ভেলোর অন্ধকার পৃথিবীতে ‘আলো’ ফুটবল
আজন্ম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সিলভিও ভেলো ফুটবল খেলেন। গোলও করেন। তাকে বলা হয় ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লিওনেল মেসি’। আর্জেন্টিনার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুটবল দলের অধিনায়ক তিনি। আগস্টে রিও প্যারালিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন তার। ভেলোর বয়স এখন ৪৫। এ বয়সেও তিনি ফুটবল খেলছেন। তার মুকুটে যোগ হয়েছে অনেক পালক। তিনটি বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। ২০০৪ প্যারালিম্পিকে রুপা জিতেছেন। ২০০৮-এ প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ফুটবল আসর বসে। সেবার তিনি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
প্রচণ্ড গতি, ক্ষুরধার ফুটবল-মস্তিষ্ক এবং ‘গোলাজোস’-এর জন্য সুবিদিত ভেলোকে প্রায়শই মেসির সঙ্গে তুলনা করা হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুটবলে তারাই খেলতে পারেন যারা ভেলোর মতো জন্মান্ধ। আর এ খেলায় গোলকে বলা হয় ‘গোলাজোস’। তার চোখের আলো নেই। পৃথিবী অন্ধকার। তবু ভেলোর কোনো দুঃখবোধ নেই। নেই কোনো অনুযোগ, আক্ষেপ। তার ধ্যান-জ্ঞান ফুটবল। এ খেলাটির প্রতি আশৈশব অনুরক্ত তিনি। বলেছেন, ‘প্রথম যখন বলের শব্দ শুনি, আমার কাছে মনে হয় আমি যেন সঙ্গীত শুনছি।’ ফুটবলের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে শৈশবে। এরপর যত দিন গেছে সেই অনুরাগ আরও গাঢ় হয়েছে। শৈশবে বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল চালানো এবং লুকোচুরি খেলতেন। যদিও কাউকে ধরতে পারতেন না, নিজেই হেসে একথা বলেন ভেলো। ১০ বছর বয়সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ফুটবলে তার হাতেখড়ি, ততদিনে ভেলো শিখে ফেলেছেন ফুটবল খেলাটা। চোখে না দেখলেও বন্ধুদের ফুটবল খেলার শব্দ তার কানে যেত। হাঁটুতে বল রেখে জাগলিং করা কিংবা এক পা থেকে আরেক পায়ে বল নেয়া- এসব তো আর দেখতে পারতেন না। শব্দ শুনে ঠাওর করতেন। নিজেকে শুধাতেন, ‘আমি তো চোখে দেখি না। কিভাবে না দেখে আমার পক্ষে ফুটবল খেলা সম্ভব?’
সমাধান বের করলেন একটি থলির ভেতর বল রেখে। তাতে শব্দ বেশি হয়। সেই শব্দ তার পা দুটিকে নিয়ে যায় বলের কাছে। ভেলোর প্রতিভা ও গতি চমকে দেয় তার ট্রেনারকে। ট্রেনার মারিয়ানো আরনাল তার ছেলেবেলার বন্ধু। আরনাল প্রথমদিকের অনুশীলনের স্মৃতিচারণ করেন হাসতে হাসতে, ‘ওর হাতের সঙ্গে আমার হাত বেঁধে দৌড়াতাম। কিন্তু এত জোরে দৌড়াত যে, শেষ পর্যন্ত আমাকে সাইকেলের সাহায্য নিতে হতো। তারপরও ওর সঙ্গে আমি পারতাম না। তাই বাধ্য হয়ে সাইকেল ছেড়ে আমাকে মোটরসাইকেল নিতে হল।’ পাঁচ সন্তানের বাবা ভেলো সম্প্রতি দাদা হয়েছেন। বুয়েনস আয়ার্সের বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুটবল দলের পেশাদার খেলোয়াড় ভেলো। শৈশবের প্রিয় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সম্প্রতি বোকা জুনিয়র্স তাকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিভার প্লেট থেকে নিয়ে এসেছে। যেখানে এক দশক ধরে তারকা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। এখন তার একটাই স্বপ্ন, ব্রাজিলে স্বর্ণপদক জেতা। ‘আমরা সেই পদক চাই’, তার দৃপ্ত উচ্চারণ। এএফপি।
