ক্যানসার প্রতিরোধে দুলালী সুন্দরী by সিদ্দিক আলম দয়াল
ক্যানসার,
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে বেগুনী রঙের নতুন জাতের ধান চাষ করে কৌতূহল
ছড়িয়েছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুলালী বেগম। কৃষি বিভাগ মনে করেন নতুন
ধরনের এই ধান চাষে আগ্রহী হবেন কৃষকরা। নতুন জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে
চান তিনি দেশে-বিদেশে। তার আশা নতুন এই ধান দুলালী সুন্দরী নামে সারা দেশে
পরিচিতি পাবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রামজীবন ইউনিয়নের সুবর্ণদহ গ্রাম। এই গ্রামের একজন নারী কৃষক দুলালী বেগম। তিনি দুই বছর আগে বোরো ধানের বীজ কিনতে যান দোকানে। প্যাকেটজাত বীজ কিনে বাড়িতে এসে দেখেন প্রায় দুই মুঠ বেগুনী রঙয়ের ধান বীজ। সেই থেকে দুলালী বেগম তিনি আর বসে ছিলেন না। অন্য ধানের পাশাপাশি দুই শতক জমিতে বেগুনী ধানের বীজ বপন করেন। কিছুদিন পর দেখতে পান তার জমি জুড়ে বেগুনী ধানের চারায় ছেয়ে গেছে। ওই বীজ দিয়ে গত বোরো মৌসুমে ধান চাষ করেন। তাতে প্রায় ৬ কেজি বেগুনী ধান হলেও তিনি সেটি ভাত হিসেবে ব্যবহার করেনি। এবছর বোরো মৌসুমে এই বীজ লাগান জমিতে। এবারো জমি জুড়ে সুন্দর বেগুনী রঙয়ের ধান হয়েছে। চারপাশে সবুজ বোরো ধানের মাঝে বেগুনী ধানের জমি সত্যি দেখার মতো। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো । ব্যতিক্রমী এই বেগুনী রঙয়ের ধান চাষ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।
প্রতিদিন গাইবান্ধাসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই ধান দেখতে আসেন কৃষকসহ অনেক নারী ও পুরুষ। অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে এই ধানের একটি কুশি থেকে ২৬ থেকে ২৯টি কুশি গজায়। তাই অন্য জাতের ধানের চেয়ে বেগুনী রঙয়ের এই ধানের ফলনও ভালো হয়। ইতিমধ্যে নতুন ধান চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই বীজ সংগ্রহের জন্য দুলালী বেগমের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।
দুলালী বেগম বলেন, গেল বছর ধানের চারা কিনতে গিয়ে আলাদা ধরনের দুই মুষ্ঠি ধানের বীজ পান। এই বীজ জমিতে লাগিয়ে চারা তৈরি করেন। ওই চারা দিয়ে এবছর তিনি আঠারো শতাংশ জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। চারিদিকে সবুজ ধান আর তার মাঝখানে বেগুনী রঙয়ের নতুন জাতের ধান আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে এলাকায়। নতুন এই ধান দেখে কৃষি বিভাগ এগিয়ে আসেন দুলালীর পাশে। তারা মূল্যবান এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
সুন্দরগঞ্জে কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, সারাজীবন সবুজ গাছে সোনালী ধান দেখলাম। আর এখন দেখছি বেগুনী ধান। সত্যি আশ্চর্য্য। তিনি বলেন, আমরা আগে কখনো এই জাতের ধান দেখিনি। একজন নারী কৃষকের এই ধান চাষে আমরা গর্বিত। যে ধান চাষে খরচ কম ও ফলও ভালো হয়। আগামী দিনে আমরা এই ধান চাষ করতে চাই।
