আরএসএসের শক্তির মহড়া
দেড় লাখের বেশি মানুষ। তাঁদের প্রায় সবাই পুরুষ। পরনে খাকি শর্ট প্যান্ট, সাদা শার্ট এবং কালো টুপি। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে শহরে গতকাল রোববার এভাবেই সমবেত হয়ে নিজেদের শক্তির মহড়া দেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্যরা। খবর এএফপির। সমাবেশস্থলে দুর্গের আদলে নির্মিত একটি মঞ্চে বক্তব্য দেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবৎ। এ সময় ওড়ানো হয় গেরুয়া পতাকা। ভগবৎ বলেন, ‘নির্ভীক হতে চাইলে শুধু শারীরিক সামর্থ্য থাকলে চলে না, নম্রতার শক্তির প্রয়োজন হয়। ভারতের প্রকৃত শক্তি হলো এর সংস্কৃতি। আমাদের দেশের সব ধর্ম সত্য ও অহিংসার পথ বেছে নেওয়ার শিক্ষা দেয়। তরুণদের নৈতিক শিক্ষা নিতে হবে।’ কট্টরপন্থার কারণে বিতর্কিত সংগঠন আরএসএসের সঙ্গে মতাদর্শের মিল রয়েছে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
তিনি নিজেও এক সময় আরএসএসের সেবক ছিলেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলেন, ২০১৪ সালের মে মাসে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতে আরএসএসের প্রভাব বাড়েনি। ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসএস হচ্ছে ভারতের তৃণমূল পর্যায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংগঠন। এর ‘স্বয়ংসেবক’ বা কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ বলে ধারণা করা হয়। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতির রক্ষক বলে দাবি করলেও সমালোচকদের অভিযোগ, আরএসএস মূলত মুসলিমবিরোধী উগ্র সংগঠন এবং বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুনের গতকালের সমাবেশটিই সম্ভবত আরএসএসের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। ২০১০ সালে কেরালায় সংগঠনটির এক অনুষ্ঠানে ৯০ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিল।
No comments