‘চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছি’
হাইকোর্টের
অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল
বিভাগ। মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এবারও একই আদেশ হলে আরও সাত
ফুটবলারের সঙ্গে শেখ জামাল ছাড়া অন্য দলে খেলতে পারবেন না মামুনুল ইসলাম।
এসব নিয়েই কথা হলো এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে *আপনি বলেছিলেন, শেখ জামালে
খেলতে কেউ জোর জবরদস্তি করলে খেলাই ছেড়ে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শেখ
জামাল ছাড়া অন্য দলে খেলার ব্যাপারে আপনাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে আদালতের।
বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন? মামুনুল ইসলাম: এখনো আইনি লড়াই শেষ হয়নি।
হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। সেটা না করে
আপিল বিভাগ মামলাটি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে
বলেছেন। আমি যত দূর জানি, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুনানি শুরু হবে। চূড়ান্ত
রায় হয়তো বা আগামী সপ্তাহে হতে পারে। দেখা যাক, চূড়ান্ত রায়ে কী আসে।
*কিন্তু এখন পর্যন্ত যে আদেশ, তাতে শেখ জামাল ছাড়া অন্য দলে আপনারা খেলতে
পারবেন না। শেষ পর্যন্ত যদি এটাই বহাল থাকে? মামুনুল: আদালত নির্দেশ দিলে
সেটা মানতে হবে। তবে আমি আশাবাদী চূড়ান্ত রায় আমাদের পক্ষে যাবে। *যদি না
যায়, তাহলে তো শেখ জামালেই খেলতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি তো বলেছিলেন,
কোনোভাবেই আর শেখ জামাল নয়... মামুনুল: বলেছিলাম, কিন্তু এখন বিষয়টা
আদালতে গড়িয়েছে। চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে
এই অন্তর্বর্তী আদেশ শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে ফেডারেশন ও আমার ক্লাব
চট্টগ্রাম আবাহনী বসে আলাপ আলোচনা করবে। বিশেষ করে ফেডারেশন যেহেতু
বিবাদী, তাই তারাই ঠিক করবে আমরা কী করব। *যদি শেষ পর্যন্ত শেখ জামালেই
খেলতে হয়, মানিয়ে নিতে পারবেন? মামুনুল: এটা ঠিক, মানিয়ে নিতে সমস্যা
হবে। কারণ, মানসিকভাবে ওই ক্লাবের হয়ে খেলতে আমরা প্রস্তুত নই। আমিসহ
পাঁচজন চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে চুক্তি করেছি। তবে একটা কথা বলব, জীবিকা
যেখানে আছে, সেখানেই খেলতে হবে। *কিন্তু এটা তো জীবিকার বিষয় নয়, আইনি
ব্যাপার। তা আপনার দল চট্টগ্রাম আবাহনী কী বলছে? মামুনুল: মামলায় বিবাদী
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আদালতে তারা দাঁড়িয়েছে, শুনানি করেছে।
চট্টগ্রাম আবাহনী এই প্রক্রিয়ায় নেই। থাকলে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে
পারতাম। *এই যে আপনাদের দলবদল নিয়ে এত নাটক...এসব কি এড়ানো যেত না?
মামুনুল: নাটক তো আমরা করিনি। আমরা শেখ জামালে খেলব না, তাই অন্য দলে নাম
লিখিয়েছি। সেই স্বাধীনতা নিশ্চয়ই আমাদের আছে। এবং সেটাই আমরা চর্চা করেছি।
*কিন্তু শেখ জামাল তো প্রয়োজনীয় প্রমাণ নিয়ে আদালতে গিয়েছে... মামুনুল:
বিষয়টা বিচারাধীন হওয়ায় আমি কিছু বলব না। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করলেই সব
পরিষ্কার হয়ে যাবে। *শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য
নিষিদ্ধ হয়েছেন। এখন আদালতের আদেশে আপাতত শেখ জামাল ছাড়া অন্য দলে খেলতে
পারবেন না। সব মিলিয়ে কীভাবে ফিরে আসার কথা ভাবছেন? মামুনুল:
পারফরম্যান্স দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করব। সেটা করতে মুখিয়ে আছি। কিন্তু
নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে মাঠে নামতে পারছি না। খুবই
খারাপ লাগছে। তবে আশা করি সব দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর
হয়েই খেলতে পারব।
No comments