নারী কৃষক দুলালী বেগম বলেন, প্রথম আমি এই ধান চাষ করেছি। আমি চাই আমাদের দেখে সবাই এই ধান চাষ করবে। নতুন জাতের এই ধান দুলালী সুন্দরী নামে সারা দেশে পরিচিতি পাবে এটাই আমার আশা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, এই বেগুনী ধান এক সময় চীন দেশে চাষাবাদ হতো। ধনাঢ্য পরিবারের খাবার হিসেবে এ বেগুনী ধান চাষ হতো। তারা মনে করতেন বেগুনী ধানের চাল খেলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। তিনি বলেন, এ বেগুনী ধান ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেবো।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রামজীবন ইউনিয়নের সুবর্ণদহ গ্রাম। এই গ্রামের একজন নারী কৃষক দুলালী বেগম। তিনি দুই বছর আগে বোরো ধানের বীজ কিনতে যান দোকানে। প্যাকেটজাত বীজ কিনে বাড়িতে এসে দেখেন প্রায় দুই মুঠ বেগুনী রঙয়ের ধান বীজ। সেই থেকে দুলালী বেগম তিনি আর বসে ছিলেন না। অন্য ধানের পাশাপাশি দুই শতক জমিতে বেগুনী ধানের বীজ বপন করেন। কিছুদিন পর দেখতে পান তার জমি জুড়ে বেগুনী ধানের চারায় ছেয়ে গেছে। ওই বীজ দিয়ে গত বোরো মৌসুমে ধান চাষ করেন। তাতে প্রায় ৬ কেজি বেগুনী ধান হলেও তিনি সেটি ভাত হিসেবে ব্যবহার করেনি। এবছর বোরো মৌসুমে এই বীজ লাগান জমিতে। এবারো জমি জুড়ে সুন্দর বেগুনী রঙয়ের ধান হয়েছে। চারপাশে সবুজ বোরো ধানের মাঝে বেগুনী ধানের জমি সত্যি দেখার মতো। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো । ব্যতিক্রমী এই বেগুনী রঙয়ের ধান চাষ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।
প্রতিদিন গাইবান্ধাসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই ধান দেখতে আসেন কৃষকসহ অনেক নারী ও পুরুষ। অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে এই ধানের একটি কুশি থেকে ২৬ থেকে ২৯টি কুশি গজায়। তাই অন্য জাতের ধানের চেয়ে বেগুনী রঙয়ের এই ধানের ফলনও ভালো হয়। ইতিমধ্যে নতুন ধান চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই বীজ সংগ্রহের জন্য দুলালী বেগমের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।
দুলালী বেগম বলেন, গেল বছর ধানের চারা কিনতে গিয়ে আলাদা ধরনের দুই মুষ্ঠি ধানের বীজ পান। এই বীজ জমিতে লাগিয়ে চারা তৈরি করেন। ওই চারা দিয়ে এবছর তিনি আঠারো শতাংশ জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। চারিদিকে সবুজ ধান আর তার মাঝখানে বেগুনী রঙয়ের নতুন জাতের ধান আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে এলাকায়। নতুন এই ধান দেখে কৃষি বিভাগ এগিয়ে আসেন দুলালীর পাশে। তারা মূল্যবান এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
সুন্দরগঞ্জে কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, সারাজীবন সবুজ গাছে সোনালী ধান দেখলাম। আর এখন দেখছি বেগুনী ধান। সত্যি আশ্চর্য্য। তিনি বলেন, আমরা আগে কখনো এই জাতের ধান দেখিনি। একজন নারী কৃষকের এই ধান চাষে আমরা গর্বিত। যে ধান চাষে খরচ কম ও ফলও ভালো হয়। আগামী দিনে আমরা এই ধান চাষ করতে চাই।
নারী কৃষক দুলালী বেগম বলেন, প্রথম আমি এই ধান চাষ করেছি। আমি চাই আমাদের দেখে সবাই এই ধান চাষ করবে। নতুন জাতের এই ধান দুলালী সুন্দরী নামে সারা দেশে পরিচিতি পাবে এটাই আমার আশা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, এই বেগুনী ধান এক সময় চীন দেশে চাষাবাদ হতো। ধনাঢ্য পরিবারের খাবার হিসেবে এ বেগুনী ধান চাষ হতো। তারা মনে করতেন বেগুনী ধানের চাল খেলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। তিনি বলেন, এ বেগুনী ধান ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেবো।
No comments