পশ্চিমবঙ্গে ক’টা মুসলিম ছেলে চাকরি পেয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন: আব্দুল মান্নান
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আব্দুল মান্নান |
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আব্দুল
মান্নান বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক’টা মুসলিম ছেলে চাকরি পেয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী
জবাব দিন। তিনি আজ (বুধবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় দলীয় এক সমাবেশে
ভাষণ দেয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ওই প্রশ্ন
ছুঁড়ে দিয়েছেন।
রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস বিজেপিকে পরাজিত করে জয়ী হওয়ায় আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোলকাতার রানী রাসমণি রোডে বিজয় উৎসব পালন করতে এক জনসমাবেশ করা হয়। ওই সভায় কংগ্রেস নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আব্দুল্ল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘(ফিরহাদ হাকিমকে)কোলকাতার মেয়র করেছেন বলে যদি আপনি মনে করেন আপনি সব মুসলিমদের কিনে নিয়েছেন, তা ঠিক নয়। তাহলে তো বিজেপি এ পি জে আব্দুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল সব মুসলিমরা বিজেপি’র দিকে চলে যেত। মুসলিমদের কী অবস্থা আজ হয়ে রয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা বারবার জিজ্ঞেস করেছি, আমাদের বিধায়করা বারবার জিজ্ঞেস করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন। ক’টা মুসলিম ছেলে (তৃণমূল সরকারের আমলে) চাকরি পেয়েছে? কোলকাতা পুলিশের পাঁচ বছরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে একটা মুসলিম ছেলেও চাকরি পায়নি। এমনকি কনস্টেবলের চাকরি, তাও পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মুসলিমদের চাকরি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেজন্য তাঁকে বলতে হয়নি যে তিনি মুসলিম হয়েছেন। আজকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ধর্মীয় মেরুকরণ একদিকে বিজেপি করছে, আর একদিকে তৃণমূল মেরুকরণের মধ্য দিয়ে মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে আব্দুল্ল মান্নান বলেন, ‘উনি রোজা রেখে প্রসাদ খান, প্রসাদ খাওয়াটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু রোজা রেখে তো প্রসাদ খাওয়া যায় না বাবা! মুসলিমদের এতই বেওকুফ ভাবেন? একদিকে বিজেপি যেমন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, হিন্দুদের বোঝাচ্ছে আমি তোমাদের হিন্দু। অন্যদিকে, মমতা মুসলিমদের ভোট নেয়ার জন্য বলছেন আমি মুসলিম হয়ে গেছি! দুটোই হিন্দু-মুসলিমের শত্রু। কেউ মুসলিমদের বন্ধু নয়, হিন্দুদেরও বন্ধু নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সমস্যা হচ্ছে হাসপাতাল, শিক্ষা ক্ষেত্র, মেয়েদের সম্মান রক্ষা করা। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূলের আমলে সবই ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেছে।’ আব্দুল্ল মান্নান বলেন, ‘কংগ্রেসের এখন ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসে গেছে। সেজন্য যারা কংগ্রেস ছেড়ে চলে গেছেন তারা ফিরে আসুন। যে কংগ্রেস একদিন সিপিএমের কাছে ত্রাস হয়ে গিয়েছিল, সেই কংগ্রেস আবার ভারতে বিজেপির কাছে ত্রাস হয়ে যাবে। কংগ্রেস আগামীদিনে তৃণমূলের কাছে ত্রাস হয়ে যাবে। তৃণমূল যতই চেষ্টা তা করুক রুখতে পারবে না।’
আজ কোলকাতায় কংগ্রেসের ওই সভায় আব্দুল মান্নান, সোমেন মিত্র, গৌরব গগৈ, অধীর চৌধুরী, দীপা দাসমুন্সী-সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস বিজেপিকে পরাজিত করে জয়ী হওয়ায় আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোলকাতার রানী রাসমণি রোডে বিজয় উৎসব পালন করতে এক জনসমাবেশ করা হয়। ওই সভায় কংগ্রেস নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আব্দুল্ল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘(ফিরহাদ হাকিমকে)কোলকাতার মেয়র করেছেন বলে যদি আপনি মনে করেন আপনি সব মুসলিমদের কিনে নিয়েছেন, তা ঠিক নয়। তাহলে তো বিজেপি এ পি জে আব্দুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল সব মুসলিমরা বিজেপি’র দিকে চলে যেত। মুসলিমদের কী অবস্থা আজ হয়ে রয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা বারবার জিজ্ঞেস করেছি, আমাদের বিধায়করা বারবার জিজ্ঞেস করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন। ক’টা মুসলিম ছেলে (তৃণমূল সরকারের আমলে) চাকরি পেয়েছে? কোলকাতা পুলিশের পাঁচ বছরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে একটা মুসলিম ছেলেও চাকরি পায়নি। এমনকি কনস্টেবলের চাকরি, তাও পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মুসলিমদের চাকরি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেজন্য তাঁকে বলতে হয়নি যে তিনি মুসলিম হয়েছেন। আজকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ধর্মীয় মেরুকরণ একদিকে বিজেপি করছে, আর একদিকে তৃণমূল মেরুকরণের মধ্য দিয়ে মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে আব্দুল্ল মান্নান বলেন, ‘উনি রোজা রেখে প্রসাদ খান, প্রসাদ খাওয়াটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু রোজা রেখে তো প্রসাদ খাওয়া যায় না বাবা! মুসলিমদের এতই বেওকুফ ভাবেন? একদিকে বিজেপি যেমন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, হিন্দুদের বোঝাচ্ছে আমি তোমাদের হিন্দু। অন্যদিকে, মমতা মুসলিমদের ভোট নেয়ার জন্য বলছেন আমি মুসলিম হয়ে গেছি! দুটোই হিন্দু-মুসলিমের শত্রু। কেউ মুসলিমদের বন্ধু নয়, হিন্দুদেরও বন্ধু নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সমস্যা হচ্ছে হাসপাতাল, শিক্ষা ক্ষেত্র, মেয়েদের সম্মান রক্ষা করা। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূলের আমলে সবই ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেছে।’ আব্দুল্ল মান্নান বলেন, ‘কংগ্রেসের এখন ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসে গেছে। সেজন্য যারা কংগ্রেস ছেড়ে চলে গেছেন তারা ফিরে আসুন। যে কংগ্রেস একদিন সিপিএমের কাছে ত্রাস হয়ে গিয়েছিল, সেই কংগ্রেস আবার ভারতে বিজেপির কাছে ত্রাস হয়ে যাবে। কংগ্রেস আগামীদিনে তৃণমূলের কাছে ত্রাস হয়ে যাবে। তৃণমূল যতই চেষ্টা তা করুক রুখতে পারবে না।’
আজ কোলকাতায় কংগ্রেসের ওই সভায় আব্দুল মান্নান, সোমেন মিত্র, গৌরব গগৈ, অধীর চৌধুরী, দীপা দাসমুন্সী-সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments