ছাত্র-শিক্ষিকা অসম যৌন সম্পর্ক
৫৩ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ
তুলেছে ১৭ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্র। সে বলেছে, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে
তুলেছিলেন ওই শিক্ষিকা। এতে তার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই শিক্ষিকার নাম
ডেবোরাহ লোয়ি। তার কারণে ওই টিনেজ বালক জিসিএসই পরীক্ষায় মাত্র একটি বিষয়
সম্পন্ন করতে পেরেছে। সে একটি ওয়্যারহাউজে কাজ করতো। ওই সম্পর্কের কারণে
তাকে তাও হারাতে হয়েছে। এতে ধ্বংস হয়েছে তার পারস্পরিক সম্পর্ক ও সুনাম। ওই
বালক বলেছে, আমি আর ডেবোরার সঙ্গে কখনো জড়িত হবো না। শিক্ষিকা ডেবোরা দুই
সন্তানের মা। তার সঙ্গে ওই বালকের যৌন সম্পর্কের খবর প্রকাশ পায় এক বছর
আগে। তখন ওই বালকের বয়স ১৬ বছর। তবে এখনও সে পড়াশোনা করছে। কিন্তু
ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে অভিযুক্ত ডেবোরা স্বীকার করেছেন ওই বালকের
সঙ্গে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বৈধ বয়সে। অর্থাৎ ওই বালকের বয়স যখন
১৭ বছর হয়েছিল তখনই তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এমন দাবি করার পর
আদালতের জুরি ডেবোরাকে জামিন দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বালকটির মা একদিন বিস্ময়
নিয়ে লক্ষ্য করেন যে, তার ছেলের বুকে ট্যাটু আঁকা। এই ট্যাটু আঁকার খরচ বহন
করেছেন রহস্যজনক এক নারী। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সব। দেখতে পান
ডেবোরার ফেসবুকে ট্যাটুর ফটোগ্রাফ। কে এঁকেছেন এই ট্যাটু তা চিহ্নিত করেন
তারা। ওই ট্যাটুইস্ট অর্থাৎ ট্যাটুর অঙ্কনশিল্পীকে জিজ্ঞাসা করে তারা জানতে
পারেন তাদের সন্তানের বুকে ট্যাটু আঁকার খরচ বহন করেছেন ডেবোরা। ওই বালকের
অভিভাবকরা বলেছেন, স্কুলের একটি পাস্তরাল কেয়ার বিভাগে দায়িত্ব পালন করতেন
ডেবোরা। সম্পর্কের বিষয়ে ডেবোরা বলেছেন, তিনি ছিলেন খুব বন্ধুপ্রতীম।
যত্নবান। ওই বালকটিকে স্কুলে সবচেয়ে ভালভাবে দেখাশোনা করতেন। কিন্তু আদালতে
বলা হয়েছে, ওই বালককে ক্লাসের বাইরে নিয়ে যেতেন ডেবোরা। বিচ্ছিন্ন করে
ফেলতেন তাকে। একটি রুমে আবদ্ধ থাকতেন। তাকে মিষ্টি দিতেন। দিতেন বিভিন্ন
উপহার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফেসবুকে বন্ধু হয়ে
যায় তারা। এরপর তাদের রাতে নিঃসঙ্গতায় একান্তে রোমান্স চলতে থাকে। একদিন
ওই বালক তার মায়ের সঙ্গে শেয়ার করে সব। বলে, একজন বয়স্ক নারীর সঙ্গে সে
সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এ সময় তার মাকে সে বলে, সে একজন বয়সী নারীকে চায় তার
জীবনের সঙ্গে। এ সময় তার মা জানতে চান, কেমন বয়সী নারী। জবাবে ওই বালক
বলে, ৩৬ বছর বয়সী এমন। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে সেখানে অভিযোগ তোলা হয়
ডেবোরা কিভাবে ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এ সময় রুক্ষ্ম
আচরণ করতেন ডেবোরা। তিনি ওই বালকের মাথার চুল ধরে টানতেন। তাকে প্রহার
করতেন। সারা গায়ে আঁচড়াতেন।
No comments