নানা প্রলোভনে নারীদের ফাঁদে ফেলতো সাফাত by রুদ্র মিজান
টার্গেট
করা হতো সুন্দরীদের। সেলিব্রেটি হতে স্বপ্ন দেখেন এমন মেয়েদের সহজেই ডেকে
আনা হতো। দেয়া হতো নানা প্রলোভন। প্রলোভনে পা দিয়ে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে
অনেককে। এ বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ না করলেও বিষয়টি জানতেন সাফাত আহমেদের
ঘনিষ্ঠরা। পরিচিত মডেল, অভিনেত্রী, নায়িকাদের অনেকে ডাকলেই সাড়া দিতেন।
তাদের মূল্যবান গিফট ও কাজের সুযোগ দিতেন সাফাত। আবার দুই-একজন মডেল
সাফাতের ডাকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও ফিরে গেছেন। তাদের অভিযোগ রক্ষিতার
মতোই তাদের ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন সাফাত। সাফাতের বেপরোয়া জীবন-যাপনের
কারণেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। এতকিছু জানার পরও সাফাতকে
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বলে জানান মডেল পিয়াসা। মানবজমিনের সঙ্গে এ বিষয়ে
বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি। বিয়ের পরপরই এক প্রভাবশালী নেতার ছেলে পিয়াসাকে
জানিয়েছিল, সাফাত ইয়াবা সেবন করে। তাকে বিয়ে করা তোমার ঠিক হয়নি। অবশ্য
তার আগেই পিয়াসা জানতে পারেন সাফাতের বেপরোয়া জীবনযাপন সম্পর্কে। পিয়াসা
বলেন, স্ত্রী হিসেবে আমি তার মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। তাকে আমি
টেলিভিশনে টকশোতে নিয়ে গেছি। ২০১৫ সালে শ্রেয়া ঘোষালের প্রোগ্রামে তাকে
মঞ্চে বসার সুযোগ করে দিয়েছি। আমার কারণে ক্রিকেট তারকাসহ অনেকের সঙ্গে তার
বন্ধুতা হয়েছে। আমি তাকে বেপরোয়া জীবন থেকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। আমার সঙ্গে
বিচ্ছেদের পরপরই সাফাত আবার বিপদগামী হয়েছে। এ জন্য সাফাতের বাবা দিলদার
আহমেদ সেলিম ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে হালিমকে দায়ী করেন পিয়াসা।
পিয়াসা বলেন, সাফাত বিয়ের আগেই মেয়ে নিয়ে ঘুরতো। ওর ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল বাজে। গত বছরের মার্চে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠানে নাঈম আশরাফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় সাফাতের। নাঈম হয়ে যায় তার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওর মতো একটা বাজে ছেলে কিভাবে তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়। নাঈম আশরাফ মূলত একজন সাপ্লায়ার। নারী ও মদ সাপ্লাই দেয় সে। অনেক চেষ্টা করে নাঈমের সঙ্গ ছাড়াতে পারিনি। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ চাইতেন নাঈমের সঙ্গেই চলাফেরা করুক তার ছেলে। কারণ নাঈমের সঙ্গে দিলদার আহমেদেরও ভালো সম্পর্ক ছিল। এই নাঈম কাজ করতো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইমেকার্সে। এতে কাজ করতে গিয়েই মডেল, অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার পরিচয়, সম্পর্ক। এই সুবাধেই সাপ্লায়ার হিসেবে ভূমিকা রাখতো নাঈম আশরাফ। বনানীর-১১ এর একটি হোটেল ছিল তাদের আড্ডার মূলকেন্দ্র। সর্বশেষ আস্তানা গড়ে রেইনট্রি হোটেলে। পিয়াসা বলেন, একজন মডেল আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে আপন জুয়েলার্সের এম্বাসেডর বানানোর প্রস্তাব দিয়ে কথা বলার জন্য একান্তে ডাকা হয়েছিলো। