কুনিও হত্যার তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই: কুনিও হত্যার তদন্ত করবে জাপানও
ইতালির
নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলার তদন্তে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ১১ দিনেও এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও কারণ বের
করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও নিহত সিজারের জব্দ করা মোবাইল ফোন, ওই এলাকার মোবাইল ফোনের টাওয়ার ব্যবহার, প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সূত্র পাওয়া গেছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে তিন মোটরসাইকেল আরোহীসহ সন্দেহভাজন ২০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে সিজারের হত্যাকারীদের শনাক্ত করার মতো কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খুনিদের শনাক্ত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত মামলায় বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই।
সিজারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের হিমঘরে আছে। তাঁর মরদেহ এক সপ্তাহের মধ্যে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার ইতালীয় দূতাবাস।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে সিজারকে (৫০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই তরুণকে সিজারকে গুলি করে অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও নিহত সিজারের জব্দ করা মোবাইল ফোন, ওই এলাকার মোবাইল ফোনের টাওয়ার ব্যবহার, প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সূত্র পাওয়া গেছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে তিন মোটরসাইকেল আরোহীসহ সন্দেহভাজন ২০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে সিজারের হত্যাকারীদের শনাক্ত করার মতো কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খুনিদের শনাক্ত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত মামলায় বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই।
সিজারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের হিমঘরে আছে। তাঁর মরদেহ এক সপ্তাহের মধ্যে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার ইতালীয় দূতাবাস।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে সিজারকে (৫০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই তরুণকে সিজারকে গুলি করে অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছেন।
জাপানি নাগরিক হত্যা: কুনিও হত্যার তদন্ত করবে জাপানও
কুনিও
হোশি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপানও তদন্ত
করবে। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এ তদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। ঢাকা
ও টোকিওর কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের লোকজনকে জরুরি না হলে বাংলাদেশ সফর বন্ধ রাখতে বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা সফররত জাপান সরকারের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ মুহূর্তে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্য ও সে দেশের পুলিশের চার সদস্যের দুটি প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশে রয়েছে।
রংপুরে নিহত কুনিও হোশির ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে খোঁজ নিচ্ছে জাপান সরকার। কুনিও আসলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কি না, সে সম্পর্কে প্রামাণিক তথ্য সংগ্রহ করে দিতে জাপান দূতাবাস ৬ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।
গতকাল টোকিওর কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থানরত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। গত বুধবার জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে অধ্যয়নরত জাপানের শিক্ষার্থীদের এ নির্দেশ দেয়।
জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবস্থারত জাপানের উন্নয়নকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রকল্পে কর্মরত একাধিক কর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, ঢাকার বাইরে অবস্থানরত কর্মীদের মাঠপর্যায়ে সফরে না যেতে বলা হয়েছে। আবার ঢাকার বাইরে থেকে যেসব কর্মী রাজধানীতে এসেছেন, তাঁদের ঢাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে জাপানের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা প্রথম থেকে দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানের নাগরিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত থাকা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা, অপহরণ ও ভয় দেখানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে বলা হচ্ছে। জাপানের নাগরিকদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাড়তি সতর্কতা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের নেওয়া বাড়তি নিরাপত্তা ও আশ্বাসের পরও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ-বিষয়ক সতর্ক বার্তা শিথিল না হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ এ মাসের শুরুতে বাংলাদেশে চলাফেরার ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। ৬ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা কূটনীতিকদের অবহিত করেন।
সরকারের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি গতকাল দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের মতো ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। কিন্তু এমন বার্তার পরও যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকেরাও দেশগুলোতে যাচ্ছেন।
জাপানের লোকজনকে জরুরি না হলে বাংলাদেশ সফর বন্ধ রাখতে বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা সফররত জাপান সরকারের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ মুহূর্তে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্য ও সে দেশের পুলিশের চার সদস্যের দুটি প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশে রয়েছে।
রংপুরে নিহত কুনিও হোশির ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে খোঁজ নিচ্ছে জাপান সরকার। কুনিও আসলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কি না, সে সম্পর্কে প্রামাণিক তথ্য সংগ্রহ করে দিতে জাপান দূতাবাস ৬ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।
গতকাল টোকিওর কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থানরত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। গত বুধবার জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে অধ্যয়নরত জাপানের শিক্ষার্থীদের এ নির্দেশ দেয়।
জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবস্থারত জাপানের উন্নয়নকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রকল্পে কর্মরত একাধিক কর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, ঢাকার বাইরে অবস্থানরত কর্মীদের মাঠপর্যায়ে সফরে না যেতে বলা হয়েছে। আবার ঢাকার বাইরে থেকে যেসব কর্মী রাজধানীতে এসেছেন, তাঁদের ঢাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে জাপানের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা প্রথম থেকে দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানের নাগরিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত থাকা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা, অপহরণ ও ভয় দেখানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে বলা হচ্ছে। জাপানের নাগরিকদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাড়তি সতর্কতা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের নেওয়া বাড়তি নিরাপত্তা ও আশ্বাসের পরও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ-বিষয়ক সতর্ক বার্তা শিথিল না হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ এ মাসের শুরুতে বাংলাদেশে চলাফেরার ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। ৬ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা কূটনীতিকদের অবহিত করেন।
সরকারের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি গতকাল দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের মতো ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। কিন্তু এমন বার্তার পরও যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকেরাও দেশগুলোতে যাচ্ছেন।
No comments