"আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ইসলামি বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ মোজেজা"
ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, বর্তমান বিপ্লবী ও
মুমিন তরুণ প্রজন্মের সাহসিকতা ও শাহাদাতের যে প্রেরণা কাজ করছে তা ইসলামি
বিপ্লবেরই একটি মোজেজা। তিনি তেহরানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের এক সমাবেশে এ
কথা বলেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা দখলদার ইসরাইল এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, "আমরা তাদের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। কারণ এখন পর্যন্ত শত্রুরা ইরানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবং তাদের কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি। আর আগামীতেও তারা কিছুই করতে পারবে না।" এ প্রসঙ্গে তিনি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনি(র.)এর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, যে জাতির শাহাদাতের স্পৃহা রয়েছে তাদেরকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পরও আমেরিকা সবসময়ই চেষ্টা করেছে বিপ্লবপূর্ব অবস্থানের মতো এ দেশটির ওপর ফের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। যেমনটি আমেরিকা এ অঞ্চলের কয়েকটি দুর্বল দেশের ওপর পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করে আছে এবং এ দেশগুলোকে তারা দুধ দেয়া গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছে। ইরানকেও আমেরিকা তাদের করদ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল কিন্তু সে লক্ষ্য তাদের পূরণ হয়নি এবং আগামীতেও হবে না। ইরানে বিপ্লবের প্রথম দিকের মতো বর্তমান বিপ্লবী ও মুমিন তরুণ প্রজন্মও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং তারা বিপ্লবী চেতনা, ধর্ম ও বিশ্বাসকে রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই চেতনা ও বিশ্বাস ইসলামি ইরানকে যেমন টিকিয়ে রেখেছে তেমনি শত্রুদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়ও ভূমিকা রাখছে। এ বিষয়টিকে দু'দিক থেকে মূল্যায়ন করা যায়। প্রথমত, শত্রুদের ইরানি জাতির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনো দিনই বাস্তবায়ন হবে না। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধের চেতনা ধরে রাখার কারণে ধর্মীয়, বিপ্লবী মূল্যবোধ ও শাহাদাতের প্রেরণা উজ্জীবিত রয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যেমনটি বলেছেন, আমেরিকার উদ্দেশ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির মাধ্যমে একদিকে ইরানের ভেতরে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত বাধানো এবং অন্যদিকে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে আনা। আমেরিকা এটাকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে এর নাম দিতে চেয়েছিল হট সামার অর্থাৎ 'উত্তপ্ত গ্রীষ্ম'। কিন্তু তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বরং এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক।
বাস্তবতা হচ্ছে, ইসলামি বিপ্লবের পর গত ৪০ বছরের ইতিহাসে পরিপূর্ণতার পথে ইরানের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। ইরানের এ ধারাবাহিক সাফল্য শহীদদের রক্তের কাছে ঋণী যারা কিনা দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বিরাট অবদান রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীর দিকে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, যদি এই শাহাদাতকামী প্রেরণা না থাকত তাহলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটত এবং আরো নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হত। অর্থাৎ এ অঞ্চল ইসরাইল ও পাশ্চাত্যের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হত। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যেমনটি বলেছেন, "যে জাতি যাবতীয় বিপদ-আপদ উপেক্ষা করে আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে নিজেদের সৌভাগ্য ও সফলতা দেখতে পায় পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না, তারাই বিজয়ী হবে এবং সেই জাতির উন্নতিকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।"
যাইহোক, ইরানের সরকার ও জনগণ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এটাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসলামি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোজেজা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা দখলদার ইসরাইল এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, "আমরা তাদের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। কারণ এখন পর্যন্ত শত্রুরা ইরানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবং তাদের কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি। আর আগামীতেও তারা কিছুই করতে পারবে না।" এ প্রসঙ্গে তিনি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনি(র.)এর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, যে জাতির শাহাদাতের স্পৃহা রয়েছে তাদেরকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পরও আমেরিকা সবসময়ই চেষ্টা করেছে বিপ্লবপূর্ব অবস্থানের মতো এ দেশটির ওপর ফের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। যেমনটি আমেরিকা এ অঞ্চলের কয়েকটি দুর্বল দেশের ওপর পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করে আছে এবং এ দেশগুলোকে তারা দুধ দেয়া গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছে। ইরানকেও আমেরিকা তাদের করদ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল কিন্তু সে লক্ষ্য তাদের পূরণ হয়নি এবং আগামীতেও হবে না। ইরানে বিপ্লবের প্রথম দিকের মতো বর্তমান বিপ্লবী ও মুমিন তরুণ প্রজন্মও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং তারা বিপ্লবী চেতনা, ধর্ম ও বিশ্বাসকে রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই চেতনা ও বিশ্বাস ইসলামি ইরানকে যেমন টিকিয়ে রেখেছে তেমনি শত্রুদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়ও ভূমিকা রাখছে। এ বিষয়টিকে দু'দিক থেকে মূল্যায়ন করা যায়। প্রথমত, শত্রুদের ইরানি জাতির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনো দিনই বাস্তবায়ন হবে না। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধের চেতনা ধরে রাখার কারণে ধর্মীয়, বিপ্লবী মূল্যবোধ ও শাহাদাতের প্রেরণা উজ্জীবিত রয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যেমনটি বলেছেন, আমেরিকার উদ্দেশ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির মাধ্যমে একদিকে ইরানের ভেতরে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত বাধানো এবং অন্যদিকে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে আনা। আমেরিকা এটাকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে এর নাম দিতে চেয়েছিল হট সামার অর্থাৎ 'উত্তপ্ত গ্রীষ্ম'। কিন্তু তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বরং এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক।
বাস্তবতা হচ্ছে, ইসলামি বিপ্লবের পর গত ৪০ বছরের ইতিহাসে পরিপূর্ণতার পথে ইরানের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। ইরানের এ ধারাবাহিক সাফল্য শহীদদের রক্তের কাছে ঋণী যারা কিনা দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বিরাট অবদান রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীর দিকে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, যদি এই শাহাদাতকামী প্রেরণা না থাকত তাহলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটত এবং আরো নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হত। অর্থাৎ এ অঞ্চল ইসরাইল ও পাশ্চাত্যের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হত। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যেমনটি বলেছেন, "যে জাতি যাবতীয় বিপদ-আপদ উপেক্ষা করে আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে নিজেদের সৌভাগ্য ও সফলতা দেখতে পায় পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না, তারাই বিজয়ী হবে এবং সেই জাতির উন্নতিকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।"
যাইহোক, ইরানের সরকার ও জনগণ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এটাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসলামি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোজেজা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
No comments