সন্ত্রাসী হামলায় কাঁপছে ভারত
ফের
সন্ত্রাসী হামলায় কাঁপছে ভারত। শনিবারের ধারাবাহিকতায় গতকালও পাঞ্জাবের
পাঠানকোট বিমানবন্দরে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল রাতে এ রিপোর্ট
লেখা পর্যন্ত সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সংঘর্ষ
চলছিল। এ সময় বিমানবন্দরে সিরিজ বিস্ফোরণ হয়েছে। এর তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। এতে
নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। এর মধ্যে ৭ জন নিরাপত্তারক্ষী। ৫ জন
সন্ত্রাসী। এ অবস্থায় রাজধানী দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে পাকিস্তানের
ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়া পাকিস্তানের দিকে
আঙুল তুললেও সরকার সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধী দল কংগ্রেস
বলেছে, প্রতিবেশী দেশের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে তা ভারতকে এখনই
নির্ধারণ করতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ
বলেন, পাকিস্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড় ধরনের পদক্ষেপের
জন্য এটা প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন,
যারা ভারতের অগ্রগতি দেখতে পারে না, মানবতার শত্রু এমন গোষ্ঠী পাঠানকোটে
হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তাদের সফল হতে দেবে
না। গতকাল রাতে ভারতের বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিয়মিত সম্প্রচার
বন্ধ করে দিয়ে পাঠানকোটকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচার করতে থাকে। এদিনের
গুলিবিনিময়ে হামলাকারীদের দুজন নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, তখনও আরও
দুজন হামলাকারী ভেতরে অবস্থান করছিল। তাদের সর্বশেষ অবস্থা কি সে সম্পর্কে
জানা যায়নি। এ অবস্থায় ভারতজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। লোকজন টেলিভিশনের সামনে
বসে অপেক্ষা করছেন সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য। ওদিকে স্থানীয় সময় বিকাল
৫টা ১৯ মিনিটের সময় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষি বলেন, জীবিত দুজন
সন্ত্রাসীকে একটি এলাকার ভেতরে আটকে ফেলা হয়েছে। তাদের নিষ্ক্রিয় করতে
সন্ধ্যায় অভিযান চালানো হবে। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ১২ এনএসজি সদস্য আহত
হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাদের একজন। বিমানবাহিনীর মোট
মারা গেছেন ৬ সদস্য। আহত হয়েছেন ৮ জন। ৫টা ২১ মিনিটে রাজিব মেহর্ষি বলেন,
যে এলাকায় ওই সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে তা ঘেরাও করে রেখেছে নিরাপত্তা
রক্ষাকারীরা। ৫টা ২২ মিনিটে জানানো হয়, ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ষষ্ঠ
এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। ৫টা ৩০ মিনিটে এয়ার মার্শাল অনীল খোসলা বলেন,
কম্বিং অপারেশন শেষ হবে না। রাতে তা ধীরে চালানো হবে। অভিযান শেষ হয়নি।
অভিযান পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় রয়েছে। ৫টা ৩২ মিনিটে বলা হয়, পাঠানকোটে গুলির
লড়াই চলছে। সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা
গেছে। রাত ৭টা ২ মিনিটে বলা হয়, পাঠানকোট সন্ত্রাসী হামলায় নিহত গার্ড
কমান্ডার গুরসেবক সিংয়ের পরিবারকে ২০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা
দিয়েছে হরিয়ানা সরকার। এর পর পরই দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা দেয়া হয়। ৭টা ১১
মিনিটে বিমানঘাঁটিতে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা
যায়।
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, জঙ্গি হামলার একদিন যেতে না যেতেই রোববার সাতসকালেই ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে পাঠানকোটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে। এনএসজির তল্লাশি চলাকালীন দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে ফের জঙ্গি হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ভীতি দেখা দেয়। এনএসজি সূত্রে জানানো হয়, বিমানঘাঁটিতে সন্দেহজনক কিছু দেখার পরই গুলি চালায় জওয়ানরা। জঙ্গিদের পেতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ৩ জন কমান্ডো। বিমানঘাঁটিজুড়ে তল্লাশি জারি রয়েছে। কোথাও কোনো জঙ্গি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পাঞ্জাব পুলিশ ও এনএসজির যৌথবাহিনী। তবে বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক উদ্ধারের সময় বিস্ফোরণে এক লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার সেনা অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে মোট ১০ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দুদিনের অভিযানে ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তবে রাতভর চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে বিমানঘাঁটি এবং সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়েছে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল পাঠানকোটে গিয়ে পৌঁছান। এনআইএ পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার তদন্ত শুরু করেছে। এনএসজির ডিজিও রোববার সকালের পাঠানকোট পৌঁছেছেন পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। বিমানঘাঁটি থেকে একে৪৭, মর্টার, গ্রেনেড লঞ্চারসহ বহু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে জিপিএস ডিভাইস। এই জিপিএস থেকে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোন পথে জঙ্গিরা এসেছে।