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটানোর ওই প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি। তবে অনেকেই সাড়া দিতেন। বিনিময়ে কাজের সুযোগ পেতেন। গিফট পেতেন। পিয়াসা বলেন, গত মার্চের ৮ তারিখের পরপরই ভারতে যায় সাফাত। সেখানে তার সঙ্গে এক মডেল ছিল। অর্থের কারণে এসব মডেলরা স্বেচ্ছায় সাফাতের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতেন। সাফাত-নাঈমের টার্গেট থাকতো পরিচিত সুন্দরী মডেল ও উদীয়মান সুন্দরীরা। তাদের সহজে বশ করতো নাঈম। পরিচিতদের গিফট ও কাজ দেয়ার কথা বলে ডেকে আনা হতো। আর নতুনদের প্রতিষ্ঠিত করার প্রলোভন দেখাতো। কখনো কখনো বন্ধুতা করেও বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতো তারা। বনানীর-১১ এর যে হোটেলে নিয়মিত আড্ডা দিতো সাফাত, সাকিফ ও নাঈম। ওই হোটেলে বার না থাকলেও গাঁজা, মদ ও নারী ছিল তাদের জন্য ওপেন। তাদের আড্ডায় ঢাকার একজন এমপি পুত্র, ঢাকার বাইরের আরেক এমপি পুত্র ও একজন ক্রিকেটারও অংশ নিতো। আড্ডায় মাতাল হয়ে মডেল ও আইটেম গার্লদের সঙ্গে নাচ করতো তারা। হোটেলের কক্ষেই রাত্রি যাপন করতো সাফাত, নাঈমরা। তবে যতদিন সাফাতের স্ত্রী হিসেবে ছিলেন ততদিন তাকে এসব আড্ডা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন পিয়াসা। পিয়াসার দাবি, তার সঙ্গে ডিভোর্সের পরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন সাফাত। যার ফলে ঘটে ধর্ষণের ঘটনাটি। পিয়াসা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত। গত ৭ই মার্চ গুলশানের আমরি রেস্তরাঁয় এক অনুষ্ঠানে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো সাদমান সাকিফ। সেখানে পিয়াসাও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় থেকেই দুই তরুণীকে টার্গেট করা হয়েছিলো। এর পরদিন বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই পিয়াসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ভারতে চলে যায় সাফাত আহমেদ। পরবর্তীতে দুই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। পরিচয় হয়েছে নাঈম আশরাফের সঙ্গেও। নাঈমের পরামর্শেই দুই তরুণীকে গত ২৮শে মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে করেন পিয়াসা।
পিয়াসা বলেন, দুই তরুণী আমাকে জানতো সাফাতের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে। ধর্ষণের ঘটনাটি নির্যাতিতা দুই তরুণী বলার আগেই গুঞ্জন ছিল। সম্ভবত এপ্রিলের ২৫ তারিখের দিকে আমার মেসেঞ্জারে কল করেন এক তরুণী। তিনি জানান, সাফাত ও নাঈম তাকে ও তার বান্ধবীকে রাতভর হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি আমি শুনতে চাইনি। যেহেতু সাফাতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মেয়েটি বললো- আপনি তার গার্লফ্রেন্ড তাই আপনাকে বললাম। আমি তখন তাদের জানাই, আমি গার্লফ্রেন্ড না। তার বউ ছিলাম। আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তখন আমার সহযোগিতা চায়। আমি তাদের কোনো সহযোগিতা করতে রাজি হইনি।
মামলা করার সময় তরুণীদের সঙ্গে গুলশান থানায় যাওয়া প্রসঙ্গে পিয়াসা বলেন, ওরা অনেক অনুরোধ করেছিলো তবু রাজি হইনি। আমি চাইনি এ বিষয়ে আমি আলোচনায় আসি। ওরা বললো এজাহারে আমার কথা উল্লেখ করবে। আমি নিষেধ করেছি। এজাহারে যাতে আমার নাম না আসে। এ জন্য থানায় যাই। তারপরও ফেরাতে পারিনি। এজাহারে আমার নাম দিয়ে দিছে।
নির্যাতিতাদের নানাভাবে পটাতে চেষ্টা করেছিলো সাফাত। নির্যাতিতাদের বরাত দিয়ে পিয়াসা বলেন, সাফাত তাদের ডেকে নিজের একাকিত্ব, কষ্টের কথা বলতো। ঘটনার দিন ফোন দিয়ে বলেছিলো, তোমরা আমার কাছের বন্ধু। তোমরা না এলে আমি জন্মদিনের কেক কাটবো না। পরে গানম্যান, গাড়ি পাঠিয়ে তাদের নিয়ে যায়। ধর্ষণের পর এক মাস পর মামলা করার পেছনে তার কোনো ষড়যন্ত্র নেই দাবি করে পিয়াসা বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ওর বাবা নিজের ও নিজের ছেলের দোষ ঢাকতে আমাকে টেনে এনেছে। বলছে এটা আমার ষড়যন্ত্র। আমি চাই না তাদের অপকর্ম নিয়ে কথা বলতে। বললে আরো অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে।
