তৎপরতা নেই ইসলামী দলগুলোর by আহমেদ জামাল
একেবারেই
নিষ্ক্রিয় আর নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে ইসলামী দল এবং সংগঠনগুলো। কালেভদ্রেও
তাদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। মঞ্চ- ময়দান দূরে থাক, ঘরোয়া বৈঠক
এমনকি সংবাদ মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার ক্ষেত্রেও অনেকটা সীমিত হয়ে
পড়েছে তারা। পারস্পরিক ঐক্য এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে
সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
সূত্রমতে, এক সময় খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদসহ অন্তত এক ডজন ইসলামী দল ও সংগঠনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গত এক দুই বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে তারা। রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় কোনো ইস্যুতেই তাদের অস্তিত্ব তেমন প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে একমাত্র ইসলামী আন্দোলন সীমিত আকারে কিছু তৎপরতা চালাচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির শিকার’। ইসলামী দলগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজধানীর বাড্ডায় পবিত্র কোরআন পোড়ানো, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় মাদরাসায় হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার আছি। তবে প্রতিকূল অবস্থার কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সরকারও সে সুযোগ দিচ্ছে না।
গত ৭ই জানুয়ারি ২০দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায় মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোট। এই জোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কেবল ইসলামী দল কেন, কোনো দলই স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা চালাতে পারছে না। তবু আমরা নিজস্ব পরিকল্পনা এবং কর্মকৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা সেটার প্রমাণ দিয়েছি। তিনি বলেন, সব কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হতে হবে এমন নয়, অপ্রকাশ্যে অনেক কার্যক্রম হয় এবং হচ্ছে। ইসলামী দলগুলো সেভাবেই নিজস্ব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বাংলাদেশ জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, দেশে প্রচলিত ইসলামী দলগুলো মৌলিকভাবে সংগঠিত নয়। তৃণমূলে তাদের জনসম্পৃক্ততাও তেমন আছে বলে মনে হয় না। আবেগের ওপর ভিত্তি করে আবেগি ইস্যু নিয়ে তারা চলে। কিন্তু আবেগ দিয়ে তো বেশি দিন চলা যায় না। এখন যেহেতু কোনো আবেগি কিংবা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নেই তাই তাদের কর্মতৎপরতাও নেই। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদসহ নানা দোষে দুষ্ট হলেও একমাত্র জামায়াতই এদেশে একটি পরিপক্ব দল। তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিও আছে। আছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। এছাড়া, অন্য কোনো ইসলামী দলের নিজস্ব কোনো কর্মসূচি নেই বলে মনে করেন শোলাকিয়া ঈদগাহের এই ইমাম।
তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন চরমোনাই পীরের সংগঠন ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। তিনি বলেন, সরকার চায় না ইসলামী দলগুলো সক্রিয় থাকুক। সরকারের উচ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছে সীমিত গণতন্ত্র এবং বেশি উন্নয়ন। তাই আমরা কোনো প্রোগ্রাম করতে চাইলে পুলিশ প্রশাসন থেকে সহজে অনুমতি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, এক সময় যে কোনো ইস্যুতে যখন তখন আমরা মুক্তাঙ্গন, পল্টন ময়দান, প্রেস ক্লাবসহ যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে যেতাম, সমাবেশ করতাম। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবু আমরা যতটা পারছি সভা-সমাবেশ করছি। দলীয় কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছি। তবে সেটা আগের তুলনায় অনেক কম। অবশ্য সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কিছু দল বা সংগঠন আগের মতো সক্রিয়তা দেখাতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক হেমায়েত।
সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, আমাদের সংগঠনটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, তবে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড দেখলেই আমরা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হই। কিন্তু এই সংগঠনের কিছু নেতা কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে চলমান পরিস্থিতিতে তারা নানামুখী ভয়ভীতির মধ্যে আছেন। তবু সম্প্রতি একাধিক ব্যক্তির ইসলামবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। এতে প্রতিকারও পেয়েছি। তবে যতই প্রতিকূলতা থাকুক না কেন নাস্তিক মুরতাদদের ইসলামবিরোধী যে কোনো তৎপরতায় আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও মাঠে নামবো।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মইন উদ্দিন রুহী বলেন, চারদিকে সরকারের নানা দমন- পীড়নের কারণে ইসলামী দল এবং সংগঠনগুলো কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস পাচ্ছে না। গোয়েন্দা নজরদারি এবং তৎপরতার কারণে তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও চালাতে পারছে না। ইসলামী দল বা সংগঠনগুলোর নীরবতার এটা অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, তবে যতটা নিষ্ক্রিয়তা বলা হচ্ছে, আমরা ততটা নিষ্ক্রিয় নই। নানা কৌশলে সীমিত পর্যায়ে হলেও সক্রিয় আছি। সময়ের পরিবর্তনে সেটা দেখা যাবে। এদিকে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাসব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। এ সময় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বর্তমানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনৈসলামীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। সমাজ ব্যবস্থা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। সর্বত্র দুর্নীতির করালগ্রাসে জাতি নিমজ্জিত। দুর্নীতি, মাদকাসক্ত ও বিকারগ্রস্ত লোক দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি আশা করা যায় না। তিনি বলেন, মানুষ অধিকারবঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে। দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন জ্বলছে। মানুষ শান্তির আশায় দিগ্বিদিক ছুটছে। স্বাধীনতার পর