বালিগঞ্জে সুব্রতর পথের কাঁটা কংগ্রেস by অমর সাহা
কলকাতার
একসময়ের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ছিল বালিগঞ্জ। আভিজাত্যের দিক থেকে এখন অবশ্য
বালিগঞ্জকে টপকে গেছে সল্টলেক ও রাজারহাটের নিউ টাউন। তবু দক্ষিণ কলকাতার
বালিগঞ্জ এখনো তাঁর জৌলুশ ধরে রেখেছে। বিধানসভার নির্বাচনে এ আসনের এবারের
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত
মুখোপাধ্যায়। সুব্রত কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। ১৯৯৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে।
ছিলেন কলকাতা পৌর করপোরেশনেরও মেয়র। সাতবার তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এবার
লড়ছেন অষ্টমবারের জন্য। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে মনোনয়ন পেয়েছেন
কংগ্রেসেরই রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদক কৃষ্ণা দেবনাথ। পেশায় চিকিৎসক
কৃষ্ণা দেবনাথও এক লড়াকু নেত্রী। কৃষ্ণা দেবনাথ ১৯৯৬ সালে প্রথম বিধানসভা
নির্বাচনে লড়েছিলেন কলকাতার বেলেঘাটা কেন্দ্রে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আসনে
এবার আর সহজে তরি পার করতে পারছেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পথে রয়েছে অনেক
কাঁটা। সারদার কেলেঙ্কারির কাদা তাঁর গায়ে না লাগলেও এবার লেগেছে নারদা
কেলেঙ্কারির কালি। তাই অনেকটাই বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন তিনি। গতকাল
মঙ্গলবার সকালে সুব্রত প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরের কাজ দেখেছেন
এলাকাবাসী। তাঁরা নিশ্চয়ই আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।’ কংগ্রেসের প্রার্থী
কৃষ্ণা দেবনাথও জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। গতকাল প্রথম আলোকে
তিনি বললেন, ‘আমরা দাঁড়াই মানুষের ভালোবাসার ওপর ভরসা রেখে। এবার
বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। আমি তাদেরই প্রার্থী। জয়ের আশা তো করবই।’ ২০১১
সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ভোট পেয়েছিলেন ৮৮
হাজার ১৯৪টি। সেবার তিনি ছিলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের প্রার্থী। ওই সময়
সুব্রতর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ লোকসভার সাবেক স্পিকার
হাসিম আব্দুল হালিমের ছেলে ফুয়াদ হাসান। তিনি পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৯ ভোট।
আর বিজেপির প্রার্থী শতরূপা পেয়েছিলেন ৫ হাজার ১৮ ভোট। এবার সুব্রত
মুখোপাধ্যায়ের ভোটের বাজারে যেমন কংগ্রেসের অংশ কমে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি
কংগ্রেস প্রার্থীর ভোটের অঙ্কে যোগ হচ্ছে বাম দলের ভোটে।
No comments