বিপর্যস্ত বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজারে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দরপতন হয়েছে। আর এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন ৮ হাজার কোটি টাকা কমেছে। আর সূচক কমেছে ১৩৩ পয়েন্ট। এর মধ্যে রোববার একদিনেই সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্ট। একই ভাবে কমছে লেনদেনও। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে বাজারে নেতিবাচক অবস্থা চলছে। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দরপতনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে- গত ২১ অক্টোবর ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। রোববার তা কমে ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ ৬ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজারমূলধন ৮ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মূল্যসূচক ৪ হাজার ৬৪৭ পয়েন্ট থেকে কমে ৪ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে মূল্যসূচক ১৩৩ পয়েন্ট কমেছে। এছাড়া ডিএসইর গড় লেনদেন কমে ২শ’ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। একক দিন হিসেবে রোববার ডিএসইতে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ৯৬ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ২৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে যা ১৮৮ কোটি ২০ লাখ টাকা কম। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ২৫০টি এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসই ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
সিএসই : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে রোববার ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের ৬০ লাখ ৯৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১৮৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসই ৩০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২১৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি : রোববার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হল- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইফাদ অটো, শমরিতা হাসপাতাল, কেডিএস এক্সেসরিস, শাহজিবাজার পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, সিএনএ টেক্সটাইল এবং সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল। ডিএসইতে রোববার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল- মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, শমরিতা হাসপাতাল, জাহিন স্পিনিং, দেশ গার্মেন্টস, ন্যাশনাল ফিড মিলস, জেমীনি সি ফুড, এপেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ইফাদ অটো। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হল- সমতা লেদার, হাক্কানী পাল্প, কোহিনুর কেমিক্যাল, ফাইন ফুডস, বিডি ওয়েল্ডিং, জিলবাংলা সুগার, আজিজ পাইপস, কে অ্যান্ড কিউ, ইমাম বাটন এবং শাইনপুকুর সিরামিক।
সিএসই : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে রোববার ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের ৬০ লাখ ৯৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১৮৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসই ৩০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২১৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি : রোববার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হল- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইফাদ অটো, শমরিতা হাসপাতাল, কেডিএস এক্সেসরিস, শাহজিবাজার পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, সিএনএ টেক্সটাইল এবং সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল। ডিএসইতে রোববার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল- মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, শমরিতা হাসপাতাল, জাহিন স্পিনিং, দেশ গার্মেন্টস, ন্যাশনাল ফিড মিলস, জেমীনি সি ফুড, এপেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ইফাদ অটো। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হল- সমতা লেদার, হাক্কানী পাল্প, কোহিনুর কেমিক্যাল, ফাইন ফুডস, বিডি ওয়েল্ডিং, জিলবাংলা সুগার, আজিজ পাইপস, কে অ্যান্ড কিউ, ইমাম বাটন এবং শাইনপুকুর সিরামিক।
No comments