এবারের নির্বাচন যাতে গতবারের মতো না হয় -আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিইসি
একাদশ
সংসদ নির্বাচনের সময় বিনা কারণে কাউকে গ্রেপ্তার, হয়রানি করা যাবে না।
নির্বাচনী পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে
পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগামি ৩০ তারিখের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য ইতিমধ্যে সব রাজনৈতিক দল, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। নির্বাচনী সব ব্যাবস্থাপনা ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবারের নির্বাচন যাতে গত বারের মতো না হয়। সেই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পরও অনেক ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মানুষ মারা গেছে। এই নির্বাচনে যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সিইসি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব হলো দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ঠিক রাখা। পেশাদারিত্বের দায়িত্ব নিয়ে এবারের নির্বাচনে সতর্ককতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চান সিইসি। সিইসি বলেন, যাতে নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা না হয় সেজন্য সব গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয় কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের প্রতি জোর দেন সিইসি। সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, পেছনের একটা ঘটনার রেষ টানা প্রয়োজন। সেটি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতির রুপরেখা ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল। সশস্ত্র বাহিনী ছিল, পুলিশ বাহিনী ছিল, র্যাব ছিল, বিজিবি ছিল। তবুও আমরা কি দেখিছিলাম! পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছিল, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভষ্মিভূত হয়েছে। সেটা কি প্রেক্ষিত ছিল, আমরা কেনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি- সে প্রসঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ ও প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তিনি বলেন, সেই অবস্থা থেকে আমাদের কিভাবে উত্তরণ করা যায়। সেরকম কোনো পায়তারা যাতে না হয়। আবার যাতে সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হই। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জীবন রক্ষা করা, মালামাল রক্ষা করা, সম্পদ রক্ষা ও দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। আমি আশা করবো আপনাদের যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্ব দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও মানসিতকা দিয়ে এবারের নির্বাচনে আমরা এসব মোকাবিলা করতে পারবো। এ বছর যেনো আর সেরকম তা-ব না ঘটে। সেরকম পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি না হয়। এখন থেকে সেটা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা কিন্তু আশঙ্কা গুলো একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। যেদিন প্রতীক বরাদ্দ হলো তার পরের দিনই দুর্ঘটনা। সে ঘটনাগুলো যত ছোটই হোক না কেনো, দুটো জীবন চলে গেলো। সে দুটো জীবনের মূল্য অনেক। কিন্তু কেনো হলো? তারপরে এখানে ওখানে ভাঙচুর, প্রতিহত করা। এগুলোর পেছনে কি রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চলছে কি না তা কিন্তু ভালোভাবে নজরে নিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটা ঘটনা ঘটে গেলো এক জনের দোষ আরেক জনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হালকা ভাবে নিলে হবে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সতর্ক অবস্থান নেয়ার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। গোয়ান্দা সংস্থাগুলোর প্রতি সতর্ক নজরদারি রাখার অনুরোধ করবো।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগামি ৩০ তারিখের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য ইতিমধ্যে সব রাজনৈতিক দল, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। নির্বাচনী সব ব্যাবস্থাপনা ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবারের নির্বাচন যাতে গত বারের মতো না হয়। সেই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পরও অনেক ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মানুষ মারা গেছে। এই নির্বাচনে যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সিইসি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব হলো দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ঠিক রাখা। পেশাদারিত্বের দায়িত্ব নিয়ে এবারের নির্বাচনে সতর্ককতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চান সিইসি। সিইসি বলেন, যাতে নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা না হয় সেজন্য সব গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয় কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের প্রতি জোর দেন সিইসি। সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, পেছনের একটা ঘটনার রেষ টানা প্রয়োজন। সেটি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতির রুপরেখা ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল। সশস্ত্র বাহিনী ছিল, পুলিশ বাহিনী ছিল, র্যাব ছিল, বিজিবি ছিল। তবুও আমরা কি দেখিছিলাম! পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছিল, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভষ্মিভূত হয়েছে। সেটা কি প্রেক্ষিত ছিল, আমরা কেনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি- সে প্রসঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ ও প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তিনি বলেন, সেই অবস্থা থেকে আমাদের কিভাবে উত্তরণ করা যায়। সেরকম কোনো পায়তারা যাতে না হয়। আবার যাতে সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হই। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জীবন রক্ষা করা, মালামাল রক্ষা করা, সম্পদ রক্ষা ও দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। আমি আশা করবো আপনাদের যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্ব দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও মানসিতকা দিয়ে এবারের নির্বাচনে আমরা এসব মোকাবিলা করতে পারবো। এ বছর যেনো আর সেরকম তা-ব না ঘটে। সেরকম পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি না হয়। এখন থেকে সেটা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা কিন্তু আশঙ্কা গুলো একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। যেদিন প্রতীক বরাদ্দ হলো তার পরের দিনই দুর্ঘটনা। সে ঘটনাগুলো যত ছোটই হোক না কেনো, দুটো জীবন চলে গেলো। সে দুটো জীবনের মূল্য অনেক। কিন্তু কেনো হলো? তারপরে এখানে ওখানে ভাঙচুর, প্রতিহত করা। এগুলোর পেছনে কি রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চলছে কি না তা কিন্তু ভালোভাবে নজরে নিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটা ঘটনা ঘটে গেলো এক জনের দোষ আরেক জনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হালকা ভাবে নিলে হবে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সতর্ক অবস্থান নেয়ার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। গোয়ান্দা সংস্থাগুলোর প্রতি সতর্ক নজরদারি রাখার অনুরোধ করবো।
No comments