মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান নিরাপত্তা পরিষদের
রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে অনুকূল পরিবেশ
সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা
পরিষদ। মঙ্গলবার (১ মে) রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের পর পরিষদের প্রতিনিধি দলটি
এ আহ্বান জানায়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকরের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এ অবস্থাতেই গ্রামগুলোতে বুলডোজার চালিয়ে আলামত নষ্ট, বিপুল সামরিকায়ন, উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকা, প্রত্যাবাসন নিয়ে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর হুমকির ধারাবাহিকতায় রাখাইনে বৌদ্ধদের মডেল গ্রাম গড়ে উঠছে বলে খবর পাওয়া যায়।
প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়নি বলেও উদ্বেগ জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর মধ্যেই মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে রাখাইন রাজ্যের দুটি গ্রাম, একটি ট্রানজিট সেন্টার এবং একটি রিসিপশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষের সঙ্গেও দেখা করেন তারা। এরমধ্যে রয়েছেন রাখাইনের বৌদ্ধ, হিন্দু এবং পালিয়ে না যাওয়া কতিপয় মুসলিম। মিয়ানমার ছাড়ার আগে মঙ্গলবারই নেপিদোতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে মিয়ানমারকে কিছু বাধ্যবাধকতা পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জাতিসংঘে নিয়োজিত কুয়েতের প্রতিনিধি মানসুর আল ওতাইবি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারকে নতুন কিছু করতে বলছি না। দেশটি জাতিসংঘের সদস্য এবং জাতিসংঘের অনেক কনভেশনেরও সদস্য। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।’
জাতিসংঘে নিয়োজিত পেরুর দূত গুস্তাভো মেজা-চুয়াদ্রা বলেন, ‘মূলত আমরা যে বার্তাটি দিতে চাইছি তা হলো, প্রত্যাবাসনকৃত শরণার্থীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশেষ করে জাতিসংঘের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা। বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে এখানে (মিয়ানমার) রোহিঙ্গাদের কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত করার গুরুত্ব উপস্থাপন করেছি আমরা।’
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ধাপে ধাপে মলিন হয়েছে তাদের পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে।
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণাধীন ট্রানজিট ক্যাম্প ও পুনর্বাসনের গ্রামগুলো আসলে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এসব ক্যাম্প দীর্ঘমেয়াদে বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হবে বলে আতঙ্কবোধ করছে রোহিঙ্গারা। অতীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর এ ধরনের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১,২০,০০০ রোহিঙ্গা এখনও সেখানে বন্দিদের মতো জীবনযাপন করছে। তবে রোহিঙ্গাদের আটকে রাখার পরিকল্পনা করার কথা নাকচ করেছেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ১৮ মার্চ রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে মংডুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইয়ে হটুট সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সাময়িকভাবে ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখার পর রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের মূল গ্রামের কাছাকাছি পুনর্বাসিত করা হবে। হটুট বলেন, ‘আমি তাদের ক্যাম্পে চিরতরে থাকতে বলতে পারি না। তাদের সেখানে দীর্ঘদিন রাখার কোনও ইচ্ছে বা পরিকল্পনাও আমাদের নেই। সরকার তাদের নিজ গ্রাম কিংবা গ্রামের নিকটবর্তী জায়গায় ফেরত পাঠাবে।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকরের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এ অবস্থাতেই গ্রামগুলোতে বুলডোজার চালিয়ে আলামত নষ্ট, বিপুল সামরিকায়ন, উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকা, প্রত্যাবাসন নিয়ে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর হুমকির ধারাবাহিকতায় রাখাইনে বৌদ্ধদের মডেল গ্রাম গড়ে উঠছে বলে খবর পাওয়া যায়।
প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়নি বলেও উদ্বেগ জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর মধ্যেই মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে রাখাইন রাজ্যের দুটি গ্রাম, একটি ট্রানজিট সেন্টার এবং একটি রিসিপশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষের সঙ্গেও দেখা করেন তারা। এরমধ্যে রয়েছেন রাখাইনের বৌদ্ধ, হিন্দু এবং পালিয়ে না যাওয়া কতিপয় মুসলিম। মিয়ানমার ছাড়ার আগে মঙ্গলবারই নেপিদোতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে মিয়ানমারকে কিছু বাধ্যবাধকতা পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জাতিসংঘে নিয়োজিত কুয়েতের প্রতিনিধি মানসুর আল ওতাইবি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারকে নতুন কিছু করতে বলছি না। দেশটি জাতিসংঘের সদস্য এবং জাতিসংঘের অনেক কনভেশনেরও সদস্য। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।’
জাতিসংঘে নিয়োজিত পেরুর দূত গুস্তাভো মেজা-চুয়াদ্রা বলেন, ‘মূলত আমরা যে বার্তাটি দিতে চাইছি তা হলো, প্রত্যাবাসনকৃত শরণার্থীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশেষ করে জাতিসংঘের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা। বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে এখানে (মিয়ানমার) রোহিঙ্গাদের কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত করার গুরুত্ব উপস্থাপন করেছি আমরা।’
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ধাপে ধাপে মলিন হয়েছে তাদের পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে।
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণাধীন ট্রানজিট ক্যাম্প ও পুনর্বাসনের গ্রামগুলো আসলে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এসব ক্যাম্প দীর্ঘমেয়াদে বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হবে বলে আতঙ্কবোধ করছে রোহিঙ্গারা। অতীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর এ ধরনের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১,২০,০০০ রোহিঙ্গা এখনও সেখানে বন্দিদের মতো জীবনযাপন করছে। তবে রোহিঙ্গাদের আটকে রাখার পরিকল্পনা করার কথা নাকচ করেছেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ১৮ মার্চ রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে মংডুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইয়ে হটুট সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সাময়িকভাবে ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখার পর রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের মূল গ্রামের কাছাকাছি পুনর্বাসিত করা হবে। হটুট বলেন, ‘আমি তাদের ক্যাম্পে চিরতরে থাকতে বলতে পারি না। তাদের সেখানে দীর্ঘদিন রাখার কোনও ইচ্ছে বা পরিকল্পনাও আমাদের নেই। সরকার তাদের নিজ গ্রাম কিংবা গ্রামের নিকটবর্তী জায়গায় ফেরত পাঠাবে।’
No comments