লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা শাহাদাতের বাসার গৃহকর্মীর by রাশিম মোল্লা
‘আমাকে মাসে দুই হাজার টাকা দিতো। আর এর বিনিময়ে আমি বাসার সব কাজ করতাম।
কোন কাজে একটু ভুল হলেই শাহাদাত আর তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য আমার
ওপরে চালাতো অমানুষিক নির্যাতন। একজন পাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো, অন্যজন
মারতো।’ সম্প্রতি আদালতে জবানবন্দিতে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার
স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের এ লোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছে তাদের বাসার গৃহকর্মী
মাহফুজা আক্তার হ্যাপি।
জবানবন্দিতে হ্যাপি জানায়, তাকে সারা শরীরে মারতো। মারার জন্য ব্যবহার করা হতো লাঠি। কখনও ব্যবহৃত হতো ডালের ঘুটনি ও রুটি বানানোর বেলুন। লাঠি দিয়ে তার পেছনে মারতো। শুধু পিটিয়েই ক্ষান্ত হতো না। সারা রাত ক্ষতস্থানে বরফ ধরে রাখা হতো। বরফ ধরে রাখাতে তার খুব কষ্ট হতো। সহ্য করতে না পেরে বরফ সরানোর চেষ্টা করা হতো। এতে তারা আবার পেটাতো তাকে। প্রায়ই তার গলা টিপে ধরতো শাহাদাত। এতে শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে জোরে জোরে শ্বাস নিতো হ্যাপি। তখন তাকে আরও মারা হতো। জবানবন্দিতে হ্যাপি আরও উল্লেখ করে, শাহাদাতের বউও তার গলা টিপে ধরতো। তার বউ ডালের ঘুটনি দিয়ে তাকে মারত। তাকে মারতে মারতে ঘুটনি ভেঙেছে ৪-৫টি। এরপর ভাতের চামচ দিয়ে মারতো। একপর্যায় ভাতের প্লাস্টিকের চামচও ভেঙেছে। রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মারতো। আমি একবার ওটি লুকিয়ে রেখেছিলাম। ওটা খুঁজে না পেয়ে তারা একটা নতুন বেলুন কিনে আনে।
শাহাদাত হোসেনের বউ কাঠের খুন্তিতে গরম তেল নিয়ে আমার হাঁটুতে ছ্যাকা দিতো। একদিন রাতে আমি বাচ্চার জন্য সুজি রান্না করছিলাম। একটু দেরি হয়েছে বলে শাহাদাতের বউ আমাকে মারতে শুরু করে। এ সময় শাহাদাত বেলুন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। এতে আমার ডান পায়ের হাঁটুতে ক্ষত হয়ে যায়। ক্ষতস্থান থেকে বের হতে থাকে রক্ত। ক্ষতস্থানে ন্যাকড়া বেঁধে ওই দিনও সে কাজ করে। ওই রাতে তাদের কথামত ভয়ে ঘরের সব কাজ করে।
শাহাদাত ও তার বউ চোখ মুখে ঘুসি মারত। একদিন ঘুসি মারার কারণে তার চোখের চারপাশে কালো দাগ হয়ে যায়। বাম চোখ কিছুটা ফোলা ও রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এতে তার বা চোখ ফুলে প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
জবানবন্দিতে হ্যাপি বলে, শাহাদাতের বউ আমার মুখ চেপে ধরে মারত। একদিন আমার মুখ চেপে ধরতে গিয়ে তার নখ আমার বাঁ গালে লেগে দাগ হয়ে যায়। পরের দিন শাহাদাত হোসেন বাঁ গালেই চড় মারে। চড় মারার সময় তার নখও আমার গালে লাগে। এতে আমার বাঁ গালে কালো দাগ হয়ে যায়।
শাহাদাতের বউ তাকে ঠিকমত খেতে দিতো না বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করে হ্যাপি। তাকে খেতে দেয়া হতো তাদের উচ্ছিষ্ট খাবার। এভাবেই কাটতো তার দিন। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে শাহাদাত ও তার বউয়ের সঙ্গে তাদের গ্রামের বাড়ি যায় হ্যাপি। সেখানে তার মায়ের কাছে নালিশ করে মেয়েটি। তার মা আমার ওপর আর নির্যাতন না করার কথা বলেন। নালিশ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয় তারা। আমার ওপর রাগে ক্ষোভে ঢাকায় ফেরার পথেই নির্যাতন করে গাড়িতে। বাড়িতে আসার পর শাহাদাতের বউ আমাকে পানির বোতল দিয়ে মারে। গাড়িতে তাকে মারার জন্য থাকতো ৩/৪টা লাঠি।
