খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটারে গর্ত, দুর্ভোগ by শেখ আল-এহসান
খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের ২০ কিলোমিটারে ছোট–বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা বাজার মোড় থেকে গত সোমবার তোলা l ছবি: প্রথম আলো |
খুলনা-সাতক্ষীরা
আঞ্চলিক মহাসড়কের খুলনা থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর পর্যন্ত ২০
কিলোমিটার সড়ক বেহাল। বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। এ
কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের খুলনার কৈয়া বাজারের তিন কিলোমিটার আগে থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলার এক কিলোমিটারের বেশির ভাগ জায়গায়ই উঠে গেছে কার্পেটিং। সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন।
এর মধ্যে ঝিলেরডাঙ্গা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়া বাজার, কাঁঠালতলা বাজার ও চুকনগর বাজার এলাকার গর্তগুলো বড়। এসব গর্তে ইট-বালু ফেলে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
খুলনা থেকে গত রোববার দাপ্তরিক কাজে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন মুক্তি বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাস্তা এমনই বেহাল হয়েছে যে এ সড়ক দিয়ে যেতে ভয় লাগে। বাসগুলো যেভাবে হেলেদুলে চলাচল করে, মনে হয় যেকোনো সময় উল্টে যাবে।
‘এ কিরাম রাস্তারে বাবা! বাড়ি কী যাতি পারব। মাজা (কোমর) তো গেল, কইলজাও তো নড়ি যায়। এর থাকি পুলসিরাত পার হওয়াও বোধায় সোজা।’ কথাগুলো বলছিলেন ১ অক্টোবর খুলনা থেকে পাইকগাছাগামী একটি বাসের যাত্রী জালাল শেখ (৫০)। এ সময় অন্য যাত্রীদের চোখে-মুখে ছিল বিরক্তি ও ক্ষোভ।
ওই দিনই খুলনা থেকে পাইকগাছায় নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সাহান আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি না।’
পাইকগাছা-খুলনা পথের গাড়িচালক আবুল হাসান বলেন, সড়কের কিছু কিছু জায়গায় লোক নামিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। এ ছাড়া রাস্তা খারাপ হওয়ায় প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। খুলনা থেকে পাইকগাছা দুই ঘণ্টার পথ। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে লাগছে চার ঘণ্টা।
খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপবিভাগ-১ সূত্রে জানা গেছে, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় কৈয়া বাজার থেকে কাঁঠালতলা বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সংস্কার (ওভার লে) করা হয়।
সওজের মতে, সড়কটি সংস্কার করেও লাভ হচ্ছে না। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করায় সংস্কার দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। তা ছাড়া চলতি বছর ভারী বর্ষণে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সড়কের দুরবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে বারবার প্রতিবেদন পাঠালেও কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ দুরবস্থা বোঝানোর জন্য সড়কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা সওজ উপবিভাগ ১-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন কায়ছার বলেন, সড়কটি সাড়ে ১৭ টন ওজনের গাড়ি বহন করতে পারে। কিন্তু এর ওপর দিয়ে ৪০ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েকবার সড়কটি পরিদর্শন করে গেছেন। গত বুধবার মন্ত্রণালয়ের একটি নকশা পাওয়া গেছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের খুলনার কৈয়া বাজারের তিন কিলোমিটার আগে থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলার এক কিলোমিটারের বেশির ভাগ জায়গায়ই উঠে গেছে কার্পেটিং। সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন।
এর মধ্যে ঝিলেরডাঙ্গা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়া বাজার, কাঁঠালতলা বাজার ও চুকনগর বাজার এলাকার গর্তগুলো বড়। এসব গর্তে ইট-বালু ফেলে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
খুলনা থেকে গত রোববার দাপ্তরিক কাজে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন মুক্তি বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাস্তা এমনই বেহাল হয়েছে যে এ সড়ক দিয়ে যেতে ভয় লাগে। বাসগুলো যেভাবে হেলেদুলে চলাচল করে, মনে হয় যেকোনো সময় উল্টে যাবে।
‘এ কিরাম রাস্তারে বাবা! বাড়ি কী যাতি পারব। মাজা (কোমর) তো গেল, কইলজাও তো নড়ি যায়। এর থাকি পুলসিরাত পার হওয়াও বোধায় সোজা।’ কথাগুলো বলছিলেন ১ অক্টোবর খুলনা থেকে পাইকগাছাগামী একটি বাসের যাত্রী জালাল শেখ (৫০)। এ সময় অন্য যাত্রীদের চোখে-মুখে ছিল বিরক্তি ও ক্ষোভ।
ওই দিনই খুলনা থেকে পাইকগাছায় নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সাহান আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি না।’
পাইকগাছা-খুলনা পথের গাড়িচালক আবুল হাসান বলেন, সড়কের কিছু কিছু জায়গায় লোক নামিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। এ ছাড়া রাস্তা খারাপ হওয়ায় প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। খুলনা থেকে পাইকগাছা দুই ঘণ্টার পথ। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে লাগছে চার ঘণ্টা।
খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপবিভাগ-১ সূত্রে জানা গেছে, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় কৈয়া বাজার থেকে কাঁঠালতলা বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সংস্কার (ওভার লে) করা হয়।
সওজের মতে, সড়কটি সংস্কার করেও লাভ হচ্ছে না। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করায় সংস্কার দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। তা ছাড়া চলতি বছর ভারী বর্ষণে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সড়কের দুরবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে বারবার প্রতিবেদন পাঠালেও কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ দুরবস্থা বোঝানোর জন্য সড়কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা সওজ উপবিভাগ ১-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন কায়ছার বলেন, সড়কটি সাড়ে ১৭ টন ওজনের গাড়ি বহন করতে পারে। কিন্তু এর ওপর দিয়ে ৪০ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েকবার সড়কটি পরিদর্শন করে গেছেন। গত বুধবার মন্ত্রণালয়ের একটি নকশা পাওয়া গেছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।
No comments