চালক যদি ঘুমিয়ে পড়েন by আনিসুল হক
ডেইলি স্টার-এ গতকাল বৃহস্পতিবার একটা খবর ছাপা হয়েছে: চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে সিলেটে একটা ট্রেন লেট হয়েছে। তবে চালক কিন্তু ট্রেন চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েননি। তিনি তার আগের রাতে ভোর পর্যন্ত ট্রেন চালিয়েছেন। সারা রাত জাগার পরে আবার ট্রেন চালানোর নিয়ম নেই। তাই ওই চালক ও তাঁর সহকারী কোয়ার্টারে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, আর তার ফলেই ট্রেনটি ছাড়তে চার ঘণ্টা বিলম্ব হয়।
এই খবরটা ডেইলি স্টার কেন প্রথম পাতায় ছাপাল, ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। ট্রেন চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়লে না হয় সেটা খবর। ডেইলি স্টার–এর খবরটায় অবশ্য একটা বক্তব্য আছে, তা হলো রেলে অনেক দিন লোক নেওয়া হচ্ছে না। তাই লোকবলের সংকট আছে। ইত্যাদি।
কী জানি। হয়তো কালো বিড়াল-কাণ্ডের পর থেকেই লোক নিয়োগ বন্ধ আছে।
তবে এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে একটা রেলগাড়ি প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়েছিল। রেললাইন ছেড়ে সেই ট্রেন প্ল্যাটফর্মের পাকা মেঝে ধরে এগোতে এগোতে যাত্রীদের ঢোকা ও বেরোনোর পথ বেয়ে শহরের পিচঢালা পথেই চলতে পারত। কিন্তু তার আগে দেয়ালে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন থেমে যায়। ইঞ্জিনের যেমনটা মর্জি। তখন শোনা গিয়েছিল, ওই ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে তদন্ত কমিটি কী তদন্ত করেছে, কী-ই বা পেয়েছে, তা আর জানা হয়নি। তদন্ত রিপোর্টগুলো তো নিজেরাই ঘুমিয়ে পড়ে।
আকাশে উড়োজাহাজের পাইলটরাও কখনো-সখনো ঘুমিয়ে পড়েন। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ও কো-পাইলট দুজনেই দুজন বিমানসেবিকাকে ককপিটে বসিয়ে নিজেরা বিজনেস ক্লাসের সিটে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর ওই বিমানবালারা ভুল করে অটো পাইলটের সুইচ অফ করে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে পুরো ভারতে কী সমালোচনার ঝড়টাই না বয়ে যায়।
আর এয়ার ফ্রান্সের পাইলট তাঁর তরুণতর কো-পাইলটের হাতে উড়োজাহাজ দিয়ে ঘুমোতে চলে যান। যাওয়ার আগে বলে যান, আমি কাল রাতে মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। ঘুমোতে গেলাম। আগের রাতে তিনি ছিলেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে। কাজেই ঘুম ভালো হয়নি। ওই প্লেন সাগরে বিধ্বস্ত হয়!
উড়োজাহাজে ঘুম নিয়ে আমি যে কৌতুকটা সব সময় বলি, সেটা আবারও বলি।
একটা প্লেন দুর্ঘটনায় পড়েছে। ওই উড়োজাহাজের সব যাত্রী মারা গেছেন। শুধু একটা বাঁদর-যাত্রী বেঁচে আছে। বাঁদরটাকে প্রশ্ন করা হয়, সে ইঙ্গিতে উত্তর দেয়।
বাঁদরকে প্রশ্ন করা হলো, বিমানটা যখন অ্যাক্সিডেন্ট করে, তখন যাত্রীরা কী করছিলেন।
বাঁদর দুটো হাত বাঁ কানের কাছে জোড় করে ধরে মাথাটা বাঁ দিকে কাত করে চোখ বন্ধ করে দেখাল—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘বিমানসেবকেরা কী করছিলেন?’
বাঁদর আবার দুই হাত বাঁ কানের কাছে জোড় করে ধরে মাথাটা বাঁ দিকে কাত করে চোখ বন্ধ করে দেখাল—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘পাইলটরা কী করছিলেন?’
