রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয়ের দেশ সৌদি আরব
স্নায়ুযুদ্ধের
পর গত বছর সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়। বুধবার
সুইডেনভিত্তিক প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম পিস রিচার্স
ইনস্টিটিউট (সিপরি) প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে দেখা গেছে, গত বছর এই খাতে
বিশ্বের দেশগুলো ব্যয় করেছে প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার নয়শ’ কোটি মার্কিন ডলার।
সেনা সদস্যদের বেতন, অভিযানের খরচ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্রয়, এই সংক্রান্ত
গবেষণা ও উন্নয়নে এসব অর্থ ব্যয় করেছে বিশ্বের দেশগুলো। সর্বোচ্চ ব্যয়কারী
দেশের তালিকায় রাশিয়াকে পেছনে ফেলে তিন নম্বরে উঠে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের
তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
ফ্রান্সকে টপকে পঞ্চম স্থানে উঠে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। শীর্ষ ১০-এ
থাকা অপর দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া।
মজুত শেষ হয়ে আসায় তেল নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে গত বছর রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে মধ্যপন্থি ইসলামী মতাদর্শের দিকে ধাবিত হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে মোকাবিলা করে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সামরিক ব্যয় বাড়াতে থাকে দেশটি। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত বছর দেশটি সামরিক খাতে ৬ হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। আর রাশিয়া এই খাতে ৬ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে চার নম্বরে নেমে গেছে।
অবশ্য তালিকার প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় এর চেয়ে অনেক বেশি। গত বছরের সমান ব্যয় ধরে রেখে দেশটি এই খাতে খরচ করেছে ৬১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ একাই করে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর এই বিনিয়োগ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয়ের দেশ চীন গত বছর এই খাতে খরচ করেছে ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
পঞ্চম স্থানে উঠতে গত বছর ভারত সামরিক খাতে ব্যয় করেছে প্রায় ৬ হাজার চারশ’ কোটি মার্কিন ডলার। ষষ্ঠ স্থানে থাকা ফ্রান্সের খরচ ৫ হাজার ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। সপ্তম স্থানের যুক্তরাজ্যের ব্যয় ৪ হাজার ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার। ৪ হাজার ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে জাপানের অবস্থান আট নম্বরে। ৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার খরচ করে জার্মানি নয় নম্বরে। তালিকার ১০ নম্বরে আছে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর তাদের ব্যয় ৩ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলার।
সিপরি প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৫২ শতাংশ করেছে ইউরোপের সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়ার হুমকি বাড়তে থাকায় মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে এ বছরে তাদের সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
এক বিবৃতিতে সিপরি চেয়ারম্যান জ্যান এলিসন বলেছেন, সামরিক খাতে এই বিপুল ব্যয় বৃদ্ধি মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি করছে। বিশ্বজুড়ে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজাকে ব্যাহত করবে এই ব্যয় বৃদ্ধি।
মজুত শেষ হয়ে আসায় তেল নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে গত বছর রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে মধ্যপন্থি ইসলামী মতাদর্শের দিকে ধাবিত হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে মোকাবিলা করে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সামরিক ব্যয় বাড়াতে থাকে দেশটি। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত বছর দেশটি সামরিক খাতে ৬ হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। আর রাশিয়া এই খাতে ৬ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে চার নম্বরে নেমে গেছে।
অবশ্য তালিকার প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় এর চেয়ে অনেক বেশি। গত বছরের সমান ব্যয় ধরে রেখে দেশটি এই খাতে খরচ করেছে ৬১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ একাই করে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর এই বিনিয়োগ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয়ের দেশ চীন গত বছর এই খাতে খরচ করেছে ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
পঞ্চম স্থানে উঠতে গত বছর ভারত সামরিক খাতে ব্যয় করেছে প্রায় ৬ হাজার চারশ’ কোটি মার্কিন ডলার। ষষ্ঠ স্থানে থাকা ফ্রান্সের খরচ ৫ হাজার ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। সপ্তম স্থানের যুক্তরাজ্যের ব্যয় ৪ হাজার ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার। ৪ হাজার ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে জাপানের অবস্থান আট নম্বরে। ৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার খরচ করে জার্মানি নয় নম্বরে। তালিকার ১০ নম্বরে আছে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর তাদের ব্যয় ৩ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলার।
সিপরি প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৫২ শতাংশ করেছে ইউরোপের সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়ার হুমকি বাড়তে থাকায় মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে এ বছরে তাদের সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
এক বিবৃতিতে সিপরি চেয়ারম্যান জ্যান এলিসন বলেছেন, সামরিক খাতে এই বিপুল ব্যয় বৃদ্ধি মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি করছে। বিশ্বজুড়ে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজাকে ব্যাহত করবে এই ব্যয় বৃদ্ধি।
No comments