৪ লাখ টাকার প্রকল্পে চেয়ারম্যানের লাভ ৩৪ লাখ টাকা!
৪০
দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ টাকার খাল কাটা কর্মসূচিতে
চেয়ারম্যানের লাভ ৩৪ লাখ টাকা!। খাল কেটে ইটভাটায় ৩০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি
করেছেন তিনি। এমন তথ্যের সন্ধান মিলেছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। এ
নিয়ে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের সঙ্গে এলাকাবাসীর চরম বিরোধ চলছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এই কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন; যা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান।
মুঠোফোনে তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের খালের প্রয়োজন নেই; তাই খাল কাটা স্থগিত রাখা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান গত এক মাস আগে হঠাৎ করে স্কেভেটর দিয়ে হাঙর খাল খনন কাজ শুরু করেন। খালটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে সে মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করেন।
আর খালটির দুই তীরে স্থানীয় কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করেও মাটি কেটে নিয়ে যান। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও জোরপূর্বক। এতে আপত্তি করলেও কৃষকদের কোনো কথা কানে নেননি তিনি।
ফলে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন; যা তদন্তের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাল কাটা স্থগিত করে দেন।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান প্রায় ৩০ লাখ টাকায় হাঙর খালের ওই মাটি কতিপয় স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রয় করে দেন। তারাই স্কেভেটর দিয়ে এই মাটি কেটে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান বলেন, এটি ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় ৪ লাখ টাকার প্রকল্প ছিল; যা গত এক মাস আগে শুরু করা হয়েছিল।
৪০ দিনের কর্মসূচি তো গ্রামীণ হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প। সেখানে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হলো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সবকিছু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন। আপনি তাকে ফোন করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, স্কেভেটর দিয়ে খাল কেটে মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর প্রকল্পের তথ্যের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামরুল হোসনাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় খালটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু স্কেভেটর দিয়ে খাল কাটা ও দুই তীরের কৃষিজমি নষ্টের অভিযোগ পেয়ে প্রকল্প কাজ স্থগিত করা হয়।
প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খালের মাটি ইটভাটায় বিক্রয়ের অভিযোগ পেলেও তা প্রকল্পের এখতিয়ারের বাইরের বিষয়। এ নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না।
স্থানীয়রা জানান, সাতকানিয়া উপজেলার ইটভাটায় তৈরি ইট গুণগত দিক থেকে উন্নত। কিন্তু এ ইট তৈরির জন্য পর্যাপ্ত মাটির সংকট রয়েছে। ফলে ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ান খাল কাটা কর্মসূচির নামে ৪ লাখ টাকায় কর্মসৃজন প্রকল্প সৃষ্টি করে। ওই প্রকল্পের মাটি ৩০ লাখ টাকা চুক্তিতে ইটভাটায় বিক্রয় করে দেন। ফলে এই ৪ লাখ টাকার প্রকল্পে তার লাভ ৩৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ান মাটি বিক্রির কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। আর প্রকল্পের টাকা এখনো তিনি হাতে পাননি বলে জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় হাঙর খালের সাড়ে ৮০০ ফিট দৈর্ঘ্য মাটি কাটার কথা। তারমধ্যে ৭০০ ফিটেরও বেশি খাল কাটা হলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্পের টাকা ছাড়েননি।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এই কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন; যা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান।
মুঠোফোনে তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের খালের প্রয়োজন নেই; তাই খাল কাটা স্থগিত রাখা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান গত এক মাস আগে হঠাৎ করে স্কেভেটর দিয়ে হাঙর খাল খনন কাজ শুরু করেন। খালটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে সে মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করেন।
আর খালটির দুই তীরে স্থানীয় কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করেও মাটি কেটে নিয়ে যান। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও জোরপূর্বক। এতে আপত্তি করলেও কৃষকদের কোনো কথা কানে নেননি তিনি।
ফলে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন; যা তদন্তের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাল কাটা স্থগিত করে দেন।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান প্রায় ৩০ লাখ টাকায় হাঙর খালের ওই মাটি কতিপয় স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রয় করে দেন। তারাই স্কেভেটর দিয়ে এই মাটি কেটে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিদুয়ান বলেন, এটি ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় ৪ লাখ টাকার প্রকল্প ছিল; যা গত এক মাস আগে শুরু করা হয়েছিল।
৪০ দিনের কর্মসূচি তো গ্রামীণ হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প। সেখানে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হলো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সবকিছু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন। আপনি তাকে ফোন করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, স্কেভেটর দিয়ে খাল কেটে মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর প্রকল্পের তথ্যের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামরুল হোসনাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় খালটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু স্কেভেটর দিয়ে খাল কাটা ও দুই তীরের কৃষিজমি নষ্টের অভিযোগ পেয়ে প্রকল্প কাজ স্থগিত করা হয়।
প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খালের মাটি ইটভাটায় বিক্রয়ের অভিযোগ পেলেও তা প্রকল্পের এখতিয়ারের বাইরের বিষয়। এ নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না।
স্থানীয়রা জানান, সাতকানিয়া উপজেলার ইটভাটায় তৈরি ইট গুণগত দিক থেকে উন্নত। কিন্তু এ ইট তৈরির জন্য পর্যাপ্ত মাটির সংকট রয়েছে। ফলে ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ান খাল কাটা কর্মসূচির নামে ৪ লাখ টাকায় কর্মসৃজন প্রকল্প সৃষ্টি করে। ওই প্রকল্পের মাটি ৩০ লাখ টাকা চুক্তিতে ইটভাটায় বিক্রয় করে দেন। ফলে এই ৪ লাখ টাকার প্রকল্পে তার লাভ ৩৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ান মাটি বিক্রির কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। আর প্রকল্পের টাকা এখনো তিনি হাতে পাননি বলে জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় হাঙর খালের সাড়ে ৮০০ ফিট দৈর্ঘ্য মাটি কাটার কথা। তারমধ্যে ৭০০ ফিটেরও বেশি খাল কাটা হলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্পের টাকা ছাড়েননি।
No comments