সর্বস্তরে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন by মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ
আমি ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারপর্ব নিয়ে
কিছু বলব। ইতিমধ্যে অবশ্য আমাদের প্রতিষ্ঠান ও সরকারি পর্যায় থেকে
ভূমিকম্প-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি
দরকার, সেগুলো ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে ইতিমধ্যে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৬০-৬৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি
কিনে দেয়া হয়েছে। আরও ১৬৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পাইপ লাইনে আছে।
কমিউনিটি ভলান্টিয়ারও তৈরি করা হয়েছে ৩০ হাজার। ডিভিশন ওয়াইজ ফায়ার সার্ভিসের টিম গঠন করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে জরুরি যা, তা হল ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশিক্ষণ। এ প্রশিক্ষণ হতে হবে ব্যাপক। আমরা ইতিমধ্যে স্কুল পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। কলেজ পর্যায়েও ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, সমাজের প্রতিটি স্তরে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। সিটি কর্পোরেশনগুলো এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে যদি পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার এবং তাদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হয়ে পড়বে।
আমি মনে করি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ারদের গ্রাউন্ড লেভেলে প্র্যাকটিসের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। এককথায়, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেমন ধরা যাক, ভূমিকম্পের ফলে যে ধ্বংসস্তূপ দেখা দেবে, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র সেই ধ্বংসস্তূপ প্রাথমিকভাবে কে সরাবে? কমিউনিটির লোকজনকেই প্রাথমিক কাজটা করতে হবে। সুতরাং তাদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে অবশ্যই।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে ভবন নির্মাণে জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলা। ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ভবন অধিকতর শক্তপোক্তভাবে নির্মাণ করা দরকার। ভূমিকম্প বিষয়ে মিডিয়া ক্যাম্পেইনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ : পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স
কমিউনিটি ভলান্টিয়ারও তৈরি করা হয়েছে ৩০ হাজার। ডিভিশন ওয়াইজ ফায়ার সার্ভিসের টিম গঠন করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে জরুরি যা, তা হল ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশিক্ষণ। এ প্রশিক্ষণ হতে হবে ব্যাপক। আমরা ইতিমধ্যে স্কুল পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। কলেজ পর্যায়েও ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, সমাজের প্রতিটি স্তরে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। সিটি কর্পোরেশনগুলো এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে যদি পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার এবং তাদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হয়ে পড়বে।
আমি মনে করি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ারদের গ্রাউন্ড লেভেলে প্র্যাকটিসের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। এককথায়, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেমন ধরা যাক, ভূমিকম্পের ফলে যে ধ্বংসস্তূপ দেখা দেবে, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র সেই ধ্বংসস্তূপ প্রাথমিকভাবে কে সরাবে? কমিউনিটির লোকজনকেই প্রাথমিক কাজটা করতে হবে। সুতরাং তাদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে অবশ্যই।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে ভবন নির্মাণে জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলা। ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ভবন অধিকতর শক্তপোক্তভাবে নির্মাণ করা দরকার। ভূমিকম্প বিষয়ে মিডিয়া ক্যাম্পেইনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ : পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স
No comments