পিয়াসা জানান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলো সাফাত। ওই বিয়ে টিকেনি। ওই তরুণী এখন আমেরিকায় রয়েছেন। ভালোবেসেই সাফাতকে বিয়ে করেছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে পিয়াসা। ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি এক টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সাফাতের পিতা শুরু থেকেই পিয়াসাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি। যে কারণে বাবা-ছেলের মধ্যে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পিয়াসা বলেন, ২০১৫ সালে পিয়াসাকে বিয়ে করার কারণে দিলদার আহমেদ তার ছেলেকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিলো তাদের বাসায়। এমনকি সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন দিলদার আহমেদ। তার কারণেই সাফাত আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আজ তার কারণেই সাফাত বিপদগামী। সে ধর্ষণ মামলার আসামি হয়েছে। এসবের জন্য সাফাতের পিতা ও তার কয়েক বন্ধুকে দায়ী করেন তার সাবেক স্ত্রী পিয়াসা।
পিয়াসা বলেন, সাফাত বিয়ের আগেই মেয়ে নিয়ে ঘুরতো। ওর ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল বাজে। গত বছরের মার্চে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠানে নাঈম আশরাফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় সাফাতের। নাঈম হয়ে যায় তার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওর মতো একটা বাজে ছেলে কিভাবে তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়। নাঈম আশরাফ মূলত একজন সাপ্লায়ার। নারী ও মদ সাপ্লাই দেয় সে। অনেক চেষ্টা করে নাঈমের সঙ্গ ছাড়াতে পারিনি। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ চাইতেন নাঈমের সঙ্গেই চলাফেরা করুক তার ছেলে। কারণ নাঈমের সঙ্গে দিলদার আহমেদেরও ভালো সম্পর্ক ছিল। এই নাঈম কাজ করতো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইমেকার্সে। এতে কাজ করতে গিয়েই মডেল, অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার পরিচয়, সম্পর্ক। এই সুবাধেই সাপ্লায়ার হিসেবে ভূমিকা রাখতো নাঈম আশরাফ। বনানীর-১১ এর একটি হোটেল ছিল তাদের আড্ডার মূলকেন্দ্র। সর্বশেষ আস্তানা গড়ে রেইনট্রি হোটেলে। পিয়াসা বলেন, একজন মডেল আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে আপন জুয়েলার্সের এম্বাসেডর বানানোর প্রস্তাব দিয়ে কথা বলার জন্য একান্তে ডাকা হয়েছিলো। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটানোর ওই প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি। তবে অনেকেই সাড়া দিতেন। বিনিময়ে কাজের সুযোগ পেতেন। গিফট পেতেন। পিয়াসা বলেন, গত মার্চের ৮ তারিখের পরপরই ভারতে যায় সাফাত। সেখানে তার সঙ্গে এক মডেল ছিল। অর্থের কারণে এসব মডেলরা স্বেচ্ছায় সাফাতের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতেন। সাফাত-নাঈমের টার্গেট থাকতো পরিচিত সুন্দরী মডেল ও উদীয়মান সুন্দরীরা। তাদের সহজে বশ করতো নাঈম। পরিচিতদের গিফট ও কাজ দেয়ার কথা বলে ডেকে আনা হতো। আর নতুনদের প্রতিষ্ঠিত করার প্রলোভন দেখাতো। কখনো কখনো বন্ধুতা করেও বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতো তারা। বনানীর-১১ এর যে হোটেলে নিয়মিত আড্ডা দিতো সাফাত, সাকিফ ও নাঈম। ওই হোটেলে বার না থাকলেও গাঁজা, মদ ও নারী ছিল তাদের জন্য ওপেন। তাদের আড্ডায় ঢাকার একজন এমপি পুত্র, ঢাকার বাইরের আরেক এমপি পুত্র ও একজন ক্রিকেটারও অংশ নিতো। আড্ডায় মাতাল হয়ে মডেল ও আইটেম গার্লদের সঙ্গে নাচ করতো তারা। হোটেলের কক্ষেই রাত্রি যাপন করতো সাফাত, নাঈমরা। তবে যতদিন সাফাতের স্ত্রী হিসেবে ছিলেন ততদিন তাকে এসব আড্ডা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন পিয়াসা। পিয়াসার দাবি, তার সঙ্গে ডিভোর্সের পরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন সাফাত। যার ফলে ঘটে ধর্ষণের ঘটনাটি। পিয়াসা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত। গত ৭ই মার্চ গুলশানের আমরি রেস্তরাঁয় এক অনুষ্ঠানে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো সাদমান সাকিফ। সেখানে পিয়াসাও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় থেকেই দুই তরুণীকে টার্গেট করা হয়েছিলো। এর পরদিন বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই পিয়াসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ভারতে চলে যায় সাফাত আহমেদ। পরবর্তীতে দুই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। পরিচয় হয়েছে নাঈম আশরাফের সঙ্গেও। নাঈমের পরামর্শেই দুই তরুণীকে গত ২৮শে মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে করেন পিয়াসা।
পিয়াসা বলেন, দুই তরুণী আমাকে জানতো সাফাতের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে। ধর্ষণের ঘটনাটি নির্যাতিতা দুই তরুণী বলার আগেই গুঞ্জন ছিল। সম্ভবত এপ্রিলের ২৫ তারিখের দিকে আমার মেসেঞ্জারে কল করেন এক তরুণী। তিনি জানান, সাফাত ও নাঈম তাকে ও তার বান্ধবীকে রাতভর হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি আমি শুনতে চাইনি। যেহেতু সাফাতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মেয়েটি বললো- আপনি তার গার্লফ্রেন্ড তাই আপনাকে বললাম। আমি তখন তাদের জানাই, আমি গার্লফ্রেন্ড না। তার বউ ছিলাম। আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তখন আমার সহযোগিতা চায়। আমি তাদের কোনো সহযোগিতা করতে রাজি হইনি।
মামলা করার সময় তরুণীদের সঙ্গে গুলশান থানায় যাওয়া প্রসঙ্গে পিয়াসা বলেন, ওরা অনেক অনুরোধ করেছিলো তবু রাজি হইনি। আমি চাইনি এ বিষয়ে আমি আলোচনায় আসি। ওরা বললো এজাহারে আমার কথা উল্লেখ করবে। আমি নিষেধ করেছি। এজাহারে যাতে আমার নাম না আসে। এ জন্য থানায় যাই। তারপরও ফেরাতে পারিনি। এজাহারে আমার নাম দিয়ে দিছে।
নির্যাতিতাদের নানাভাবে পটাতে চেষ্টা করেছিলো সাফাত। নির্যাতিতাদের বরাত দিয়ে পিয়াসা বলেন, সাফাত তাদের ডেকে নিজের একাকিত্ব, কষ্টের কথা বলতো। ঘটনার দিন ফোন দিয়ে বলেছিলো, তোমরা আমার কাছের বন্ধু। তোমরা না এলে আমি জন্মদিনের কেক কাটবো না। পরে গানম্যান, গাড়ি পাঠিয়ে তাদের নিয়ে যায়। ধর্ষণের পর এক মাস পর মামলা করার পেছনে তার কোনো ষড়যন্ত্র নেই দাবি করে পিয়াসা বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ওর বাবা নিজের ও নিজের ছেলের দোষ ঢাকতে আমাকে টেনে এনেছে। বলছে এটা আমার ষড়যন্ত্র। আমি চাই না তাদের অপকর্ম নিয়ে কথা বলতে। বললে আরো অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে।
পিয়াসা জানান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলো সাফাত। ওই বিয়ে টিকেনি। ওই তরুণী এখন আমেরিকায় রয়েছেন। ভালোবেসেই সাফাতকে বিয়ে করেছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে পিয়াসা। ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি এক টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সাফাতের পিতা শুরু থেকেই পিয়াসাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি। যে কারণে বাবা-ছেলের মধ্যে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পিয়াসা বলেন, ২০১৫ সালে পিয়াসাকে বিয়ে করার কারণে দিলদার আহমেদ তার ছেলেকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিলো তাদের বাসায়। এমনকি সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন দিলদার আহমেদ। তার কারণেই সাফাত আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আজ তার কারণেই সাফাত বিপদগামী। সে ধর্ষণ মামলার আসামি হয়েছে। এসবের জন্য সাফাতের পিতা ও তার কয়েক বন্ধুকে দায়ী করেন তার সাবেক স্ত্রী পিয়াসা।
No comments