অনুসন্ধান কমিটি সফল হয়নি
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, গত ১০ বছরে একটা অনুসন্ধান কমিটিও এমন কোনো নাম দিতে পারেনি, যেখান থেকে কমিশনে কোনো সফল ব্যক্তিত্ব এসেছেন। যাঁদের আসা সম্ভব ছিল, তাঁদের নাম অনুসন্ধান কমিটি দিতে পারেনি। তাই অনুসন্ধান কমিটি এখনো সফল হয়নি। গতকাল শনিবার সকালে ‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আকবর আলি খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (এফডিসি) বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আকবর আলি খান বলেন, নির্বাচন কমিশনে এমন লোককে দেওয়া উচিত, যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের কিংবা এর অঙ্গসংগঠনের সদস্য ছিলেন না। যাঁর অভিজ্ঞতা আছে এবং যাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তিনি যদি কোনো লোকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হন, তাঁকে নেওয়া হবে না। এটা ব্যক্তির প্রতি বিচার করার বিষয় নয়, এটা নির্বাচন করার জন্য। অর্থনীতিবিদ আকবর আলি খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য অনুসন্ধান কমিটিকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।
তারা বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থীর নাম নিয়ে তাদের পছন্দমতো নাম বাছাই করেছে। কিন্তু এত সহজে ১০ দিনে লোকের তালিকা দেখে বাছাই করা সম্ভব নয়। আকবর আলী খান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কি হবে না, তা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে জনগণ এ সিদ্ধান্ত দিতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণভোট গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তিশালী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ দেশে গণভোট শক্তিশালী করার জন্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। যে দেশে রাজনৈতিক দলগুলো বিবাদে লিপ্ত থাকে, একে অপরকে অভদ্র ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কথায় কথায় শোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, সে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হওয়া সম্ভব নয়। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও এটিএন বাংলার যৌথ আয়োজনে বছরব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় ছায়া বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার নয়, বর্তমান সরকারই যথেষ্ট’। এতে সরকার দলের হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি দলের হয়ে অংশ নেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিতর্কে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকেরা জয়ী হন।
No comments