কিম-মুনের ঐতিহাসিক বৈঠক: কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ঘোষণা
কোরিয়া
উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গতকাল উভয় দেশের সীমান্তবর্তী পানমুনজাম গ্রামে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন
জায়ে ইন। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণা দেন দুই
নেতা। এতে বলা হয়, ‘দুই কোরিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের কোনো কারণ নেই। আমরা একই
জাতি।’ দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স ও আল
জাজিরা।
খবরে বলা হয়, কোরিয়া যুদ্ধের পর প্রথম উত্তর কোরীয় নেতা হিসেবে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পা ফেলেন কিম জং উন। ১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা সামরিক সীমা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করলেন। অসামরিক এলাকায় অবস্থিত ‘পিস হাউজে’ বৈঠকে বসেন দুই কোরিয়ার নেতা। সেখানে তিন অংশ বিশিষ্ট একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তারা। এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়, দুই কোরিয়ার দ্বন্দ্বের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটাতে এ বছরেই দুই দেশ একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে দু’দেশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। সীমান্তে অপরপক্ষকে বার্তা প্রেরণের জন্য স্থাপিত লাউড স্পিকার ১লা মে থেকে অপসারণ করা হবে। পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য লিফলেট বিতরণও বন্ধ করা হবে। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে দু’দেশ। ঘোষণাপত্রে আরো বলা হয়, দু’দেশ পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করবে। উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য উত্তর কোরিয়ার কায়েজং-এ একটি যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ১৫ই আগস্ট দুই কোরিয়া পুনর্মিলনীর আয়োজন করবে। আসছে শরতে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন উত্তর কোরিয়া সফর করবেন।
এর আগে দিনের প্রথম ভাগে সীমান্তরেখায় দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে অভ্যর্থনা জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। দু’জন প্রথমে নিজ নিজ দেশের সীমান্তে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। এরপরই সীমান্ত অতিক্রম করেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ায় দাঁড়িয়ে হাত মেলান দুই নেতা। কিছুক্ষণ পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে, মুন’কে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ভেতর দাঁড়িয়ে হাত মেলানোর প্রস্তাব রাখেন কিম। কিম’কে আশাহত করেননি মুন। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজামের সীমান্তে ওই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শেষে দুই নেতা বৈঠকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পর সামরিক কায়দায় কিমকে গার্ড অব অনার দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এরপরই, বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য পিস হাউসে প্রবেশ করেন দুই নেতা। প্রবেশ করার সময় অতিথি বইয়ে কিম লিখেন, এক নতুন ইতিহাস শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা এখন ইতিহাস ও শান্তির যুগের শুরুর বিন্দুতে। বৈঠক হয় পানমুনজামের এক বাড়িতে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’। কংক্রিটের সীমানা অতিক্রম করে দক্ষিণের মাটিতে পা রেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম জং উন। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন ইতিহাস শুরুর বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই বার্তা দিতেই আজ আমি এখানে এসেছি।’
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুই পর্বে। স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় প্রথম পর্বের বৈঠক শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বিকালে। সশস্ত্র দেহরক্ষী-বেষ্টিত হয়ে লিমুজিনে চড়ে ‘মিলিটারি ডিমার্কেশন লাইনের’ কাছে পৌঁছান কিম। তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। দুই নেতা সেখানে একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। পাশেই একটি পাথরের স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন তারা। এতে লেখা ছিল ‘প্ল্যান্টিং পিস অ্যান্ড প্রোসপারিটি’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দুই কোরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পারমাণবিক পরীক্ষার ভয়াবহ একটি বছর শেষে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভালো ঘটনা ঘটছে। সময়ই সব বলে দেবে।’ এর কয়েক মিনিট পরে আরেকটি টুইট করেন ট্রাম্প। এতে তিনি লেখেন, ‘কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে! কোরিয়ায় যা ঘটছে তার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ও এর জনগণের গৌরব বোধ করা উচিত।’ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দুই কোরিয়ার বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া, জাপান ও চীন। এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, তিনি আশা করেছিলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া, জাপানও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেয়নি বলে জানান তিনি। দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দেয়া যৌথ বিবৃতিকে সাধুবাদ জানিয়েছে চীন। দেশটি বলেছে, কোরিয়া উপদ্বীপের শান্তি প্রক্রিয়ায় বেইজিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
এর আগে ২০০৭ সালে দেশ দু’টির মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে কোরীয় যুদ্ধের পর দেশ দু’টির মধ্যে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে মাত্র তিনটি। তিন বৈঠকের মধ্যে এই প্রথম কোনো বৈঠক দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো। তাই এই বৈঠক নিয়ে উত্তেজনাও অনেক বেশি। মাত্র কয়েক মাস আগেই উত্তর কোরিয়া থেকে যুদ্ধের হুমকি পাওয়া গেলেও বর্তমানে দৃশ্যপট বদলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোরিয়া উপদ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করা যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটতে চলেছে।
