স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে মাত্রাতিরিক্ত লবণে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী একজন মানুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম লবণ খেতে পারে। কিন্তু সেখানে দেশের মানুষ প্রতিদিন ৭ দশমিক ৮ গ্রাম লবণ খাচ্ছে। জেনে হোক আর না জেনেই হোক, প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়ায় দেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে ‘লবণ ও অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি’ শীর্ষক এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে লবণ খাওয়ার প্রবণতা পুরুষের চেয়ে বেশি। নারীদের শরীরে পটাশিয়ামের চেয়ে ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। নারীদের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অনুপাত ৫ ও ২, অপরদিকে পুরুষের শরীরে ৪ ও ৬। দেশের মানুষের মধ্যে লবণ খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে এ বৈজ্ঞানিক গবষেণা পরিচালনা করেছেন বিএসএমএমইউ’র পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী ডা. ফাহমিদা আফরোজ খান। এতে গ্রামপর্যায়ের ১০০ জনের (নারী ৬০ ও পুরুষ ৪০) ইউরিনারি (সোডিয়াম, পটাশিয়াম,
ক্রিয়েটিনিন) পরীক্ষা করা হয়। যার মাধ্যমে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু লবণ খেয়েছে তা পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা গেছে, বিশ্ব সংস্থার পরিমাপ অনুযায়ী ৫ গ্রামের নিচে হলেও দেশের মানুষ ৭ দশমিক ৮ গ্রাম লবণ খাচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বেশি। অপরদিকে রাজধানীর বাউনিয়া এলাকার বস্তিবাসীদের লবণ খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০০ নারী ও পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এখানে দেখা গছে, তারা দৈনিক গড়ে ৭ দশমিক ৮৯ গ্রাম লবণ খায়। গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।
No comments