ঢাকায় এক হাজার এসি বাস নামানো হবে
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, নগরবাসীর চলাচল নিশ্চিত করতে রাজধানীতে এক হাজার এসি বাস নামানো হবে। একই সঙ্গে মহিলাদের জন্য আলাদা বাস নামানোর চিন্তাভাবনা চলছে। দায়িত্ব পালনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার ফেসবুকে সোহেল আরমান নামের এক নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলার অনেক কিছুই দৃশ্যমান হবে। চার হাজার বাস নামানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। রুট, কোম্পানির সংখ্যা চূড়ান্ত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সড়ক, ফুটপাত এবং অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণ করতে ডিএনসিসির নিজস্ব পুলিশ ফোর্স দরকার। এজন্য সরকারের কাছে আমরা ১০০ পুলিশ চেয়েছি। এটা দেয়া হলে বিদ্যমান অনেক সমস্যার সমাধান হবে। আমার ও দক্ষিণের মেয়রের এই দাবি সমর্থন করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। তবে আমরা শুধু আমাদের কাজ করব, পুলিশের কোনো কাজ করব না। নগর সরকার সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটা অলীক কল্পনা। কেননা রাজনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে আসেনি যে, মেয়রের হাতে পুলিশসহ অন্যান্য সেবা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ দেয়া হবে। নগর সরকার চাই না, কাজ করতে পুলিশ দেয়া হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। মিরপুরের বাসিন্দা নাছির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সড়ক, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। তবে এটার বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য আমাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক উল্লেখযোগ্য সড়ক, ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানান মেয়র। বাসা ভাড়ার দৌরাÍ্য সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মেয়রের নয়। খিলক্ষেতের বাসিন্দা ফারহান তাদের এলাকার বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরলে মেয়র তাকে আশ্বস্ত করেন। বলেন, ওই এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সময় এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের বলা আছে। ধ্র“ব হাসান নামের এক নগরবাসীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, কোন সড়কে বর্জ্য ফেলে রাখা হয় বলে তার জানা নেই। সড়কে যত্রতত্র বর্জ্যবাহী গাড়ি পরিষ্কার করা হয় এটাও তার নলেজে নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। মেয়র বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ৬৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) করা হয়েছে। আরও কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। নগরীর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আরও কিছু সুবিধা দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান মেয়র। অবৈধ দখল সম্পর্কে বলেন, ডিএনসিসির এলাকার সড়ক ও ফুটপাতের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এজন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে। বৃক্ষনিধন সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া, নগরীর কোনো এলাকার গাছ নিধন করা হচ্ছে না। তবে একটি গাছ কাটলেও আমরা একাধিক গাছ লাগানোর চেষ্টা করছি। এটা চলতি বছরে আরও বৃদ্ধি করা হবে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেয়র আনিসুল হকের ফেসবুক লাইভ শুরু করার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয় ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান। চলে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত। তবে অনুষ্ঠান শুরুর পর হাজার হাজার নগরবাসী মেয়রকে নানাবিধ প্রশ্ন করেন। মেয়র অনেকের প্রশ্নের জবাব দেন। অনেকে ভালো কাজ করার জন্য মেয়রকে সাধুবাদও জানান।
No comments