এ ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে একদিন দুপুরের দিকে বাচ্চার সুজির রং হলুদ হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে শাহাদাতের বউ। ভয়ে মিথ্যা বলি সুজিতে আমি হলুদ মিশাইয়াছি। শাহাদাত তখন প্র্যাকটিসে ছিল। তার বউ এ কারণে আমার পেটে ঘুসি মারে। ঘটনাটি ফোনে স্বামীকে জানায়। আমাকে মারার জন্য লাঠি কিনে আনতে বলে সে। একথা শুনে আমি ভয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই।
জবানবন্দিতে হ্যাপি জানায়, তাকে সারা শরীরে মারতো। মারার জন্য ব্যবহার করা হতো লাঠি। কখনও ব্যবহৃত হতো ডালের ঘুটনি ও রুটি বানানোর বেলুন। লাঠি দিয়ে তার পেছনে মারতো। শুধু পিটিয়েই ক্ষান্ত হতো না। সারা রাত ক্ষতস্থানে বরফ ধরে রাখা হতো। বরফ ধরে রাখাতে তার খুব কষ্ট হতো। সহ্য করতে না পেরে বরফ সরানোর চেষ্টা করা হতো। এতে তারা আবার পেটাতো তাকে। প্রায়ই তার গলা টিপে ধরতো শাহাদাত। এতে শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে জোরে জোরে শ্বাস নিতো হ্যাপি। তখন তাকে আরও মারা হতো। জবানবন্দিতে হ্যাপি আরও উল্লেখ করে, শাহাদাতের বউও তার গলা টিপে ধরতো। তার বউ ডালের ঘুটনি দিয়ে তাকে মারত। তাকে মারতে মারতে ঘুটনি ভেঙেছে ৪-৫টি। এরপর ভাতের চামচ দিয়ে মারতো। একপর্যায় ভাতের প্লাস্টিকের চামচও ভেঙেছে। রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মারতো। আমি একবার ওটি লুকিয়ে রেখেছিলাম। ওটা খুঁজে না পেয়ে তারা একটা নতুন বেলুন কিনে আনে।
শাহাদাত হোসেনের বউ কাঠের খুন্তিতে গরম তেল নিয়ে আমার হাঁটুতে ছ্যাকা দিতো। একদিন রাতে আমি বাচ্চার জন্য সুজি রান্না করছিলাম। একটু দেরি হয়েছে বলে শাহাদাতের বউ আমাকে মারতে শুরু করে। এ সময় শাহাদাত বেলুন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। এতে আমার ডান পায়ের হাঁটুতে ক্ষত হয়ে যায়। ক্ষতস্থান থেকে বের হতে থাকে রক্ত। ক্ষতস্থানে ন্যাকড়া বেঁধে ওই দিনও সে কাজ করে। ওই রাতে তাদের কথামত ভয়ে ঘরের সব কাজ করে।
শাহাদাত ও তার বউ চোখ মুখে ঘুসি মারত। একদিন ঘুসি মারার কারণে তার চোখের চারপাশে কালো দাগ হয়ে যায়। বাম চোখ কিছুটা ফোলা ও রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এতে তার বা চোখ ফুলে প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
জবানবন্দিতে হ্যাপি বলে, শাহাদাতের বউ আমার মুখ চেপে ধরে মারত। একদিন আমার মুখ চেপে ধরতে গিয়ে তার নখ আমার বাঁ গালে লেগে দাগ হয়ে যায়। পরের দিন শাহাদাত হোসেন বাঁ গালেই চড় মারে। চড় মারার সময় তার নখও আমার গালে লাগে। এতে আমার বাঁ গালে কালো দাগ হয়ে যায়।
শাহাদাতের বউ তাকে ঠিকমত খেতে দিতো না বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করে হ্যাপি। তাকে খেতে দেয়া হতো তাদের উচ্ছিষ্ট খাবার। এভাবেই কাটতো তার দিন। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে শাহাদাত ও তার বউয়ের সঙ্গে তাদের গ্রামের বাড়ি যায় হ্যাপি। সেখানে তার মায়ের কাছে নালিশ করে মেয়েটি। তার মা আমার ওপর আর নির্যাতন না করার কথা বলেন। নালিশ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয় তারা। আমার ওপর রাগে ক্ষোভে ঢাকায় ফেরার পথেই নির্যাতন করে গাড়িতে। বাড়িতে আসার পর শাহাদাতের বউ আমাকে পানির বোতল দিয়ে মারে। গাড়িতে তাকে মারার জন্য থাকতো ৩/৪টা লাঠি।
এ ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে একদিন দুপুরের দিকে বাচ্চার সুজির রং হলুদ হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে শাহাদাতের বউ। ভয়ে মিথ্যা বলি সুজিতে আমি হলুদ মিশাইয়াছি। শাহাদাত তখন প্র্যাকটিসে ছিল। তার বউ এ কারণে আমার পেটে ঘুসি মারে। ঘটনাটি ফোনে স্বামীকে জানায়। আমাকে মারার জন্য লাঠি কিনে আনতে বলে সে। একথা শুনে আমি ভয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই।
No comments