‘দেশভাগের সময়ই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল’
দেশভাগের
সময়ই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ছিল- এমন মন্তব্য
করেছেন মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারক এসআর সেন। সোমবার আমন রানা নামের এক
ব্যক্তির স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনের শুনানিকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। আমন
রানাকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন দেয়া হচ্ছিল না।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে করা এ শুনানিকালে বিচারক সেন হিন্দুত্ববাদসহ আরো
অনেক বিষয় তুলে ধরেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আমন রানার শুনানিকালে বিচারক বলেন, পাকিস্তান নিজেদের মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারত যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়েছিল, তাই ভারতের উচিত ছিল নিজেদের হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা। কিন্তু দেশটি এখনও ধর্মনিরপেক্ষই রয়ে গেছে।
এসময় মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারতকে আরেকটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা কারোই উচিত হবে না।
তাহলে সেটা ভারত এবং বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে। আমি নিশ্চিত এই বিষয়ের গুরুত্ব শুধু মোদি সরকারই বুঝবে এবং এ জন্য যাবতীয় কিছু করবে। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের স্বার্থে সকল প্রকার সহায়তা চালিয়ে যাবেন।
এ সময় সকল নাগরিকের জন্য অভিন্ন আইনের দাবি করেন বিচারক সেন। তিনি বলেন, ভারতের আইন এবং সংবিধানের বিরোধিতাকারীদের দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সর্বপ্রথম আমরা ভারতীয়, পরে আমরা ভালো মানুষ। এরপরে আসে আমরা কোন সম্প্রদায়ের।
বিচারক এসআর সেন আরো বলেন, অনেক রক্তপাতের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আর এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ছিল হিন্দু এবং শিখরা। তাদেরকে নিজেদের পৈতৃকভিটা, জন্মস্থান ছেড়ে যেতে হয়েছে। আমরা তাদের অবদান কোনোদিন ভুলব না। তাদেরকে হয়ত কখনও ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়ে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল। একইভাবে ভারতের বাইরে অবস্থানকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু এবং শিখরা যখন ইচ্ছা ভারতে আসতে পারেন। তাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা উচিত। এছাড়া ভারতে বসবাসরত মুসলিম নাগরিক, যারা ভারতের আইন মেনে চলে, তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়ার প্রতি জোর দেন তিনি।
ভারতে মুসলিম বিস্তার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় দেশ ছিল। এখানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তান বলে কিছু ছিল না। সব মিলিয়ে ছিল একটি দেশ যা হিন্দুরাজাদের অধীনস্থ ছিল। এরপর মুঘলরা এসে বিভিন্ন অংশ দখল করে নেয় এবং দেশ শাসন শুরু করে। সে সময়টাতে অনেক জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটে।
আমন রানার শুনানিকালে বিচারক বলেন, পাকিস্তান নিজেদের মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারত যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়েছিল, তাই ভারতের উচিত ছিল নিজেদের হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা। কিন্তু দেশটি এখনও ধর্মনিরপেক্ষই রয়ে গেছে।
এসময় মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারতকে আরেকটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা কারোই উচিত হবে না।
তাহলে সেটা ভারত এবং বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে। আমি নিশ্চিত এই বিষয়ের গুরুত্ব শুধু মোদি সরকারই বুঝবে এবং এ জন্য যাবতীয় কিছু করবে। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের স্বার্থে সকল প্রকার সহায়তা চালিয়ে যাবেন।
এ সময় সকল নাগরিকের জন্য অভিন্ন আইনের দাবি করেন বিচারক সেন। তিনি বলেন, ভারতের আইন এবং সংবিধানের বিরোধিতাকারীদের দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সর্বপ্রথম আমরা ভারতীয়, পরে আমরা ভালো মানুষ। এরপরে আসে আমরা কোন সম্প্রদায়ের।
বিচারক এসআর সেন আরো বলেন, অনেক রক্তপাতের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আর এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ছিল হিন্দু এবং শিখরা। তাদেরকে নিজেদের পৈতৃকভিটা, জন্মস্থান ছেড়ে যেতে হয়েছে। আমরা তাদের অবদান কোনোদিন ভুলব না। তাদেরকে হয়ত কখনও ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়ে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল। একইভাবে ভারতের বাইরে অবস্থানকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু এবং শিখরা যখন ইচ্ছা ভারতে আসতে পারেন। তাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা উচিত। এছাড়া ভারতে বসবাসরত মুসলিম নাগরিক, যারা ভারতের আইন মেনে চলে, তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়ার প্রতি জোর দেন তিনি।
ভারতে মুসলিম বিস্তার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় দেশ ছিল। এখানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তান বলে কিছু ছিল না। সব মিলিয়ে ছিল একটি দেশ যা হিন্দুরাজাদের অধীনস্থ ছিল। এরপর মুঘলরা এসে বিভিন্ন অংশ দখল করে নেয় এবং দেশ শাসন শুরু করে। সে সময়টাতে অনেক জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটে।
No comments