যুবকদের বুকে এসসি/এসটি লিখে সংবিধানে আঘাত করা হয়েছে: রাহুল গান্ধী
ভারতের
প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘বিজেপি সরকার
জাতপাতের মনোভাব দিয়ে দেশের বুকে ছুরি চালিয়েছে। বিজেপিশাসিত মধ্য প্রদেশে
পুলিশের চাকরিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক পদপ্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষার সময় বুকে
তপসিলি জাতি/তপসিলি উপজাতি (SC/ST) লেখার নিন্দা করে তিনি ওই মন্তব্য
করেছেন।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া বার্তায় রাহুল বলেন, ‘মধ্য প্রদেশের যুবকদের বুকে এসসি/এসটি লিখে দিয়ে দেশের সংবিধানে আঘাত করা হয়েছে। এটা বিজেপি/আরএসএসের ভাবনা-চিন্তা। বিজেপি-আরএসএসের ওই মানসিকতার জন্যই দলিতের গলায় কখনও কলসি ঝোলানো হয়, কখনও ঝাড়ু বাঁধা হয় কিংবা মন্দিরে ঢুকতে দেয়া হয় না আমরা এ ধরণের চিন্তাভাবনাকে পরাজিত করব।’
কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ওই ঘটনাকে সমাজকে বিভক্ত করার বিজেপি’র মানসিকতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপি সরকারের মানসিকতার দৃষ্টান্ত। তাদের কেবল একটাই চিন্তাধারা ও মতাদর্শ- দেশকে ধর্মের নাম করে বিভক্ত করা, বর্ণের নামে বিভক্ত করা। এখন তো এমন দাঁড়িয়েছে যে আপনার বর্ণ বুকের ছাতিতে চিহ্নিত করা হচ্ছে! এটা কলঙ্কের দিন, এজন্য মধ্য প্রদেশের শিবরাজ সরকার এবং কেন্দ্রীয় মোদি সরকার দায়ী।’
গতকাল (সোমবার) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া বার্তায় রাহুল বলেন, ‘মধ্য প্রদেশের যুবকদের বুকে এসসি/এসটি লিখে দিয়ে দেশের সংবিধানে আঘাত করা হয়েছে। এটা বিজেপি/আরএসএসের ভাবনা-চিন্তা। বিজেপি-আরএসএসের ওই মানসিকতার জন্যই দলিতের গলায় কখনও কলসি ঝোলানো হয়, কখনও ঝাড়ু বাঁধা হয় কিংবা মন্দিরে ঢুকতে দেয়া হয় না আমরা এ ধরণের চিন্তাভাবনাকে পরাজিত করব।’
কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ওই ঘটনাকে সমাজকে বিভক্ত করার বিজেপি’র মানসিকতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপি সরকারের মানসিকতার দৃষ্টান্ত। তাদের কেবল একটাই চিন্তাধারা ও মতাদর্শ- দেশকে ধর্মের নাম করে বিভক্ত করা, বর্ণের নামে বিভক্ত করা। এখন তো এমন দাঁড়িয়েছে যে আপনার বর্ণ বুকের ছাতিতে চিহ্নিত করা হচ্ছে! এটা কলঙ্কের দিন, এজন্য মধ্য প্রদেশের শিবরাজ সরকার এবং কেন্দ্রীয় মোদি সরকার দায়ী।’
পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার সময় নিম্নবর্ণের তফসিলি জাতি/তপসিলি উপজাতি ভুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য কিছু যুবকের বুকে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। |
মধ্য
প্রদেশের ধার জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য সেখানকার নির্বাচিত
যুবকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু জেলা হাসপাতালে প্রায় ২০৬ জন প্রার্থীকে
মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় তাদের মধ্যে যারা নিম্নবর্ণের তফসিলি জাতি/তপসিলি
উপজাতি ভুক্ত তাদের চিহ্নিত করার জন্য কিছু যুবকের বুকে স্টিকার লাগিয়ে
দেয়া হয়। ওই ঘটনার ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি সরকারের সমালোচনায়
মুখর হয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীদল সমূহ।
বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেছেন, বিজেপি সরকারের 'দলিত প্রেমের' নতুন তাজা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দলিতদের ব্যবহার করছে মোদি সরকার।
এনসিপি’র এমপি সুপ্রিয়া সুলে ওই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তদন্তের নির্দেশ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
