বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি -মার্কিন কংগ্রেসে শুনানি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ কমছে না। গতকালই মার্কিন কংগ্রেসের টম ল্যানটস হিউম্যান
রাইটস কমিশনে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। কমিশনের ওয়েবসাইটে স্থানীয় সময়
সকাল ১০টায় এ ব্যাপারে শুনানির কথা বলা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময়
পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। ‘শ্রিঙ্কিং স্পেস ফর সিভিল
সোসাইটি’ শীর্ষক সিরিজ ব্রিফিংয়ের এবারের বিষয়বস্তু হলো ‘হিউম্যান রাইটস ইন
বাংলাদেশ’। ব্রিফিং নোটিশে চলতি বছরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে
বলা হয়, এসব হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অবনতিক্রম মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি
অংশ। দেশটিতে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার
বিষয়গুলো বিশেষ উদ্বেগের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি সেন্সর
করা হয়েছে। এসব সমালোচনাকারী কখনও গ্রেপ্তার হয়েছেন। কখনও বা নিখোঁজ হয়ে
গেছেন। এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল
মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার পর দুইজন রাজনৈতিক বিরোধী নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের ঘাটতির জন্য সমালোচিত এই
ট্রাইব্যুনাল। ধর্মীয় গোষ্ঠী, বিদেশি ও ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীদের যেসব সহিংস
উগ্রপন্থিরা টার্গেট করেছে তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশে
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৃঢ় অবস্থান থাকতে পারে এমন রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে
সংবেদনশীলতা আর উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতি নাগরিক সমাজের কার্যক্রম
পরিচালনার পরিবেশ আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে সেলফ
সেন্সরশিপ। নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের
বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বক্তব্য রাখার কথা প্যানেল
সদস্যদের। আর মানবাধিকার রক্ষা ও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা
মেনে চলে বাংলাদেশ কিভাবে এসব উদ্বেগজনক রীতি মোকাবিলা করতে পারে তা
নিশ্চিতে মার্কিন কংগ্রেসের কি কি করণীয় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো তুলে ধরার
কথা তাদের।
ব্রিফিংটি উন্মুক্ত রাখা হয় কংগ্রেসের সদস্য, কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ও আগ্রহী জনসাধারণের জন্য। ব্রিফিংয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখার কথা টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনের দুই কো চেয়ার কংগ্রেসম্যান জেমস পি. ম্যাকগভার্ন ও কংগ্রেসম্যান জোসেফ আর. পিটস। ব্রিফিংয়ে আলোচক তালিকায় রাখা হয় নিহত ব্লগার অভিজিত রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা, ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট সাহার চৌধুরী, পেন আমেরিকান সেন্টারের মুক্ত মতপ্রকাশ কার্যক্রমের পরিচালক কারিন ডিউশ কারলেকার ও আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া সেন্টারের পরিচালক ভারত গোপালাস্বামী।
ব্রিফিংটি উন্মুক্ত রাখা হয় কংগ্রেসের সদস্য, কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ও আগ্রহী জনসাধারণের জন্য। ব্রিফিংয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখার কথা টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনের দুই কো চেয়ার কংগ্রেসম্যান জেমস পি. ম্যাকগভার্ন ও কংগ্রেসম্যান জোসেফ আর. পিটস। ব্রিফিংয়ে আলোচক তালিকায় রাখা হয় নিহত ব্লগার অভিজিত রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা, ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট সাহার চৌধুরী, পেন আমেরিকান সেন্টারের মুক্ত মতপ্রকাশ কার্যক্রমের পরিচালক কারিন ডিউশ কারলেকার ও আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া সেন্টারের পরিচালক ভারত গোপালাস্বামী।
No comments