বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে মার্কিন কংগ্রেসে রেজ্যুলেশন পাস: মতপ্রকাশ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান
বাংলাদেশে
অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতি
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে একটি রেজ্যুলেশন
পাস করেছে মার্কিন কংগ্রেস। বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব
রিপ্রেজেন্টেটিভে সর্বসম্মতিক্রমে রেজ্যুলেশনটি পাস হয়। এর আগে গত সপ্তাহে
ডেমোক্রেট সদস্য বিল কিটিং কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির কাছে
রেজুলেশনটি উত্থাপন করেছিলেন। বুধবার তা নিম্নকক্ষের সব সদস্যের সম্মতিতে
পাস হয়। এতে চারটি মৌলিক বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রথমত- বাংলাদেশে অবাধ,
নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার
পুনঃনিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। দ্বিতীয়ত- গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের
স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য রেজুলেশনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি
আহ্বান জানানো হয়।
পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তৃতীয়ত- এমন পক্ষপাতিত্বহীন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয় যাতে বাংলাদেশিরা স্বাধীনভাবে অংশ নিতে পারে। একই সঙ্গে ভোটারদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানায় মার্কিন কংগ্রেস। চতুর্থত- রেজুলেশনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখানোর জন্য বাংলাদেশি জনগণ ও সরকারের প্রশংসা করা হয়।
এছাড়াও রেজুলেশনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ও অতীতের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সহিংসতা, ইসলামী উগ্রপন্থা, শরণার্থী সংকটসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্র্র্র্বাচনকে গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে রেজুলেশনে বলা হয়- সব ভোটারের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যে নির্বাচনে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানো হয়, তাই ন্যায্য নির্বাচন। দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রান্ত হলে তা বাংলাদেশি জনগণের আত্মত্যাগকে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে এতে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি বাংলাদেশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তাও ক্ষুণ্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ বলে রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কায় বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে রেজুলেশনে বলা হয়, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শ্রম অধিকার, শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধসহ পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে দুদেশের সম্পর্ক অভিন্ন মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র নিশ্চিতের অভিন্ন স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে আরো সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া। এ ছাড়া রেজুলেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ধর্মীয় সহাবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তৃতীয়ত- এমন পক্ষপাতিত্বহীন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয় যাতে বাংলাদেশিরা স্বাধীনভাবে অংশ নিতে পারে। একই সঙ্গে ভোটারদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানায় মার্কিন কংগ্রেস। চতুর্থত- রেজুলেশনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখানোর জন্য বাংলাদেশি জনগণ ও সরকারের প্রশংসা করা হয়।
এছাড়াও রেজুলেশনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ও অতীতের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সহিংসতা, ইসলামী উগ্রপন্থা, শরণার্থী সংকটসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্র্র্র্বাচনকে গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে রেজুলেশনে বলা হয়- সব ভোটারের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যে নির্বাচনে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানো হয়, তাই ন্যায্য নির্বাচন। দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রান্ত হলে তা বাংলাদেশি জনগণের আত্মত্যাগকে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে এতে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি বাংলাদেশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তাও ক্ষুণ্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ বলে রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কায় বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে রেজুলেশনে বলা হয়, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শ্রম অধিকার, শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধসহ পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে দুদেশের সম্পর্ক অভিন্ন মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র নিশ্চিতের অভিন্ন স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে আরো সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া। এ ছাড়া রেজুলেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ধর্মীয় সহাবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।
No comments