অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে আমদানি! by জাহাঙ্গীর শাহ
ব্যাটারিচালিত
অটোরিকশা তৈরি কারখানায় মিলল তৈরি পোশাকের পাটের গুদাম। রাজধানীর রামপুরার
পূর্ব হাজীপাড়ার ৭১১ নম্বর ঠিকানায় লোটাস অটোবাইক ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারখানা থাকার কথা। কথা ছিল, এ প্রতিষ্ঠানের
মালিক বিদেশ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করে অটোরিকশা বানাবেন। এটি হয়ে
উঠবে অটোরিকশা তৈরির একটি সংযোজন শিল্পকারখানা। এ ধরনের সংযোজন শিল্প গড়ে
তোলার জন্য কর–সুবিধাও নিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক।
কিন্তু বাস্তবে ওই ঠিকানায় এ প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই। সেখানে রয়েছে নামহীন একটি পাটের গুদাম।
এভাবে বছরের পর বছর লোটাস অটোবাইক নামের প্রতিষ্ঠানটি এই ঠিকানা ব্যবহার করে মোটর, অটোরিকশার চার্জার, ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে। শুল্ক-কর ফাঁকি দিতে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমদানিকারক নিবন্ধন নিয়েছেন। কিন্তু নিজেরা অটোরিকশা না বানিয়ে এসব যন্ত্রপাতি খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন এক অস্তিত্বহীন কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি সহকারী কমিশনার ইফতেখার আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ঢাকার শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে তদন্তকারীরা ওই ঠিকানায় এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠান পাননি। ওই ঠিকানায় তৈরি পোশাকের জপাটের গুদাম, যা তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ও দোলন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয় যে, ওই স্থানে কখনো লোটাস অটো নামে কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না।
পরে তদন্তকারী দল শুল্ক কর্তৃপক্ষের ভ্যালুয়েশন ডেটাবেইজ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানির বিল অব এন্ট্রিসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৪৩টি বিল অব এন্ট্রি (বিই) বা চালানে পণ্য এনেছে। এসব চালান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওই সময়ে লোটাস অটো মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। কমলাপুর আইসিডি দিয়ে ২৮টি চালান খালাস করে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং মংলা বন্দর দিয়ে ১৫টি চালানে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, যেকোনো পণ্য বাণিজ্যিক আমদানিকারকের পাশাপাশি উৎপাদক হিসেবে আমদানি করা যায়। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন পদ্ধতি হলো আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের যোগফলেরও ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন ধরে ৪ শতাংশ অগ্রিম ব্যবসায় মূসক (এটিভি) দিতে হয়। কিন্তু উৎপাদক হিসেবে কোনো আমদানিকারককে এ মূল্য সংযোজন ধরে এটিভি দিতে হয় না। আর লোটাস অটো কর্তৃপক্ষ নিজেদের উৎপাদক হিসেবে মোটর, অটোরিকশার চার্জার, ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে। তাই বাড়তি মূল্য সংযোজন ধরে প্রতিষ্ঠানটি বাড়তি এটিভি দেয়নি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইফতেখার আলম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদক হিসেবে আমদানিকারকের লাইসেন্স বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমলাপুর আইসিডি ও মংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়া টাকা আদায়ে দাবিনামা পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লোটাস অটোবাইক ইন্ডাস্ট্রিজের কবির হোসেনের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কিন্তু বাস্তবে ওই ঠিকানায় এ প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই। সেখানে রয়েছে নামহীন একটি পাটের গুদাম।
এভাবে বছরের পর বছর লোটাস অটোবাইক নামের প্রতিষ্ঠানটি এই ঠিকানা ব্যবহার করে মোটর, অটোরিকশার চার্জার, ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে। শুল্ক-কর ফাঁকি দিতে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমদানিকারক নিবন্ধন নিয়েছেন। কিন্তু নিজেরা অটোরিকশা না বানিয়ে এসব যন্ত্রপাতি খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন এক অস্তিত্বহীন কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি সহকারী কমিশনার ইফতেখার আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ঢাকার শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে তদন্তকারীরা ওই ঠিকানায় এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠান পাননি। ওই ঠিকানায় তৈরি পোশাকের জপাটের গুদাম, যা তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ও দোলন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয় যে, ওই স্থানে কখনো লোটাস অটো নামে কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না।
পরে তদন্তকারী দল শুল্ক কর্তৃপক্ষের ভ্যালুয়েশন ডেটাবেইজ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানির বিল অব এন্ট্রিসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৪৩টি বিল অব এন্ট্রি (বিই) বা চালানে পণ্য এনেছে। এসব চালান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওই সময়ে লোটাস অটো মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। কমলাপুর আইসিডি দিয়ে ২৮টি চালান খালাস করে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং মংলা বন্দর দিয়ে ১৫টি চালানে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, যেকোনো পণ্য বাণিজ্যিক আমদানিকারকের পাশাপাশি উৎপাদক হিসেবে আমদানি করা যায়। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন পদ্ধতি হলো আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের যোগফলেরও ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন ধরে ৪ শতাংশ অগ্রিম ব্যবসায় মূসক (এটিভি) দিতে হয়। কিন্তু উৎপাদক হিসেবে কোনো আমদানিকারককে এ মূল্য সংযোজন ধরে এটিভি দিতে হয় না। আর লোটাস অটো কর্তৃপক্ষ নিজেদের উৎপাদক হিসেবে মোটর, অটোরিকশার চার্জার, ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে। তাই বাড়তি মূল্য সংযোজন ধরে প্রতিষ্ঠানটি বাড়তি এটিভি দেয়নি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইফতেখার আলম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদক হিসেবে আমদানিকারকের লাইসেন্স বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমলাপুর আইসিডি ও মংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়া টাকা আদায়ে দাবিনামা পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লোটাস অটোবাইক ইন্ডাস্ট্রিজের কবির হোসেনের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments