বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানীর অর্জন
বাংলাদেশি কম্পিউটারবিজ্ঞানী তানজিমা হাশেম ২০১৭ সালের ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর নারী বিজ্ঞানীদের সংগঠন ওডব্লিউএসডি এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। চলতি বছর পাঁচ দেশের পাঁচ নারী গবেষক মনোনয়ন পেয়েছেন। বুয়েটের শিক্ষক তানজিমা হাশেম মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষার কম্পিউটারনির্ভর একটি উপায় বের করেছেন। অনলাইনে বিভিন্ন সেবা নেওয়ার সময় স্বাস্থ্য, অভ্যাস ও অবস্থানের বিষয়ে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার জন্যই এ রকম ব্যবস্থার প্রয়োজন। তানজিমা হাশেম বলেন, ‘উন্নয়নশীল বিশ্বে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বাধার মুখোমুখি হই। সেগুলো সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য এই পুরস্কার আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’ বাংলাদেশ, ইকুয়েডর, ঘানা, ইন্দোনেশিয়া ও সুদানের নারী গবেষকেরা কেমিকৌশল, জ্বালানি ও খনি প্রকৌশল, পরিবেশ প্রকৌশল এবং কম্পিউটারবিজ্ঞানে নিজ নিজ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন। পাশাপাশি নিজ নিজ দেশের তরুণীদের বিজ্ঞান গবেষণার তত্ত্বাবধানের জন্যও তাঁদের এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। ওডব্লিউএসডির প্রধান জেনিফার থমসন বলেন,
এই পাঁচ নারীর সংকল্প, নিষ্ঠা ও উদ্যম সবার জন্য প্রেরণামূলক—বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর নারী গবেষকদের জন্য। স্থানীয়ভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্য অর্জনের ব্যাপারটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তানজিমা হাশেম, ইকুয়েডরের চিম্বোরাজো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মারিয়া ফার্নান্দা রিভেরা ভেলাস্কেজ, ইন্দোনেশিয়ার উইদিয়া মান্দালা ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির সুরাবায়ার ফেলিসিয়া এডি সোয়েতারেদজো, ঘানার ইউনিভার্সিটি অব মাইনস অ্যান্ড টেকনোলজির গ্রাস অফোরি-সারপং এবং সুদান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির রানিনা মুখতার। ইলসেইভার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইলান স্কেম বলেন, এই বিজয়ীদের প্রত্যেকে বিকাশমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠিনতম বাধাগুলো মোকাবিলা করছেন। তাঁদের কাজের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মূল্যবান সম্পদের দূষণ দূরীকরণ প্রভৃতি বিষয় রয়েছে। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেওয়াই এ পুরস্কারের লক্ষ্য।
No comments