আফগানিস্তানে নারী স্কিয়ার!
স্কিয়িং করছেন আফগান নারীরা |
ধবধবে সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়ের গা-বেয়ে সারি বেঁধে নেমে আসছেন একদল নারী স্কিয়ার। জুতোয় আটকানো লম্বা স্কি। ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য দুই হাতে রয়েছে হাতলযুক্ত লম্বা লাঠি। পাহাড়ের ঢালু গা-বেয়ে পিচ্ছিল বরফ কেটে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা...।
পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন দৃশ্য অহরহই চোখে পড়ে। কিন্তু আফগানিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে নারীদের স্কি খেলা? তাও আবার বোরকা ছাড়াই! অনেকেই বলবেন অসম্ভব। কিন্তু আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকায় সম্প্রতি সত্যি সত্যি এমন দৃশ্য দেখা গেছে। খোশাক এলাকার কোহ-ই-বাবা পাহাড়ে বোরকায় মুখ না ঢেকে মাথায় শুধু স্কার্ফ পরে তাঁদের স্কিয়িং করতে দেখা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় রক্ষণশীল ও অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল বাসিন্দাদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
নারীদের স্কি খেলার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তসবি টেপা বন্ধ করে রীতিমতো আঁতকে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল। বললেন, ‘মেয়েরা স্কিয়িং করবে? বোরকা ছাড়া করলে অবশ্যই আমি এর বিরোধিতা করব।’ আফজাল জানালেন, তিনি এটিকে ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি’ বলে মনে করেন।
এ এলাকার বেশির ভাগ নারী বোরকায় আপাদমস্তক না ঢেকে বাইরে বের হন না। ‘বেপর্দা’ বের হলে তালেবান গোষ্ঠীর হাতে প্রায়ই তাঁদের হেনস্থা হতে হয়। তাই এ বিষয়ে আপত্তি আসবে বলে আগেই ধরে নিয়েছিলেন স্কিয়ারদের ইতালীয় প্রশিক্ষক ন্যান্ডো রোল্যান্ডো। আগা খান ফাউন্ডেশনের হয়ে তিনি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের স্কিয়িং শেখাচ্ছেন। তিনি আসার আগে সেখানকার লোকজন কোনোদিন স্কি চোখেও দেখেনি।
রোল্যান্ডো বললেন, প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ডজন খানেক স্থানীয় শিক্ষার্থী জোগাড় করতে তাঁর মোটেও বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে স্থানীয় জাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে গিয়ে হতাশ হন। সেখানকার কর্মীরা, এমনকি তাঁর সহকর্মীরাও এ বিষয়ে তাঁকে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, তাঁর এক সহকর্মী তাঁর ছেলেকে পাঠাতে রাজি হলেও মেয়ের বেলায় আপত্তি জানালেন।
রোল্যান্ডোর ১৩ বছর বয়সী ছাত্র সায়িদ শাহও বোরকা ছাড়া স্কিয়িংয়ের পক্ষ সমর্থন করে না। তার মতে, বোরকা না পরলেও অন্তত তাদের মুখমণ্ডল ঢেকে নেওয়া উচিত ছিল।
আগা খান ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্কিয়িং করা ওই নারীদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগই প্রগতিশীল পরিবার থেকে আসা এবং তাঁরা শহরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
এসব নারীর একজন বললেন, ‘এই প্রথম নিজের জন্য কিছু করতে পারলাম বলে মনে হচ্ছে।’ আরেকজন বললেন, এটা তাঁকে ‘নিজেকে আবিষ্কার’ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। ১৬ বছরের তরুণী নাজ ডানা জানাল, স্কিয়িং করতে গেলে বোরকা পরতে হবে, এমনটা সে মনে করে না।
বামিয়ানের বাসিন্দা মোল্লা নসরুল্লাহ ওয়ায়েজি বলেন, কোনো নারী যদি বোরকা না পরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত শরীর ঢেকে, স্কার্ফ মাথায় দিয়ে শালীনভাবে স্কি করেন তাহলে তা শরিয়ত বিরোধী হবে না।
পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন দৃশ্য অহরহই চোখে পড়ে। কিন্তু আফগানিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে নারীদের স্কি খেলা? তাও আবার বোরকা ছাড়াই! অনেকেই বলবেন অসম্ভব। কিন্তু আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকায় সম্প্রতি সত্যি সত্যি এমন দৃশ্য দেখা গেছে। খোশাক এলাকার কোহ-ই-বাবা পাহাড়ে বোরকায় মুখ না ঢেকে মাথায় শুধু স্কার্ফ পরে তাঁদের স্কিয়িং করতে দেখা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় রক্ষণশীল ও অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল বাসিন্দাদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
নারীদের স্কি খেলার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তসবি টেপা বন্ধ করে রীতিমতো আঁতকে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল। বললেন, ‘মেয়েরা স্কিয়িং করবে? বোরকা ছাড়া করলে অবশ্যই আমি এর বিরোধিতা করব।’ আফজাল জানালেন, তিনি এটিকে ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি’ বলে মনে করেন।
এ এলাকার বেশির ভাগ নারী বোরকায় আপাদমস্তক না ঢেকে বাইরে বের হন না। ‘বেপর্দা’ বের হলে তালেবান গোষ্ঠীর হাতে প্রায়ই তাঁদের হেনস্থা হতে হয়। তাই এ বিষয়ে আপত্তি আসবে বলে আগেই ধরে নিয়েছিলেন স্কিয়ারদের ইতালীয় প্রশিক্ষক ন্যান্ডো রোল্যান্ডো। আগা খান ফাউন্ডেশনের হয়ে তিনি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের স্কিয়িং শেখাচ্ছেন। তিনি আসার আগে সেখানকার লোকজন কোনোদিন স্কি চোখেও দেখেনি।
রোল্যান্ডো বললেন, প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ডজন খানেক স্থানীয় শিক্ষার্থী জোগাড় করতে তাঁর মোটেও বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে স্থানীয় জাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে গিয়ে হতাশ হন। সেখানকার কর্মীরা, এমনকি তাঁর সহকর্মীরাও এ বিষয়ে তাঁকে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, তাঁর এক সহকর্মী তাঁর ছেলেকে পাঠাতে রাজি হলেও মেয়ের বেলায় আপত্তি জানালেন।
রোল্যান্ডোর ১৩ বছর বয়সী ছাত্র সায়িদ শাহও বোরকা ছাড়া স্কিয়িংয়ের পক্ষ সমর্থন করে না। তার মতে, বোরকা না পরলেও অন্তত তাদের মুখমণ্ডল ঢেকে নেওয়া উচিত ছিল।
আগা খান ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্কিয়িং করা ওই নারীদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগই প্রগতিশীল পরিবার থেকে আসা এবং তাঁরা শহরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
এসব নারীর একজন বললেন, ‘এই প্রথম নিজের জন্য কিছু করতে পারলাম বলে মনে হচ্ছে।’ আরেকজন বললেন, এটা তাঁকে ‘নিজেকে আবিষ্কার’ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। ১৬ বছরের তরুণী নাজ ডানা জানাল, স্কিয়িং করতে গেলে বোরকা পরতে হবে, এমনটা সে মনে করে না।
বামিয়ানের বাসিন্দা মোল্লা নসরুল্লাহ ওয়ায়েজি বলেন, কোনো নারী যদি বোরকা না পরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত শরীর ঢেকে, স্কার্ফ মাথায় দিয়ে শালীনভাবে স্কি করেন তাহলে তা শরিয়ত বিরোধী হবে না।
No comments