থেকে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে বার বার ধোঁকা দিয়ে কখনো নতুন বাংলা, কখনো সোনার বাংলা, কখনো সবুজ বাংলার কথা বলে এখন ডিজিটাল বাংলার কথা বলছে। তবে শান্তি, ইনসাফ ও অধিকার ফিরে পেতে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্রমতে, এক সময় খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদসহ অন্তত এক ডজন ইসলামী দল ও সংগঠনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গত এক দুই বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে তারা। রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় কোনো ইস্যুতেই তাদের অস্তিত্ব তেমন প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে একমাত্র ইসলামী আন্দোলন সীমিত আকারে কিছু তৎপরতা চালাচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির শিকার’। ইসলামী দলগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজধানীর বাড্ডায় পবিত্র কোরআন পোড়ানো, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় মাদরাসায় হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার আছি। তবে প্রতিকূল অবস্থার কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সরকারও সে সুযোগ দিচ্ছে না।
গত ৭ই জানুয়ারি ২০দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায় মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোট। এই জোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কেবল ইসলামী দল কেন, কোনো দলই স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা চালাতে পারছে না। তবু আমরা নিজস্ব পরিকল্পনা এবং কর্মকৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা সেটার প্রমাণ দিয়েছি। তিনি বলেন, সব কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হতে হবে এমন নয়, অপ্রকাশ্যে অনেক কার্যক্রম হয় এবং হচ্ছে। ইসলামী দলগুলো সেভাবেই নিজস্ব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বাংলাদেশ জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, দেশে প্রচলিত ইসলামী দলগুলো মৌলিকভাবে সংগঠিত নয়। তৃণমূলে তাদের জনসম্পৃক্ততাও তেমন আছে বলে মনে হয় না। আবেগের ওপর ভিত্তি করে আবেগি ইস্যু নিয়ে তারা চলে। কিন্তু আবেগ দিয়ে তো বেশি দিন চলা যায় না। এখন যেহেতু কোনো আবেগি কিংবা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নেই তাই তাদের কর্মতৎপরতাও নেই। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদসহ নানা দোষে দুষ্ট হলেও একমাত্র জামায়াতই এদেশে একটি পরিপক্ব দল। তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিও আছে। আছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। এছাড়া, অন্য কোনো ইসলামী দলের নিজস্ব কোনো কর্মসূচি নেই বলে মনে করেন শোলাকিয়া ঈদগাহের এই ইমাম।
তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন চরমোনাই পীরের সংগঠন ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। তিনি বলেন, সরকার চায় না ইসলামী দলগুলো সক্রিয় থাকুক। সরকারের উচ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছে সীমিত গণতন্ত্র এবং বেশি উন্নয়ন। তাই আমরা কোনো প্রোগ্রাম করতে চাইলে পুলিশ প্রশাসন থেকে সহজে অনুমতি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, এক সময় যে কোনো ইস্যুতে যখন তখন আমরা মুক্তাঙ্গন, পল্টন ময়দান, প্রেস ক্লাবসহ যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে যেতাম, সমাবেশ করতাম। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবু আমরা যতটা পারছি সভা-সমাবেশ করছি। দলীয় কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছি। তবে সেটা আগের তুলনায় অনেক কম। অবশ্য সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কিছু দল বা সংগঠন আগের মতো সক্রিয়তা দেখাতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক হেমায়েত।
সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, আমাদের সংগঠনটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, তবে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড দেখলেই আমরা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হই। কিন্তু এই সংগঠনের কিছু নেতা কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে চলমান পরিস্থিতিতে তারা নানামুখী ভয়ভীতির মধ্যে আছেন। তবু সম্প্রতি একাধিক ব্যক্তির ইসলামবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। এতে প্রতিকারও পেয়েছি। তবে যতই প্রতিকূলতা থাকুক না কেন নাস্তিক মুরতাদদের ইসলামবিরোধী যে কোনো তৎপরতায় আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও মাঠে নামবো।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মইন উদ্দিন রুহী বলেন, চারদিকে সরকারের নানা দমন- পীড়নের কারণে ইসলামী দল এবং সংগঠনগুলো কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস পাচ্ছে না। গোয়েন্দা নজরদারি এবং তৎপরতার কারণে তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও চালাতে পারছে না। ইসলামী দল বা সংগঠনগুলোর নীরবতার এটা অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, তবে যতটা নিষ্ক্রিয়তা বলা হচ্ছে, আমরা ততটা নিষ্ক্রিয় নই। নানা কৌশলে সীমিত পর্যায়ে হলেও সক্রিয় আছি। সময়ের পরিবর্তনে সেটা দেখা যাবে। এদিকে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাসব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। এ সময় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বর্তমানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনৈসলামীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। সমাজ ব্যবস্থা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। সর্বত্র দুর্নীতির করালগ্রাসে জাতি নিমজ্জিত। দুর্নীতি, মাদকাসক্ত ও বিকারগ্রস্ত লোক দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি আশা করা যায় না। তিনি বলেন, মানুষ অধিকারবঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে। দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন জ্বলছে। মানুষ শান্তির আশায় দিগ্বিদিক ছুটছে। স্বাধীনতার পর থেকে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে বার বার ধোঁকা দিয়ে কখনো নতুন বাংলা, কখনো সোনার বাংলা, কখনো সবুজ বাংলার কথা বলে এখন ডিজিটাল বাংলার কথা বলছে। তবে শান্তি, ইনসাফ ও অধিকার ফিরে পেতে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments