পাকিস্তান-মার্কিন পরমাণু চুক্তি! ভারতের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা?
পাকিস্তানের
সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই চুক্তির ফলে ভারতের মতোই পরমাণু জ্বালানি ও প্রযুক্তি কেনার অনুমোদন
মিলবে পাকিস্তানে। চলতি মাসে আমেরিকা যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
তখনই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত
রিপোর্ট বলা হয়েছে। যদিও ভারতের থেকে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ
কিছুটা কম থাকবে। তবুও এই চুক্তির ফলে পাকিস্তান পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে
একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের মতোই একই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে পাকিস্তানের সঙ্গেও। তবে পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার বেশি দূর করতে পারবে না। তবে ভারতের পরমাণু হুমকির জবাব দিতে পারবে পাকিস্তান। একটা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল মোতায়েন করতে পারবে না।
জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আমেরিকা সফরে যাওয়ার আগে চুক্তি নিয়ে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে ওবামা সরকারের সঙ্গে। তবে কোন কোন বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে সেবিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরমাণু বিষয়ে কথা হবে এমনটা জানিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেন, ”দেশের নিরাপত্তা বাড়াতে সব পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশকে উৎসাহিত করছে আমেরিকা। পাকিস্তানের সঙ্গে কিছু আন্তর্জাতিক বিষয়ে কথা হবে। পরমাণু নিরাপত্তা, সন্ত্রাস বিরোধিতা থাকবে আলোচনায়।” এই চুক্তির মাধ্যমে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপ (এনএসজি) পাকিস্তানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে ইউরেনিয়াম বিক্রি করতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে পরমাণু চুক্তি রয়েছে সেই একই চুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনোদিনই করেনি আমেরিকা। বুশ কিংবা ওবামা কোনো সরকার চায়নি সেটা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই চুক্তি করতে বাধ্য হচ্ছে আমেরিকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ফর্মূল বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে, তাই তাদেরকে উপকরণ বিক্রিতে নারাজ ছিল মার্কিন সরকার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের মতোই একই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে পাকিস্তানের সঙ্গেও। তবে পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার বেশি দূর করতে পারবে না। তবে ভারতের পরমাণু হুমকির জবাব দিতে পারবে পাকিস্তান। একটা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল মোতায়েন করতে পারবে না।
জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আমেরিকা সফরে যাওয়ার আগে চুক্তি নিয়ে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে ওবামা সরকারের সঙ্গে। তবে কোন কোন বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে সেবিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরমাণু বিষয়ে কথা হবে এমনটা জানিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেন, ”দেশের নিরাপত্তা বাড়াতে সব পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশকে উৎসাহিত করছে আমেরিকা। পাকিস্তানের সঙ্গে কিছু আন্তর্জাতিক বিষয়ে কথা হবে। পরমাণু নিরাপত্তা, সন্ত্রাস বিরোধিতা থাকবে আলোচনায়।” এই চুক্তির মাধ্যমে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপ (এনএসজি) পাকিস্তানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে ইউরেনিয়াম বিক্রি করতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে পরমাণু চুক্তি রয়েছে সেই একই চুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনোদিনই করেনি আমেরিকা। বুশ কিংবা ওবামা কোনো সরকার চায়নি সেটা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই চুক্তি করতে বাধ্য হচ্ছে আমেরিকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ফর্মূল বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে, তাই তাদেরকে উপকরণ বিক্রিতে নারাজ ছিল মার্কিন সরকার।
পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাস করার কোনো পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই
পরমাণু
অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাস করার কোনো পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক পাকিস্তানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা দেশটির একটি ইংরেজি
দৈনিককে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাস করে এর বিনিময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু জ্বালানি বিষয়ক চুক্তি করতে সম্মত হবে না ইসলামাবাদ।
দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক খবরে মার্কিন সাংবাদিক ডেভিড ইননেটিয়াস দাবি করেছিলেন ওয়াশিংটন এ জাতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। এতে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এবং অস্ত্র নিক্ষেপ ব্যবস্থার ওপর বাধা নিষেধ আরোপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ জাতীয় জল্পনা-কল্পনাকে নাকচ করে দেন এ পাক কর্মকর্তা।
সূত্র : রেডিও তেহরান
তিনি বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাস করে এর বিনিময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু জ্বালানি বিষয়ক চুক্তি করতে সম্মত হবে না ইসলামাবাদ।
দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক খবরে মার্কিন সাংবাদিক ডেভিড ইননেটিয়াস দাবি করেছিলেন ওয়াশিংটন এ জাতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। এতে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এবং অস্ত্র নিক্ষেপ ব্যবস্থার ওপর বাধা নিষেধ আরোপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ জাতীয় জল্পনা-কল্পনাকে নাকচ করে দেন এ পাক কর্মকর্তা।
সূত্র : রেডিও তেহরান
No comments