প্রচণ্ড গতি, ক্ষুরধার ফুটবল-মস্তিষ্ক এবং ‘গোলাজোস’-এর জন্য সুবিদিত ভেলোকে প্রায়শই মেসির সঙ্গে তুলনা করা হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুটবলে তারাই খেলতে পারেন যারা ভেলোর মতো জন্মান্ধ। আর এ খেলায় গোলকে বলা হয় ‘গোলাজোস’। তার চোখের আলো নেই। পৃথিবী অন্ধকার। তবু ভেলোর কোনো দুঃখবোধ নেই। নেই কোনো অনুযোগ, আক্ষেপ। তার ধ্যান-জ্ঞান ফুটবল। এ খেলাটির প্রতি আশৈশব অনুরক্ত তিনি। বলেছেন, ‘প্রথম যখন বলের শব্দ শুনি, আমার কাছে মনে হয় আমি যেন সঙ্গীত শুনছি।’ ফুটবলের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে শৈশবে। এরপর যত দিন গেছে সেই অনুরাগ আরও গাঢ় হয়েছে। শৈশবে বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল চালানো এবং লুকোচুরি খেলতেন। যদিও কাউকে ধরতে পারতেন না, নিজেই হেসে একথা বলেন ভেলো। ১০ বছর বয়সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ফুটবলে তার হাতেখড়ি, ততদিনে ভেলো শিখে ফেলেছেন ফুটবল খেলাটা। চোখে না দেখলেও বন্ধুদের ফুটবল খেলার শব্দ তার কানে যেত। হাঁটুতে বল রেখে জাগলিং করা কিংবা এক পা থেকে আরেক পায়ে বল নেয়া- এসব তো আর দেখতে পারতেন না। শব্দ শুনে ঠাওর করতেন। নিজেকে শুধাতেন, ‘আমি তো চোখে দেখি না। কিভাবে না দেখে আমার পক্ষে ফুটবল খেলা সম্ভব?’
সমাধান বের করলেন একটি থলির ভেতর বল রেখে। তাতে শব্দ বেশি হয়। সেই শব্দ তার পা দুটিকে নিয়ে যায় বলের কাছে। ভেলোর প্রতিভা ও গতি চমকে দেয় তার ট্রেনারকে। ট্রেনার মারিয়ানো আরনাল তার ছেলেবেলার বন্ধু। আরনাল প্রথমদিকের অনুশীলনের স্মৃতিচারণ করেন হাসতে হাসতে, ‘ওর হাতের সঙ্গে আমার হাত বেঁধে দৌড়াতাম। কিন্তু এত জোরে দৌড়াত যে, শেষ পর্যন্ত আমাকে সাইকেলের সাহায্য নিতে হতো। তারপরও ওর সঙ্গে আমি পারতাম না। তাই বাধ্য হয়ে সাইকেল ছেড়ে আমাকে মোটরসাইকেল নিতে হল।’ পাঁচ সন্তানের বাবা ভেলো সম্প্রতি দাদা হয়েছেন। বুয়েনস আয়ার্সের বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুটবল দলের পেশাদার খেলোয়াড় ভেলো। শৈশবের প্রিয় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সম্প্রতি বোকা জুনিয়র্স তাকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিভার প্লেট থেকে নিয়ে এসেছে। যেখানে এক দশক ধরে তারকা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। এখন তার একটাই স্বপ্ন, ব্রাজিলে স্বর্ণপদক জেতা। ‘আমরা সেই পদক চাই’, তার দৃপ্ত উচ্চারণ। এএফপি।
No comments