শ্রমিকদের ভার বহন আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি কতদূর by বাহাউদ্দিন ইমরান
হিমাগারে
আলুর বস্তা বহনে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি এবং নারী
শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন না করার নির্দেশনা দিয়ে রায়
দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ রায়টি বাস্তবায়নে সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ
করেছে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে নির্ধারিত সে
সময় পার না হওয়ায় আদালতের রায়ের বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে অপেক্ষায় রয়েছে
মামলার রিটকারী পক্ষ।
দেশের বিভিন্ন হিমাগারে নিয়ম না মেনে ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহন করাতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপর হিমাগারে ৫০ কেজি ওজনের আলুর বস্তা বহনে শ্রমিকদের বাধ্য করার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের শরীর ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করতে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদফতর, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে তারা আবেদন জানায়। কিন্তু এসব জায়গায় ইতিবাচক কোনও জবাব না পাওয়ায় তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হিমাগারে আলুর বস্তা বহন করতে গিয়ে রাজশাহীর শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে রিটটি দায়ের করেন রাজশাহীর পবা উপজেলার লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন। ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুহান খান। পরে একই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত এ মামলায় রুল জারি করেন।
তবে হাইকোর্টে মামলাটি চলমান থাকাবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো বেশ কিছু হিমাগার পরিদর্শন করে বলে জানান ব্যারিস্টার সুহান খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সরকারি সংস্থাগুলোর পরিদর্শন শেষে সেখানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে দণ্ড এবং জরিমানাও করা হয়। পরে বিষয়টি সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে অবহিতও করেছেন।’
এদিকে, মামলার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৫ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিমাগারে আলুর বস্তা বহনে নিয়োজিত প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন নয় মর্মে শ্রম আইন করে বিধিটি প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী সুহান খান বলেন, ‘রায়ের পর তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শ্রম সচিব ও প্রধান কারখানা পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ এ মামলার রায় হয়। এর এক মাস সময় শেষ হলেও এখনও দুই মাস সময় রয়েছে। তাই আদালতের রায়টি বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা তার মূল চিত্রটি দু’মাসের মধ্যে জানা যাবে। আমরা সেই প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি।’
দেশের বিভিন্ন হিমাগারে নিয়ম না মেনে ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহন করাতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপর হিমাগারে ৫০ কেজি ওজনের আলুর বস্তা বহনে শ্রমিকদের বাধ্য করার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের শরীর ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করতে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদফতর, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে তারা আবেদন জানায়। কিন্তু এসব জায়গায় ইতিবাচক কোনও জবাব না পাওয়ায় তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হিমাগারে আলুর বস্তা বহন করতে গিয়ে রাজশাহীর শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে রিটটি দায়ের করেন রাজশাহীর পবা উপজেলার লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন। ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুহান খান। পরে একই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত এ মামলায় রুল জারি করেন।
তবে হাইকোর্টে মামলাটি চলমান থাকাবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো বেশ কিছু হিমাগার পরিদর্শন করে বলে জানান ব্যারিস্টার সুহান খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সরকারি সংস্থাগুলোর পরিদর্শন শেষে সেখানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে দণ্ড এবং জরিমানাও করা হয়। পরে বিষয়টি সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে অবহিতও করেছেন।’
এদিকে, মামলার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৫ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিমাগারে আলুর বস্তা বহনে নিয়োজিত প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন নয় মর্মে শ্রম আইন করে বিধিটি প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী সুহান খান বলেন, ‘রায়ের পর তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শ্রম সচিব ও প্রধান কারখানা পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ এ মামলার রায় হয়। এর এক মাস সময় শেষ হলেও এখনও দুই মাস সময় রয়েছে। তাই আদালতের রায়টি বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা তার মূল চিত্রটি দু’মাসের মধ্যে জানা যাবে। আমরা সেই প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি।’
No comments