এ সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের সাফাই প্রকাশ্যে না এলেও কনস্টেবল পদে সংরক্ষিত শ্রেণির পদপ্রার্থীরা উচ্চতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসূচকে বিশেষ ছাড় পান। সে জন্য তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে একাংশের দাবি। মধ্য প্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার ড. বি আর আম্বেদকর মিশনের রাজ্য সম্পাদক সমীর কুমার দাস আজ (মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘ওই ঘটনা চরম নিন্দনীয়। যারা এটা করেছে তাদেরকে সমাজের ঘৃণ্য ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। এভাবেই আমাদের সমাজব্যবস্থা চলছে। ১৫ শতাংশ মানুষ (উচ্চ বর্ণের) সবকিছুতে শাসন ক্ষমতায় গিয়ে তারা যা ইচ্ছে তা-ই মনে করছে। এসসি/এসটি/ওবিসি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তারা মানুষই মনে করছে না। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে বর্ণবাদী মানুষজন আছেন। তারা এসসি/এসটি/ওবিসি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রশ্নে মোটামুটি সকলেই এক।’
সমীর বাবু বলেন, ‘আজ কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এরকম করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরণের নিয়োগের ক্ষেত্রে এরকম করা হবে। কারণ, মনুবাদী সমাজ ব্যবস্থায় একথাই বলে, তারা আমাদেকে পশুর মতো দেখে।’
এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারকে বিশেষভাবে পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে ড. বি আর আম্বেদকর মিশনের রাজ্য সম্পাদক সমীর কুমার দাস মন্তব্য করেন।
বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেছেন, বিজেপি সরকারের 'দলিত প্রেমের' নতুন তাজা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দলিতদের ব্যবহার করছে মোদি সরকার।
এনসিপি’র এমপি সুপ্রিয়া সুলে ওই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তদন্তের নির্দেশ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
এ সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের সাফাই প্রকাশ্যে না এলেও কনস্টেবল পদে সংরক্ষিত শ্রেণির পদপ্রার্থীরা উচ্চতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসূচকে বিশেষ ছাড় পান। সে জন্য তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে একাংশের দাবি। মধ্য প্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার ড. বি আর আম্বেদকর মিশনের রাজ্য সম্পাদক সমীর কুমার দাস আজ (মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘ওই ঘটনা চরম নিন্দনীয়। যারা এটা করেছে তাদেরকে সমাজের ঘৃণ্য ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। এভাবেই আমাদের সমাজব্যবস্থা চলছে। ১৫ শতাংশ মানুষ (উচ্চ বর্ণের) সবকিছুতে শাসন ক্ষমতায় গিয়ে তারা যা ইচ্ছে তা-ই মনে করছে। এসসি/এসটি/ওবিসি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তারা মানুষই মনে করছে না। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে বর্ণবাদী মানুষজন আছেন। তারা এসসি/এসটি/ওবিসি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রশ্নে মোটামুটি সকলেই এক।’
সমীর বাবু বলেন, ‘আজ কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এরকম করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরণের নিয়োগের ক্ষেত্রে এরকম করা হবে। কারণ, মনুবাদী সমাজ ব্যবস্থায় একথাই বলে, তারা আমাদেকে পশুর মতো দেখে।’
এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারকে বিশেষভাবে পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে ড. বি আর আম্বেদকর মিশনের রাজ্য সম্পাদক সমীর কুমার দাস মন্তব্য করেন।
No comments