একই উত্তর। বাঁদর দুহাত জোড় করল, বাঁ কানের কাছে ধরল, মাথা বাঁ দিকে কাত করল, চোখ দুটো বন্ধ—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘তাহলে তুই বাঁদর, তুই কী করছিলি?’
দেশবাসীকেও তাই সজাগ থাকতে হয়। সচেতন থাকতে হয়। সরবও থাকতে হয়, যাতে চালকেরা ঘুমিয়ে না পড়েন বাঁদর তখন কাল্পনিক ককপিটে বসল, সামনের দিকে তাকাল, দুই হাত দিয়ে কাল্পনিকভাবে বিমান চালানোর ভঙ্গি করল।
মানে সে-ই বিমান চালাচ্ছিল।
বিমানের চালক ঘুমিয়ে পড়লে বিমান দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। আর বাঁদর যদি বিমান চালায়, তাহলে তো কথাই নেই।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর গ্রাম থেকে একজন কৃষক এসেছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, সপুত্র। বললেন, ‘হুজুর, আমার ছেলেকে একটা চাকরি দিন।’
‘লেখাপড়া কত দূর?’
‘ম্যাট্রিক ডিঙায়নি। সেকেন্ড ক্লাসে দুইবার ফেল করেছে।’
‘চাষবাসে লাগালে না কেন?’
‘লেখাপড়া শিখেছে। চাষবাসে মন নাই।’
‘দোকান করে দাও।’
‘ব্যবসা ওকে দিয়ে হবে না।’
‘কোনো লেখাপড়া নাই, কোনো কামও পারে না। তাহলে তো ওকে মন্ত্রী করে দিতে হয়!’
(তথ্যসূত্র: চলমান প্রসঙ্গ। চণ্ডী লাহিড়ী। পারুল প্রকাশনী)
তবে আব্রাহাম লিংকনের গল্পটা আরও সরেস। এটা সত্যিকারের কাহিনি নয়। নিছক গল্প।
আব্রাহাম লিংকন সবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। গৃহযুদ্ধের পরে। দলে দলে লোকে তাঁর কাছে এসে বলতে লাগল, ‘আমরা দেশের জন্য অনেক স্বার্থ ত্যাগ করেছি। পদ চাই। আমাদের মূল্যায়ন করুন।’
তখন আব্রাহাম লিংকন এই গল্পটা করেন: এক রাজা বের হবেন শিকারে। তিনি মন্ত্রীকে জিগ্যেস করলেন, ‘আজকের আবহাওয়া কেমন? পথে ঝড়বৃষ্টি হবে না তো?’
মন্ত্রী বললেন, ‘না না, আজ ঝড়বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া চমৎকার।’
কিছু দূর যাওয়ার পরে এক ধোপার সঙ্গে দেখা। ধোপা বলল, ‘রাজা মশাই, বেশ তো চলেছেন, কিন্তু সামনে তো ঝড়বৃষ্টি হবে।’
রাজা এগোলেন। ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়লেন। তখন তিনি ওই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সেই পদে বসালেন ধোপাকে।
ধোপা বলল, ‘রাজা মশাই, যখন ঝড়বৃষ্টি হয়, তখন আমার গাধার কান নড়ে। আমার গাধার কান নড়া দেখে আমি বুঝেছিলাম, আজ বৃষ্টি হবে।’
রাজা তখন ধোপাকে বরখাস্ত করে গাধাটাকে মন্ত্রী বানালেন। তখন হলো আসল বিপদ। রাজ্যের সব গাধা এসে রাজাকে ঘিরে ধরল: ‘আমরাও তো গাধা। আমাদেরও মন্ত্রী বানান।’
বাঁদর প্লেন চালালে প্লেন বিধ্বস্ত হয়। চালক ঘুমিয়ে পড়লেই সে সুযোগে বাঁদর প্লেন চালায়। আর যাত্রী ও বিমানসেবকেরাও যদি ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলেই কেবল এই রকমের ঘটনা ঘটতে পারে। সেই জন্য যাত্রীদেরও ঘুমোতে নেই।
দেশবাসীকেও তাই সজাগ থাকতে হয়। সচেতন থাকতে হয়। সরবও থাকতে হয়, যাতে চালকেরা ঘুমিয়ে না পড়েন। আর সরব, সোচ্চার, অতন্দ্র থাকতে হয় গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদের। তাঁদের কাজই হলো মানুষকে জাগিয়ে রাখা। চালককে ঘুমোতে না দেওয়া।
আর মানুষকে জাগিয়ে রাখতে পারে তরুণেরা। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়: ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে, তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।’
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
এই খবরটা ডেইলি স্টার কেন প্রথম পাতায় ছাপাল, ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। ট্রেন চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়লে না হয় সেটা খবর। ডেইলি স্টার–এর খবরটায় অবশ্য একটা বক্তব্য আছে, তা হলো রেলে অনেক দিন লোক নেওয়া হচ্ছে না। তাই লোকবলের সংকট আছে। ইত্যাদি।
কী জানি। হয়তো কালো বিড়াল-কাণ্ডের পর থেকেই লোক নিয়োগ বন্ধ আছে।
তবে এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে একটা রেলগাড়ি প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়েছিল। রেললাইন ছেড়ে সেই ট্রেন প্ল্যাটফর্মের পাকা মেঝে ধরে এগোতে এগোতে যাত্রীদের ঢোকা ও বেরোনোর পথ বেয়ে শহরের পিচঢালা পথেই চলতে পারত। কিন্তু তার আগে দেয়ালে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন থেমে যায়। ইঞ্জিনের যেমনটা মর্জি। তখন শোনা গিয়েছিল, ওই ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে তদন্ত কমিটি কী তদন্ত করেছে, কী-ই বা পেয়েছে, তা আর জানা হয়নি। তদন্ত রিপোর্টগুলো তো নিজেরাই ঘুমিয়ে পড়ে।
আকাশে উড়োজাহাজের পাইলটরাও কখনো-সখনো ঘুমিয়ে পড়েন। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ও কো-পাইলট দুজনেই দুজন বিমানসেবিকাকে ককপিটে বসিয়ে নিজেরা বিজনেস ক্লাসের সিটে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর ওই বিমানবালারা ভুল করে অটো পাইলটের সুইচ অফ করে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে পুরো ভারতে কী সমালোচনার ঝড়টাই না বয়ে যায়।
আর এয়ার ফ্রান্সের পাইলট তাঁর তরুণতর কো-পাইলটের হাতে উড়োজাহাজ দিয়ে ঘুমোতে চলে যান। যাওয়ার আগে বলে যান, আমি কাল রাতে মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। ঘুমোতে গেলাম। আগের রাতে তিনি ছিলেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে। কাজেই ঘুম ভালো হয়নি। ওই প্লেন সাগরে বিধ্বস্ত হয়!
উড়োজাহাজে ঘুম নিয়ে আমি যে কৌতুকটা সব সময় বলি, সেটা আবারও বলি।
একটা প্লেন দুর্ঘটনায় পড়েছে। ওই উড়োজাহাজের সব যাত্রী মারা গেছেন। শুধু একটা বাঁদর-যাত্রী বেঁচে আছে। বাঁদরটাকে প্রশ্ন করা হয়, সে ইঙ্গিতে উত্তর দেয়।
বাঁদরকে প্রশ্ন করা হলো, বিমানটা যখন অ্যাক্সিডেন্ট করে, তখন যাত্রীরা কী করছিলেন।
বাঁদর দুটো হাত বাঁ কানের কাছে জোড় করে ধরে মাথাটা বাঁ দিকে কাত করে চোখ বন্ধ করে দেখাল—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘বিমানসেবকেরা কী করছিলেন?’
বাঁদর আবার দুই হাত বাঁ কানের কাছে জোড় করে ধরে মাথাটা বাঁ দিকে কাত করে চোখ বন্ধ করে দেখাল—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘পাইলটরা কী করছিলেন?’
একই উত্তর। বাঁদর দুহাত জোড় করল, বাঁ কানের কাছে ধরল, মাথা বাঁ দিকে কাত করল, চোখ দুটো বন্ধ—ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
‘তাহলে তুই বাঁদর, তুই কী করছিলি?’
দেশবাসীকেও তাই সজাগ থাকতে হয়। সচেতন থাকতে হয়। সরবও থাকতে হয়, যাতে চালকেরা ঘুমিয়ে না পড়েন বাঁদর তখন কাল্পনিক ককপিটে বসল, সামনের দিকে তাকাল, দুই হাত দিয়ে কাল্পনিকভাবে বিমান চালানোর ভঙ্গি করল।
মানে সে-ই বিমান চালাচ্ছিল।
বিমানের চালক ঘুমিয়ে পড়লে বিমান দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। আর বাঁদর যদি বিমান চালায়, তাহলে তো কথাই নেই।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর গ্রাম থেকে একজন কৃষক এসেছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, সপুত্র। বললেন, ‘হুজুর, আমার ছেলেকে একটা চাকরি দিন।’
‘লেখাপড়া কত দূর?’
‘ম্যাট্রিক ডিঙায়নি। সেকেন্ড ক্লাসে দুইবার ফেল করেছে।’
‘চাষবাসে লাগালে না কেন?’
‘লেখাপড়া শিখেছে। চাষবাসে মন নাই।’
‘দোকান করে দাও।’
‘ব্যবসা ওকে দিয়ে হবে না।’
‘কোনো লেখাপড়া নাই, কোনো কামও পারে না। তাহলে তো ওকে মন্ত্রী করে দিতে হয়!’
(তথ্যসূত্র: চলমান প্রসঙ্গ। চণ্ডী লাহিড়ী। পারুল প্রকাশনী)
তবে আব্রাহাম লিংকনের গল্পটা আরও সরেস। এটা সত্যিকারের কাহিনি নয়। নিছক গল্প।
আব্রাহাম লিংকন সবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। গৃহযুদ্ধের পরে। দলে দলে লোকে তাঁর কাছে এসে বলতে লাগল, ‘আমরা দেশের জন্য অনেক স্বার্থ ত্যাগ করেছি। পদ চাই। আমাদের মূল্যায়ন করুন।’
তখন আব্রাহাম লিংকন এই গল্পটা করেন: এক রাজা বের হবেন শিকারে। তিনি মন্ত্রীকে জিগ্যেস করলেন, ‘আজকের আবহাওয়া কেমন? পথে ঝড়বৃষ্টি হবে না তো?’
মন্ত্রী বললেন, ‘না না, আজ ঝড়বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া চমৎকার।’
কিছু দূর যাওয়ার পরে এক ধোপার সঙ্গে দেখা। ধোপা বলল, ‘রাজা মশাই, বেশ তো চলেছেন, কিন্তু সামনে তো ঝড়বৃষ্টি হবে।’
রাজা এগোলেন। ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়লেন। তখন তিনি ওই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সেই পদে বসালেন ধোপাকে।
ধোপা বলল, ‘রাজা মশাই, যখন ঝড়বৃষ্টি হয়, তখন আমার গাধার কান নড়ে। আমার গাধার কান নড়া দেখে আমি বুঝেছিলাম, আজ বৃষ্টি হবে।’
রাজা তখন ধোপাকে বরখাস্ত করে গাধাটাকে মন্ত্রী বানালেন। তখন হলো আসল বিপদ। রাজ্যের সব গাধা এসে রাজাকে ঘিরে ধরল: ‘আমরাও তো গাধা। আমাদেরও মন্ত্রী বানান।’
বাঁদর প্লেন চালালে প্লেন বিধ্বস্ত হয়। চালক ঘুমিয়ে পড়লেই সে সুযোগে বাঁদর প্লেন চালায়। আর যাত্রী ও বিমানসেবকেরাও যদি ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলেই কেবল এই রকমের ঘটনা ঘটতে পারে। সেই জন্য যাত্রীদেরও ঘুমোতে নেই।
দেশবাসীকেও তাই সজাগ থাকতে হয়। সচেতন থাকতে হয়। সরবও থাকতে হয়, যাতে চালকেরা ঘুমিয়ে না পড়েন। আর সরব, সোচ্চার, অতন্দ্র থাকতে হয় গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদের। তাঁদের কাজই হলো মানুষকে জাগিয়ে রাখা। চালককে ঘুমোতে না দেওয়া।
আর মানুষকে জাগিয়ে রাখতে পারে তরুণেরা। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়: ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে, তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।’
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
No comments