ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তিন নারীর
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তিন
নারী। এ ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে এক
সংবাদ সম্মেলনে জেসিকা লিডস, সাবেক মিস নর্থ ক্যারোলাইনা (২০০৬) সামান্থা
হোলভে ও র্যাচেল ক্রুকস নামের ওই তিন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ
তোলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেসিকা, সামান্থা ও র্যাচেলের অভিযোগ,
অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্প তাঁদের শরীরে হাত দিয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন এবং জোর
করে চুমু দিয়েছেন। এতে তাঁরা অপমানিত ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে
হোয়াইট হাউস জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই তিন নারীর অভিযোগ মিথ্যা।
হলিউডের প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ
ওঠার পর সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে চলে আসছে। যেসব
নারী ও পুরুষ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে
হ্যাশট্যাগ ‘#মি টু’ দিয়ে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করছেন। এ পর্যন্ত
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৬ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক মিস
নর্থ ক্যারোলাইনা (২০০৬) সামান্থা হোলভে বলেন, ২০০৬ সালে মিস নর্থ
ক্যারোলাইনা প্রতিযোগিতার সময় ট্রাম্প তাঁর দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে
ছিলেন।
তাঁর অশালীন ভঙ্গিতে তাকানো দেখে বিবৃত হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন,
এভাবেই প্রতিদিন নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে কংগ্রেসে ট্রাম্পের
বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। ৭০ বছর বয়সী জেসিকা লিডসের অভিযোগ, ৩৮ বছর বয়সে
তিনি নিউইয়র্ক থেকে একটি ফ্লাইটের প্রথম শ্রেণির কেবিনে ট্রাম্পের পাশের
আসনে বসেছিলেন। সেখানেই জোর করে ট্রাম্প তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন। তিনি
বলেন, ‘ট্রাম্প প্রকৃত অর্থে কী রকম ব্যক্তি তা আমি মানুষকে জানাতে চাই।
তিনি কতটা বিকৃত মানসিকতার তাও মানুষের জানা দরকার।’ র্যাচেল ক্রুকসের
অভিযোগ, তিনি ট্রাম্প টাওয়ারে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের
অভ্যর্থনাকারীর চাকরি করতেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। ২০০৫ সালে একদিন
লিফটের বাইরে ট্রাম্প তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তাঁর ঠোঁটে চুমু দেন।
র্যাচেল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। ভেঙে পড়েছিলাম।’ এ বিষয়ে
গতকাল হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডারস বলেন, প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
No comments