ। আবার দলকে আরো একটি ফিফটি রানের জুটি উপহার দেন। এবার তার সঙ্গী অভিজ্ঞ মারলন স্যামুয়েলস। এই জুটি মাশরাফির বোলিং বিভাগকে আরো বেশি হতাশ করে তোলে। ক্যারিবীয়দের স্কোর বোর্ডে তখন মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান। বলতে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ক্যারিবীয়দের হাতে। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের পরিকল্পিত বোলিংয়ে ২৬ রান করা স্যামুয়েলস ধরা পড়েন। মোস্তাফিজের কাটার বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্যামুয়েলসের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ হয়ে ধরা পড়ে। তৃতীয় উইকেটে হোপের সঙ্গে ৬২ রানের ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙে। তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। কিন্তু হোপ যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব আশার আলো। একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন এক প্রান্ত আগলে রেখে।
এবার হোপ সঙ্গী হিসেবে পান তরুণ বিপজ্জনক শিমরন হেটমায়ারকে। তবে দ্রুতই তাকে আউট করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু রুবেলের উঠা ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দেন ইমরুল। তবে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় এই তরুণ ব্যাটসম্যান। রুবেলের বলেই ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন। ভাঙে ২৩ রানের জুটি। কিন্তু তখনো বাংলাদেশের বোলারদের একমাত্র প্রতিপক্ষ হোপ। তাকে সঙ্গ দিতে এসে ফিরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও। তাকে ফিরান টাইগার অধিনায়ক। বল ড্রাইভে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পাওয়েল ক্যাচ দেন মিড অনে সৌম্য সরকারের হাতে। ১ রানে আউট হন পাওয়েল। ৩৩.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ১৫৭। এরপর অপ্রতিরোদ্ধ হোপ জুটি বাঁধেন চেজকে নিয়ে। এই জুটিতে আসে ২৮ রান। কিন্তু ১৪ রান করা চেজকে আউট করে দলের জন্য আশা জাগান মোস্তাফিজ। কিন্তু সেই আশাও গুঁড়িয়ে দেন হোপ। এবার তার সঙ্গী কিমো পল। দলকে টেনে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ৪৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তুলে নেন তৃতীয় সেঞ্চুরি।
এরপরই ম্যাচ গড়ায় চরম উত্তেজনায়। শেষ চার ওভারে ক্যারিবীয়দের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে তা কঠিন করে তোলেন। ৪৭তম ওভারে মাত্র ২ রানই নিতে পারে তারা। কিন্তু যখন ১৮ বলে প্রয়োজন ৩২ তখন রুবেল হোসেনের ওভার থেকে রান বাড়িয়ে নেন ক্যারিবীয়রা। সেই ওভারেই শেষ বলে পলের ক্যাচ ফেলে দ্বিতীয় জীবন দেন নাজমুল ইসলাম অপু। বলতে গেলে এই দুই জীবনেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। দুইবার জীবন পেয়ে কিমো ৩১ বলে করেন ১৮ রান।
No comments