তালতলায় রসনাবিলাস by সামছুর রহমান
ভোজনরসিক তরুণ-তরুণীরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন খিলগাঁও তালতলার খাবারের এই দোকানগুলোতে। খানাপিনার সঙ্গে চলে জম্পেশ আড্ডা। সেলফিই বা বাকি থাকবে কেন! l ছবি: আবদুস সালাম, প্রথম আলো |
কফি
থেকে শুরু করে পিৎজা, পাস্তা, সি-ফুড—কী নেই রেস্তোরাঁগুলোয়। খাবার,
সাজসজ্জা, পরিবেশনায় একটির থেকে অন্যটি বৈচিত্র্যময়। ছিমছাম পরিবেশ আর
সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় হওয়ায় ভোজনরসিকদের কাছে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা
এখন নতুন ‘ফুড জোন’।
খিলগাঁও তালতলা মার্কেট থেকে পল্লীমা সংসদ পর্যন্ত শহীদ বাকী সড়কটিতে বছর তিনেক থেকে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। ইদানীং খাবারের পাশাপাশি বেড়ানো ও বিনোদনের স্থান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালতলা।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও তালতলায় খাবার বলতে ছিল শিঙাড়া আর ফুচকা। এখন চীনা, মেক্সিকান, ইতালিয়ান, সি-ফুড—কী নেই। আগে স্বাদ বদল করতে আমরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যেতাম, আর এখন নানান এলাকা থেকে লোকজন তালতলায় আসেন।’
সড়কের পাশ দিয়ে হরেক রকমের খাবারের দোকান। এমন একটি দোকানের সামনে ছোট ছোট অনেক জটলা। সবার হাতে টিস্যু দিয়ে মোড়ানো একবার ব্যবহারের উপযোগী (ওয়ান টাইম) স্বচ্ছ প্লাস্টিকের গ্লাস। প্লাস্টিকের নল দিয়ে নাড়ছেন আর তাতে চুমুক দিচ্ছেন। একেকজন একেক স্বাদের কফি খাচ্ছেন। ‘আপন কফিশপ’ নামের এই দোকানটি শীতল কফির জন্য বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে।
ভেতরে ঢুকে চোখে পড়ল কফির জন্য ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। এখনে ৩৫ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দামের কফি পাওয়া যায়। দোকানমালিক মো. জিয়া জানালেন, তাঁর দোকানে ৩০টি ভিন্ন স্বাদের কফি পাওয়া যায়।
তালতলার খাবারের দোকানগুলোর মধ্যে পাস্তা ও পিৎজার জন্য অনেকের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে থাকে ‘ক্যাফে এ্যাপেলিয়ানো’। পিৎজা ও পাস্তার মুখরোচক স্বাদের টানে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এ ক্যাফেতে। এখানে ২০টির বেশি স্বাদের পাস্তা ও পিৎজা পাওয়া যায়।
দোকানগুলোর খাবারের বৈচিত্র্যের কারণেই তালতলায় ভোজনরসিকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করেন এ্যাপিলিয়ানোর মালিকদের একজন কে এম ফয়সাল। ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে লোকজন আসছেন এসব দোকানে।
ভোজনরসিকেরা কেন তালতলাকে ‘নতুন ফুড জোন’ বলছেন, তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ যেন একটি ছয়তলা ভবন। ভবনের প্রতিটি তলায় রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ। নিচতলার ‘শরমা কিং’ থেকে শুরু করে ছাদখোলা রেস্তোরাঁ ‘আলফ্রেসকো’। প্রতিটিই খাবার, পরিবেশনা এবং সাজসজ্জার দিক থেকে বৈচিত্র্যময়। যেমন ‘কমিক ক্যাফে’ সাজানো হয়েছে চাচা চৌধুরী ও সাবুর মতো বিভিন্ন কমিক চরিত্রের আদলে। তা ছাড়া এ ভবনেই রয়েছে ‘গ্রিন হাউস ‘ক্যাফে থিয়েটার’।
‘টিউন অ্যান্ড বাইট’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় রয়েছে উদরপূর্তির সঙ্গে সরাসরি গান শোনার ব্যবস্থা। ‘এখানে সপ্তাহের সাত দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় শিল্পীরা গান শোনান। রেস্তোরাঁর পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, মানুষের বিনোদনের জায়গা কম। তাই খাবারের পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা হিসেবে গান শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সামুদ্রিক খাবারের স্বাদ নিতে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন নয়, যেতে পারেন তালতলায়। শুধু মাছের বিভিন্ন পদ পাওয়া যায় ‘ফিশ ফিশ’ নামের রেস্তোরাঁয়। ফিশ অ্যান্ড চিপস, গ্রিল পমপেট, শ্রিম্প ফ্রাইড রাইস, রেড স্নাইপারসহ নানা নামের সামুদ্রিক খাবার চেখে দেখতে পারেন দু-একটা।
