গহীন জঙ্গলে চিতার আক্রমণে ধ্যানরত বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যু
ভারতে
মহারাষ্ট্রে গহীন জঙ্গলে চিতাবাঘের আক্রমণে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু নিহত হয়েছেন।
তাদোবা ফরেস্ট নামের এই জঙ্গলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্যান
করতেন। এটি বাঘের অভয়ারণ্য হিসেবে সুপরিচিত। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,
ভিক্ষু রাহুল ওয়াকে তাদোবা ফরেস্টের গহীনে একটি গাছের নিচে বসে ধ্যান করতেন
। তিনি জঙ্গলের ভেতরে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ভিক্ষু ছিলেন। কিন্তু
প্রায়ই মন্দির থেকে অনেক দুরে গহীন জঙ্গলে চলে যেতেন। সেখানে একটি গাছের
নীচে বসে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। জঙ্গলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, গহীন জঙ্গলে যাওয়ার বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
কিন্তু ভিক্ষু রাহুল এই সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে সেখানে যাওয়া অব্যাহত রাখেন। এর ফলে তাকে জীবন দিতে হলো। সংশ্লিষ্ট মন্দিরের আরেকজন ভিক্ষু জানান, বুধবার সকালে গহীন জঙ্গলে ধ্যানরত রাহুলকে খাবার দিতে যাওয়ার সময় তিনি চিতাবাঘকে আক্রমণ করতে দেখেছেন। পরে আতঙ্কিত হয়ে সাহায্যের জন্য মন্দিরে ফিরে আসেন তিনি। পরে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে যখন আবারো গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করেন, তখন রাহুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
এখন ওই চিতাবাঘটিকে বন্দি করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফরেস্ট অফিসার জিপি নারায়ণ। তিনি বলেন, বাঘটিকে ধরার জন্য আমরা দুইটি ফাঁদ পেতেছি। এছাড়া বাঘের অবস্থান শনাক্ত করতে জঙ্গলের ভেতরে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার ভিক্ষু রাহুলের পরিবারকে ১২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী তাদোবা ফরেস্টে প্রায় ৮৮টি বাঘ রয়েছে। এই জঙ্গলে ভল্লুক, হায়েনাসহ আরো হিংস্র প্রাণীর বসবাস রয়েছে।
কিন্তু ভিক্ষু রাহুল এই সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে সেখানে যাওয়া অব্যাহত রাখেন। এর ফলে তাকে জীবন দিতে হলো। সংশ্লিষ্ট মন্দিরের আরেকজন ভিক্ষু জানান, বুধবার সকালে গহীন জঙ্গলে ধ্যানরত রাহুলকে খাবার দিতে যাওয়ার সময় তিনি চিতাবাঘকে আক্রমণ করতে দেখেছেন। পরে আতঙ্কিত হয়ে সাহায্যের জন্য মন্দিরে ফিরে আসেন তিনি। পরে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে যখন আবারো গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করেন, তখন রাহুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
এখন ওই চিতাবাঘটিকে বন্দি করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফরেস্ট অফিসার জিপি নারায়ণ। তিনি বলেন, বাঘটিকে ধরার জন্য আমরা দুইটি ফাঁদ পেতেছি। এছাড়া বাঘের অবস্থান শনাক্ত করতে জঙ্গলের ভেতরে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার ভিক্ষু রাহুলের পরিবারকে ১২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী তাদোবা ফরেস্টে প্রায় ৮৮টি বাঘ রয়েছে। এই জঙ্গলে ভল্লুক, হায়েনাসহ আরো হিংস্র প্রাণীর বসবাস রয়েছে।
No comments