আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ, রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় বিচার চাই : সাক্ষাত শেষে মুজাহিদের স্ত্রী by হাবিবুর রহমান
জামায়াতে
ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সাথে সাক্ষাৎ
শেষে তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় বিচার
প্রত্যাশা করছি। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের
সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তামান্না-ই-জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী আলী
আহসান মো: মুজাহিদ দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আল্লাহর রহমতে তিনি শারীরিকভাবে ভাল ও সুস্থ আছেন। মানসিকভাবে অবিচল ও দৃঢ়
রয়েছেন।
তিনি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, নির্দোষ এবং নির্দোষ। স্ত্রী হিসেবে আমিও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার স্বামী ঘরে বাইরে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সৎ জীবন যাপন করেছেন।
ইতোমধ্যেই তিনি আইনজীবিদের মাধ্যমে রিভিউ আবেদন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমি আশা করি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ রাষ্ট্রে সকল দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হলে তার রিভিউ আবেদন মঞ্জুর হবে এবং তিনি বেকসুর খালাস পাবেন ইনশাল্লাহ।
আজ বেলা পোনে ১১টায় মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রবেশ করেন তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহানসহ তিন ছেলে আলী আহমেদ মাবরুব, আলী আহমেদ তাজদিদ, আলী আহমেদ তাহকিক ও মেয়ে তামরিন। প্রায় ৪০ মিনিট মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে কারাগার থেকে তারা বেরিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার আলী আহসান মুজাহিদের অন্যতম আইজীবী অ্যাডভোকেট মো: শিশির মনির জানান, মুজাহিদের ছেলেসহ পরিবারের পাঁচজন সদস্য শুক্রবার তার সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি বলেন, এটা পরিবারের সদস্যদের সাথে রুটিন সাক্ষাৎ। ইতিমধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আমাদের আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ আবেদন দায়ের করতে বলেছেন। আইন আনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হবে এবং শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রত্যাশা করেন আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন বিবেচনা করে দণ্ড মৌকুফ করবেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর ১ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এরপর গত ২ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সাথে রিভিউ আবেদন দায়েরের বিষয়ে পরামর্শ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তার পাঁচজন আইনজীবী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তিনি আইনজীবীদের রিভিউ আবেদন দায়ের করার পরামর্শ দেন।
এর আগে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরই জানিয়েছিলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যেই তারা রিভিউ আবেদন করবেন।
গত ১৬ জুন আলী আহসান মুজাহিদ এবং ২৯ জুলাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের এ রায় প্রদান করেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুাল-১ ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
তিনি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, নির্দোষ এবং নির্দোষ। স্ত্রী হিসেবে আমিও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার স্বামী ঘরে বাইরে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সৎ জীবন যাপন করেছেন।
ইতোমধ্যেই তিনি আইনজীবিদের মাধ্যমে রিভিউ আবেদন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমি আশা করি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ রাষ্ট্রে সকল দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হলে তার রিভিউ আবেদন মঞ্জুর হবে এবং তিনি বেকসুর খালাস পাবেন ইনশাল্লাহ।
আজ বেলা পোনে ১১টায় মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রবেশ করেন তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহানসহ তিন ছেলে আলী আহমেদ মাবরুব, আলী আহমেদ তাজদিদ, আলী আহমেদ তাহকিক ও মেয়ে তামরিন। প্রায় ৪০ মিনিট মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে কারাগার থেকে তারা বেরিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার আলী আহসান মুজাহিদের অন্যতম আইজীবী অ্যাডভোকেট মো: শিশির মনির জানান, মুজাহিদের ছেলেসহ পরিবারের পাঁচজন সদস্য শুক্রবার তার সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি বলেন, এটা পরিবারের সদস্যদের সাথে রুটিন সাক্ষাৎ। ইতিমধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আমাদের আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ আবেদন দায়ের করতে বলেছেন। আইন আনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হবে এবং শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রত্যাশা করেন আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন বিবেচনা করে দণ্ড মৌকুফ করবেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর ১ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এরপর গত ২ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সাথে রিভিউ আবেদন দায়েরের বিষয়ে পরামর্শ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তার পাঁচজন আইনজীবী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তিনি আইনজীবীদের রিভিউ আবেদন দায়ের করার পরামর্শ দেন।
এর আগে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরই জানিয়েছিলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যেই তারা রিভিউ আবেদন করবেন।
গত ১৬ জুন আলী আহসান মুজাহিদ এবং ২৯ জুলাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের এ রায় প্রদান করেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুাল-১ ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
No comments