‘পেটুক’, ‘খাদক’ কিংবা ‘ম্যাংগো ট্রি’র চাপ-পরোটা আর কাবাবের স্বাদ আড্ডাকে দিতে পারে এক নতুন মাত্রা। সড়কবাতির হলদেটে আলোয় খোলা আকাশের নিচে বসে ‘স্ট্রিট ফুড’ খাওয়ার সুযোগও আছে তালতলায়। মি. বার্গার, টাকো লোকো, ফ্রেশ বার্গার নামের ছোট ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে আছে বার্গার, চিকেন ফ্রাই, টাকোস, নাচোসসহ বাহারি নামের খাবারের আয়োজন।
খিলগাঁও তালতলা মার্কেট থেকে পল্লীমা সংসদ পর্যন্ত শহীদ বাকী সড়কটিতে বছর তিনেক থেকে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। ইদানীং খাবারের পাশাপাশি বেড়ানো ও বিনোদনের স্থান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালতলা।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও তালতলায় খাবার বলতে ছিল শিঙাড়া আর ফুচকা। এখন চীনা, মেক্সিকান, ইতালিয়ান, সি-ফুড—কী নেই। আগে স্বাদ বদল করতে আমরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যেতাম, আর এখন নানান এলাকা থেকে লোকজন তালতলায় আসেন।’
সড়কের পাশ দিয়ে হরেক রকমের খাবারের দোকান। এমন একটি দোকানের সামনে ছোট ছোট অনেক জটলা। সবার হাতে টিস্যু দিয়ে মোড়ানো একবার ব্যবহারের উপযোগী (ওয়ান টাইম) স্বচ্ছ প্লাস্টিকের গ্লাস। প্লাস্টিকের নল দিয়ে নাড়ছেন আর তাতে চুমুক দিচ্ছেন। একেকজন একেক স্বাদের কফি খাচ্ছেন। ‘আপন কফিশপ’ নামের এই দোকানটি শীতল কফির জন্য বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে।
ভেতরে ঢুকে চোখে পড়ল কফির জন্য ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। এখনে ৩৫ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দামের কফি পাওয়া যায়। দোকানমালিক মো. জিয়া জানালেন, তাঁর দোকানে ৩০টি ভিন্ন স্বাদের কফি পাওয়া যায়।
তালতলার খাবারের দোকানগুলোর মধ্যে পাস্তা ও পিৎজার জন্য অনেকের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে থাকে ‘ক্যাফে এ্যাপেলিয়ানো’। পিৎজা ও পাস্তার মুখরোচক স্বাদের টানে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এ ক্যাফেতে। এখানে ২০টির বেশি স্বাদের পাস্তা ও পিৎজা পাওয়া যায়।
দোকানগুলোর খাবারের বৈচিত্র্যের কারণেই তালতলায় ভোজনরসিকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করেন এ্যাপিলিয়ানোর মালিকদের একজন কে এম ফয়সাল। ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে লোকজন আসছেন এসব দোকানে।
ভোজনরসিকেরা কেন তালতলাকে ‘নতুন ফুড জোন’ বলছেন, তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ যেন একটি ছয়তলা ভবন। ভবনের প্রতিটি তলায় রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ। নিচতলার ‘শরমা কিং’ থেকে শুরু করে ছাদখোলা রেস্তোরাঁ ‘আলফ্রেসকো’। প্রতিটিই খাবার, পরিবেশনা এবং সাজসজ্জার দিক থেকে বৈচিত্র্যময়। যেমন ‘কমিক ক্যাফে’ সাজানো হয়েছে চাচা চৌধুরী ও সাবুর মতো বিভিন্ন কমিক চরিত্রের আদলে। তা ছাড়া এ ভবনেই রয়েছে ‘গ্রিন হাউস ‘ক্যাফে থিয়েটার’।
‘টিউন অ্যান্ড বাইট’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় রয়েছে উদরপূর্তির সঙ্গে সরাসরি গান শোনার ব্যবস্থা। ‘এখানে সপ্তাহের সাত দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় শিল্পীরা গান শোনান। রেস্তোরাঁর পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, মানুষের বিনোদনের জায়গা কম। তাই খাবারের পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা হিসেবে গান শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সামুদ্রিক খাবারের স্বাদ নিতে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন নয়, যেতে পারেন তালতলায়। শুধু মাছের বিভিন্ন পদ পাওয়া যায় ‘ফিশ ফিশ’ নামের রেস্তোরাঁয়। ফিশ অ্যান্ড চিপস, গ্রিল পমপেট, শ্রিম্প ফ্রাইড রাইস, রেড স্নাইপারসহ নানা নামের সামুদ্রিক খাবার চেখে দেখতে পারেন দু-একটা।
‘পেটুক’, ‘খাদক’ কিংবা ‘ম্যাংগো ট্রি’র চাপ-পরোটা আর কাবাবের স্বাদ আড্ডাকে দিতে পারে এক নতুন মাত্রা। সড়কবাতির হলদেটে আলোয় খোলা আকাশের নিচে বসে ‘স্ট্রিট ফুড’ খাওয়ার সুযোগও আছে তালতলায়। মি. বার্গার, টাকো লোকো, ফ্রেশ বার্গার নামের ছোট ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে আছে বার্গার, চিকেন ফ্রাই, টাকোস, নাচোসসহ বাহারি নামের খাবারের আয়োজন।
No comments