‘আত্মঘাতী মিশনে যাচ্ছি’: পাঠানকোটে সন্ত্রাসী হামলার ঘণ্টাদুয়েক আগের একটি ফোনকল রেকর্ড করতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৮ মিনিটে মাত্র ৭০ সেকেন্ড মেয়াদের এ কলটি পাঠানকোট হামলায় অংশ নেয়া এক সন্ত্রাসীর বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। হামলার আগে আগে ওই সন্ত্রাসী এ ফোনকল করে তার মাকে। আর মাকে জানায়, সে একটি আত্মঘাতী হামলায় অংশ নিতে যাচ্ছে। মায়ের দিক থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সে আবারও বলে, ‘আমি একটি আত্মঘাতী হামলায় যাচ্ছি। আল্লাহ নিশ্চয় আমাদের রক্ষা করবেন।’ এর দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পাঠানকোটে হামলা করে বসে সন্ত্রাসীরা। সূত্র বলছে, এ কলটির মতোই পাকিস্তানের নাম প্রকাশ না করা কয়েকটি স্থানে কয়েকটি ফোনকল করা হয়েছিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে। ফোনকলগুলোতে কথা বলা হয়েছে পাঞ্জাবি ও মুলতানি ভাষায়। ৮৭ সেকেন্ডের আরেকটি ফোনকলে একপাশ থেকে জানতে চাওয়া হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা। অপর পাশ থেকে ইতিবাচক উত্তর দেয়া হয়। এর পরেই বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশনা দেয়া হয় অপর পাশ থেকে। কোন জায়গা থেকে এসব ফোনকল করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ও মিডিয়া পাকিস্তানের আইএসআইয়ের দিকে আঙুল তুলছে। কিন্তু সরকার থেকে সুস্পষ্ট কোনো মন্তব্য দেয়া হয়নি।
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, জঙ্গি হামলার একদিন যেতে না যেতেই রোববার সাতসকালেই ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে পাঠানকোটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে। এনএসজির তল্লাশি চলাকালীন দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে ফের জঙ্গি হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ভীতি দেখা দেয়। এনএসজি সূত্রে জানানো হয়, বিমানঘাঁটিতে সন্দেহজনক কিছু দেখার পরই গুলি চালায় জওয়ানরা। জঙ্গিদের পেতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ৩ জন কমান্ডো। বিমানঘাঁটিজুড়ে তল্লাশি জারি রয়েছে। কোথাও কোনো জঙ্গি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পাঞ্জাব পুলিশ ও এনএসজির যৌথবাহিনী। তবে বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক উদ্ধারের সময় বিস্ফোরণে এক লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার সেনা অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে মোট ১০ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দুদিনের অভিযানে ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তবে রাতভর চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে বিমানঘাঁটি এবং সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়েছে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল পাঠানকোটে গিয়ে পৌঁছান। এনআইএ পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার তদন্ত শুরু করেছে। এনএসজির ডিজিও রোববার সকালের পাঠানকোট পৌঁছেছেন পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। বিমানঘাঁটি থেকে একে৪৭, মর্টার, গ্রেনেড লঞ্চারসহ বহু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে জিপিএস ডিভাইস। এই জিপিএস থেকে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোন পথে জঙ্গিরা এসেছে।
‘আত্মঘাতী মিশনে যাচ্ছি’: পাঠানকোটে সন্ত্রাসী হামলার ঘণ্টাদুয়েক আগের একটি ফোনকল রেকর্ড করতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৮ মিনিটে মাত্র ৭০ সেকেন্ড মেয়াদের এ কলটি পাঠানকোট হামলায় অংশ নেয়া এক সন্ত্রাসীর বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। হামলার আগে আগে ওই সন্ত্রাসী এ ফোনকল করে তার মাকে। আর মাকে জানায়, সে একটি আত্মঘাতী হামলায় অংশ নিতে যাচ্ছে। মায়ের দিক থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সে আবারও বলে, ‘আমি একটি আত্মঘাতী হামলায় যাচ্ছি। আল্লাহ নিশ্চয় আমাদের রক্ষা করবেন।’ এর দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পাঠানকোটে হামলা করে বসে সন্ত্রাসীরা। সূত্র বলছে, এ কলটির মতোই পাকিস্তানের নাম প্রকাশ না করা কয়েকটি স্থানে কয়েকটি ফোনকল করা হয়েছিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে। ফোনকলগুলোতে কথা বলা হয়েছে পাঞ্জাবি ও মুলতানি ভাষায়। ৮৭ সেকেন্ডের আরেকটি ফোনকলে একপাশ থেকে জানতে চাওয়া হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা। অপর পাশ থেকে ইতিবাচক উত্তর দেয়া হয়। এর পরেই বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশনা দেয়া হয় অপর পাশ থেকে। কোন জায়গা থেকে এসব ফোনকল করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ও মিডিয়া পাকিস্তানের আইএসআইয়ের দিকে আঙুল তুলছে। কিন্তু সরকার থেকে সুস্পষ্ট কোনো মন্তব্য দেয়া হয়নি।
No comments