যে কারণে শবে বরাতের আগের দিন পত্রিকা ছুটি by এমরান হোসাইন শেখ
সরকারি-বেসরকারি
সব প্রতিষ্ঠানে পবিত্র শবে বরাতের ছুটি থাকে নামাজের রাতের পরের দিন। তবে
পত্রপত্রিকাসহ গণমাধ্যমগুলো ছুটি থাকে নামাজের রাতের পূর্ববর্তী দিন। মূলত
গণমাধ্যম কর্মীদের রাতের ইবাদত এবং পরদিন ভোরে উঠে হকারকে পত্রিকা বিলির
বিড়ম্বনা এড়াতে বেশ কয়েক বছর আগে সংবাদপত্র মালিকদের পক্ষ থেকে এই
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে গণমাধ্যমে নতুন সংযোজন অলনাইন নিউজ পোর্টাল, রেডিও
ও টেলিভিশনগুলোতে কোনও ছুটির সুযোগ না থাকায় গণমাধ্যমের ছুটি
পুনর্বিবেচনার কথা উঠেছে।
বছরের কোন কোন দিন পত্রিকার প্রকাশনা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে, কোন দিন পত্রিকা অফিস বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় প্রকাশনা অব্যাহত থাকবে নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) তার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। দেশে বেসরকারি ইলেট্রনিক গণমাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু হওয়ার আগেই দৈনিক পত্রিকাগুলো তাদের বার্ষিক ছুটি ও প্রকাশনা বন্ধ এবং বিশেষ ব্যবস্থায় প্রকাশ অব্যাহত রাখার একটি স্থায়ী পঞ্জিকাই তৈরি করেছে। পরে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন দেশে চালু হওয়ার পর নোয়াবের ওই বিধান তারাও অনুসরণ করতে শুরু করে। তবে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসে থাকা এই তিন ধরনের গণমাধ্যম পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুযোগ না থাকায় তারা পত্রপত্রিকার বিশেষ ব্যবস্থার দিনে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান চালু রাখে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অন্যান্য সরকারি ছুটির সঙ্গে পত্রপত্রিকার নির্ধারিত ছুটিতে দিনের মিল থাকলেও শবে বরাত শবে কদরে অমিল রয়েছে। এক্ষেত্রে শবে বরাতের ছুটি সরকারি ছুটি নামাজের রাতের পরদিন হলেও পত্রপত্রিকার ছুটি আগের দিনই পালিত হয়। এক্ষেত্রে সংবাদপত্র মালিকদের যুক্তি হচ্ছে, পত্রিকার প্রায় সব কাজই হয় রাতের বেলায়। নিউজ লেখা, সংবাদ সম্পাদনা, পৃষ্ঠাসজ্জা ও মুদ্রণ সবই গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এছাড়া পরদিন ভোটে হকারকে তা বাড়ি বাড়ি বিলি করতে হয়। এতে আগের দিন ছুটি থাকলে সংবাদকর্মী থেকে হকার সবাই ইবাদতসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালন করতে পারেন। কিন্তু সরকারি ছুটির দিনের সঙ্গে মিল রেখে এই ছুটি নির্ধারিত হলে ইবাদত বন্দেগীর পরিবর্তে ওই সময় তাদের সংবাদ প্রকাশনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতো।
এদিকে অপর পবিত্র রাত শবে কদরের পরের দিন সরকারি ছুটি থাকলেও পত্রপত্রিকাগুলো এই ছুটিটি ভোগ করে না। শবে কদরের দুই দিন পরেই ঈদের কারণে পত্রিকা টানা তিন থেকে চার দিন বন্ধ থাকার কারণে সংবাদপত্র মালিক সমিতি শবে কদরের ছুটিটি না পালনের পক্ষে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়ার) এর সভাপতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বছরের কোন কোন দিন পত্রিকা বন্ধ থাকবে কোন কোন দিন বিশেষ ব্যবস্থায় চালু থাকবে সেব্যাপারে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
শবে বরাতে সরকারি ছুটির আগের দিন পত্রিকা বন্ধের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের পত্রিকার কাজ হয় রাতে। আর শবে বরাতে যে ইবাদত আমরা করি সেটাও সরকারি ছুটির আগের রাতে হয়। এজন্য আমাদের সংবাদপত্রের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের ইবাদতে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেই চিন্তা থেকেই ছুটি আগেরদিন করা হয়েছে।’
শবে বরাতে প্রকাশনা পুরোপুরি বন্ধ থাকে বলেই ইবাদতের স্বার্থে আগের দিন বন্ধের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু অনলাইন ও টেলিভিশনগুলো তো বন্ধের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কী নোয়াবের সিদ্ধান্ত অনুসরণ জরুরি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান বলেন, ‘ এই সিদ্ধান্তটি যখন নেওয়া হয় তখন অনলাইন বা টেলিভিশন তো ছিল না। আর বিষয়টি নিয়ে তো আমরা আগে ভাবিনি। তবে এটি যৌক্তিক। পরবর্তীতে যখন বৈঠক হয় তখন এই প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করবো।’
বছরের কোন কোন দিন পত্রিকার প্রকাশনা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে, কোন দিন পত্রিকা অফিস বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় প্রকাশনা অব্যাহত থাকবে নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) তার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। দেশে বেসরকারি ইলেট্রনিক গণমাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু হওয়ার আগেই দৈনিক পত্রিকাগুলো তাদের বার্ষিক ছুটি ও প্রকাশনা বন্ধ এবং বিশেষ ব্যবস্থায় প্রকাশ অব্যাহত রাখার একটি স্থায়ী পঞ্জিকাই তৈরি করেছে। পরে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন দেশে চালু হওয়ার পর নোয়াবের ওই বিধান তারাও অনুসরণ করতে শুরু করে। তবে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসে থাকা এই তিন ধরনের গণমাধ্যম পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুযোগ না থাকায় তারা পত্রপত্রিকার বিশেষ ব্যবস্থার দিনে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান চালু রাখে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অন্যান্য সরকারি ছুটির সঙ্গে পত্রপত্রিকার নির্ধারিত ছুটিতে দিনের মিল থাকলেও শবে বরাত শবে কদরে অমিল রয়েছে। এক্ষেত্রে শবে বরাতের ছুটি সরকারি ছুটি নামাজের রাতের পরদিন হলেও পত্রপত্রিকার ছুটি আগের দিনই পালিত হয়। এক্ষেত্রে সংবাদপত্র মালিকদের যুক্তি হচ্ছে, পত্রিকার প্রায় সব কাজই হয় রাতের বেলায়। নিউজ লেখা, সংবাদ সম্পাদনা, পৃষ্ঠাসজ্জা ও মুদ্রণ সবই গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এছাড়া পরদিন ভোটে হকারকে তা বাড়ি বাড়ি বিলি করতে হয়। এতে আগের দিন ছুটি থাকলে সংবাদকর্মী থেকে হকার সবাই ইবাদতসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালন করতে পারেন। কিন্তু সরকারি ছুটির দিনের সঙ্গে মিল রেখে এই ছুটি নির্ধারিত হলে ইবাদত বন্দেগীর পরিবর্তে ওই সময় তাদের সংবাদ প্রকাশনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতো।
এদিকে অপর পবিত্র রাত শবে কদরের পরের দিন সরকারি ছুটি থাকলেও পত্রপত্রিকাগুলো এই ছুটিটি ভোগ করে না। শবে কদরের দুই দিন পরেই ঈদের কারণে পত্রিকা টানা তিন থেকে চার দিন বন্ধ থাকার কারণে সংবাদপত্র মালিক সমিতি শবে কদরের ছুটিটি না পালনের পক্ষে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়ার) এর সভাপতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বছরের কোন কোন দিন পত্রিকা বন্ধ থাকবে কোন কোন দিন বিশেষ ব্যবস্থায় চালু থাকবে সেব্যাপারে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
শবে বরাতে সরকারি ছুটির আগের দিন পত্রিকা বন্ধের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের পত্রিকার কাজ হয় রাতে। আর শবে বরাতে যে ইবাদত আমরা করি সেটাও সরকারি ছুটির আগের রাতে হয়। এজন্য আমাদের সংবাদপত্রের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের ইবাদতে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেই চিন্তা থেকেই ছুটি আগেরদিন করা হয়েছে।’
শবে বরাতে প্রকাশনা পুরোপুরি বন্ধ থাকে বলেই ইবাদতের স্বার্থে আগের দিন বন্ধের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু অনলাইন ও টেলিভিশনগুলো তো বন্ধের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কী নোয়াবের সিদ্ধান্ত অনুসরণ জরুরি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান বলেন, ‘ এই সিদ্ধান্তটি যখন নেওয়া হয় তখন অনলাইন বা টেলিভিশন তো ছিল না। আর বিষয়টি নিয়ে তো আমরা আগে ভাবিনি। তবে এটি যৌক্তিক। পরবর্তীতে যখন বৈঠক হয় তখন এই প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করবো।’
No comments