খবরে বলা হয়, কোরিয়া যুদ্ধের পর প্রথম উত্তর কোরীয় নেতা হিসেবে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পা ফেলেন কিম জং উন। ১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা সামরিক সীমা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করলেন। অসামরিক এলাকায় অবস্থিত ‘পিস হাউজে’ বৈঠকে বসেন দুই কোরিয়ার নেতা। সেখানে তিন অংশ বিশিষ্ট একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তারা। এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়, দুই কোরিয়ার দ্বন্দ্বের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটাতে এ বছরেই দুই দেশ একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে দু’দেশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। সীমান্তে অপরপক্ষকে বার্তা প্রেরণের জন্য স্থাপিত লাউড স্পিকার ১লা মে থেকে অপসারণ করা হবে। পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য লিফলেট বিতরণও বন্ধ করা হবে। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে দু’দেশ। ঘোষণাপত্রে আরো বলা হয়, দু’দেশ পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করবে। উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য উত্তর কোরিয়ার কায়েজং-এ একটি যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ১৫ই আগস্ট দুই কোরিয়া পুনর্মিলনীর আয়োজন করবে। আসছে শরতে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন উত্তর কোরিয়া সফর করবেন।
এর আগে দিনের প্রথম ভাগে সীমান্তরেখায় দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে অভ্যর্থনা জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। দু’জন প্রথমে নিজ নিজ দেশের সীমান্তে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। এরপরই সীমান্ত অতিক্রম করেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ায় দাঁড়িয়ে হাত মেলান দুই নেতা। কিছুক্ষণ পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে, মুন’কে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ভেতর দাঁড়িয়ে হাত মেলানোর প্রস্তাব রাখেন কিম। কিম’কে আশাহত করেননি মুন। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজামের সীমান্তে ওই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শেষে দুই নেতা বৈঠকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পর সামরিক কায়দায় কিমকে গার্ড অব অনার দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এরপরই, বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য পিস হাউসে প্রবেশ করেন দুই নেতা। প্রবেশ করার সময় অতিথি বইয়ে কিম লিখেন, এক নতুন ইতিহাস শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা এখন ইতিহাস ও শান্তির যুগের শুরুর বিন্দুতে। বৈঠক হয় পানমুনজামের এক বাড়িতে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’। কংক্রিটের সীমানা অতিক্রম করে দক্ষিণের মাটিতে পা রেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম জং উন। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন ইতিহাস শুরুর বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই বার্তা দিতেই আজ আমি এখানে এসেছি।’
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুই পর্বে। স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় প্রথম পর্বের বৈঠক শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বিকালে। সশস্ত্র দেহরক্ষী-বেষ্টিত হয়ে লিমুজিনে চড়ে ‘মিলিটারি ডিমার্কেশন লাইনের’ কাছে পৌঁছান কিম। তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। দুই নেতা সেখানে একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। পাশেই একটি পাথরের স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন তারা। এতে লেখা ছিল ‘প্ল্যান্টিং পিস অ্যান্ড প্রোসপারিটি’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দুই কোরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পারমাণবিক পরীক্ষার ভয়াবহ একটি বছর শেষে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভালো ঘটনা ঘটছে। সময়ই সব বলে দেবে।’ এর কয়েক মিনিট পরে আরেকটি টুইট করেন ট্রাম্প। এতে তিনি লেখেন, ‘কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে! কোরিয়ায় যা ঘটছে তার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ও এর জনগণের গৌরব বোধ করা উচিত।’ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দুই কোরিয়ার বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া, জাপান ও চীন। এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, তিনি আশা করেছিলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া, জাপানও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেয়নি বলে জানান তিনি। দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দেয়া যৌথ বিবৃতিকে সাধুবাদ জানিয়েছে চীন। দেশটি বলেছে, কোরিয়া উপদ্বীপের শান্তি প্রক্রিয়ায় বেইজিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
এর আগে ২০০৭ সালে দেশ দু’টির মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে কোরীয় যুদ্ধের পর দেশ দু’টির মধ্যে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে মাত্র তিনটি। তিন বৈঠকের মধ্যে এই প্রথম কোনো বৈঠক দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো। তাই এই বৈঠক নিয়ে উত্তেজনাও অনেক বেশি। মাত্র কয়েক মাস আগেই উত্তর কোরিয়া থেকে যুদ্ধের হুমকি পাওয়া গেলেও বর্তমানে দৃশ্যপট বদলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোরিয়া উপদ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করা যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটতে চলেছে।
No comments